অমলেন্দু সরকার, পঞ্চসায়র, পূর্ব যাদবপুর, ৩১ আগস্ট#
আবারও ডুবল নবদিগন্ত, বুদেরহাট, শহীদস্মৃতি, মুকুন্দপুর, নয়াবাঁধ সহ পূর্ব যাদবপুরের বেশিরভাগ অংশ। কিছুদিন আগের ভারি বর্ষণে প্রায় সমস্ত এলাকাতেই হাঁটু সমান জল জমে যায়। মুকুন্দপুরের বর্ধিত এলাকা জেলেভেড়ি, খুদিরাবাদের বহু স্থানেই কোমর সমান জলে বাসিন্দারা অসহায় জীবনযাপন করতে থাকে। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের উদ্যোগে স্পিড বোট নামে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য। এছাড়া সরকারি উদ্যোগ তেমন চোখে পড়েনি। তবে শাসকদলের পক্ষ থেকে কিছু কিছু স্থানে চিঁড়ে গুড় দেওয়া হয়। বুদেরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি লঙ্গরখানাও খোলা হয়। অনেক মানুষ সেখানে আশ্রয় নেয়।
কিন্তু আগের তুলনায় রাস্তাঘাট অনেকটা উঁচু হওয়া সত্ত্বেও কেন এত জল? এলাকার বাসিন্দারা মনে করে, বাইরের চাপান জলেই এই বিপদ। পার্শ্ববর্তী উচ্চবিত্তদের বাসস্থান নিউ গড়িয়া নিচু এলাকা হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেও জলমগ্ন হয়। মূলত সেখানকার জমা জল বের করার জন্য সরকারি উদ্যোগে এবছরই বুস্টার পাম্প বসানো হয়েছে। এই পাম্পের সাহায্যে নিউ গড়িয়া, ১বি বাসস্ট্যান্ড ও তৎসংলগ্ন এলাকার জল পার্শ্ববর্তী খালে পড়ে। কিন্তু খালটি সংস্কারের অভাবে এবং খালের বুদেরহাট সংলগ্ন অংশে কংক্রিটের হাইড্র্যান্ট তৈরি করায় খালের জলধারণ ক্ষমতা অনেকটাই কমে গেছে। ফলে খাল-প্লাবিত জলে ডুবছে নবদিগন্ত, বুদেরহাট নতুনপল্লী, শহীদ স্মৃতির মতো গরীব এলাকার বাসিন্দারা।
গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো, এই খালের জলে মিশছে সি-ফিস প্রসেসিং সেন্টারের (সামুদ্রিক মাছ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র) দশটি কোম্পানির নোংরা জল। তাতে বিপদ আরও বেড়েছে। অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে, পঞ্চসায়র বিদ্যানিকেতন সহ এলাকার অনেক বিদ্যালয়ে কয়েকদিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করতে হয়।
Leave a Reply