শমিত, শান্তিপুর, ১৫ আগস্ট#
ডোমপুকুর নদিয়া জেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম। চাপড়া থানা এলাকায়। এখন সেখানে পাট কাটার মরশুম চলছে। পাটচাষি আনার মণ্ডল জানালেন, পাট এবার ভালো হয়নি। কারণ, পাট পুরুষ্টু হয়নি বৃষ্টির অভাবে। আনারের বাবা সাহার আলি মণ্ডলের ৮৫ বছর বয়স। জমিতে ঘাস নিড়োচ্ছেন। এখানকার জমিগুলিতে বিস্তর ঘাস। এই অঞ্চলে ৩৩ শতকে বিঘা। বিঘাপ্রতি ১২-১৪ কুইন্টাল করে পাট পাওয়া যায়। ২০০ টাকা লেবার খরচ। বৃষ্টি না হওয়ায় জল কিনতে হয়েছে ঘন্টা প্রতি ১০০ টাকা করে। পাঁচ ঘন্টা করে দিতে হয়েছে কয়েক বার। পেট্রোলের দাম কমলেও ডিজেলের দাম না কমায় জলের খরচ কমেনি, কারণ পাম্পসেটগুলি সব ডিজেলে চলে। ফলে পাটচাষের খরচ ঊর্ধগামী।
এই ডোমপুকুর গ্রামটি বড়ো। গ্রামে ৪০০০ ঘর মানুষ, মূলত মুসলিম। এর মধ্যে অর্ধেক লোক আরবের বিভিন্ন দেশে চলে গেছে, নির্মাণ শ্রমিকের কাজ নিয়ে — জানালেন আনার আলি। বাকিরা আছে চাষ নিয়ে। আশপাশের গ্রাম হৃদয়পুর — সেখানেও লোকে চলে গেছে বাইরে, নির্মাণ শ্রমিকের কাজ নিয়ে। এখানে চাষ বলতে ধান গম সবজি হয়। কিন্তু আলু হয় না। পাট কাটার পর এবার ধান লাগানো হবে।
বর্ধমানের সমুদ্রগড় অঞ্চলের হাতিপোতা গ্রামের একজন চাষি সাইদুল্লা। তিনি বললেন, তাঁদের গ্রামে পাট চাষ ভালো হয়েছে। কিন্তু খরচ বেড়েছে অনেক। ১০ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন সাইদুল্লা। ৫০০০ টাকা করে প্রতি বিঘায় খরচ। কিন্তু লাভ নেই।
কোচবিহারের পাটচাষও এবার বৃষ্টির অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে এবারে পাটচাষে লক্ষ্মীলাভ হল না।
Leave a Reply