এই নিয়ে কথা বললেন ভি। বি। চন্দ্রশেখরণ, কলকাতার বেলেঘাটায় গান্ধী ভবনে ৮ জুন শনিবার বিকেলে। গোটা কুড়ি লোকের সাথে কথা বলছিলেন তিনি, প্রবৃদ্ধ মানুষ, গান্ধীয়ান, পরণে লুঙ্গির মতো করে ধুতি আর কুর্তা, কপালে ফোঁটা কাটা, হাতের নাগালেই শ্বাসকষ্টের জন্য মজুত আছে ইনহেলার। সঞ্চালিকা তাঁর নাম ভুল বলতেই স্মিত হাসি হেসে আঙুল তুলে ‘ভি’ নির্দেশ করলেন। কথা বলেন কম। দীর্ঘজীবন দণ্ডকারণ্যে আদিবাসী মানুষদের সঙ্গে কাটিয়েছেন। আজ প্রায় বছর পঁয়ত্রিশ ধরে তাদের ‘ছট্টি মহাত্মা গান্ধী আশ্রম’ অন্ধ্রপ্রদেশের খাম্মাম জেলায় কাজ করে চলেছে। এর আরেকটি শাখাও আছে। এই বয়সেও সমস্ত প্রতিবন্ধকতা অস্বীকার করে বেরিয়ে পড়েছেন দণ্ডকারণ্যের মানুষের শান্তি সমৃদ্ধি ও ন্যায়ের জন্য। বললেন, আমাদের কাছে কোনও সমাধান নেই। তবুও আমাদের উদ্দেশ্য মানুষের কথা শোনা ও শেখা। আদিবাসী মানুষদের সঙ্গে সমানুভূতির সঙ্গে শোনা। আমরা মাওবাদী কিংবা সরকারকে পরস্পর কথা বলার জন্য কোনও প্রস্তাব অথবা নির্দেশ দেব না। কিন্তু তারা যাতে আমাদের সাথে কথা বলে, তার চেষ্টা করব। আমাদের কাজের ভিত্তি হবে অহিংসা। তা সরকার কিংবা মাওবাদী যেই আমাদের দিকে বন্দুক উঁচিয়ে ধরুক না কেন আমরা কোনও রকম প্ররোচনামূলক কাজকর্ম অথবা মিটিং মিছিল তথ্যানুসন্ধান বা প্রকাশনা করব না। তবে কোথাও কোনও হিংসার ঘটনা ঘটলে স্বেচ্ছাসেবকরা সেখানে গিয়ে শোক জ্ঞাপন করবে নির্বিচারে প্রতিটি মানুষের জন্য। আদিবাসী মানুষদের মধ্যে অন্তত পাঁচ বছর থেকে তাদের কথা শোনার মাধ্যমে কোনও একটা কার্যকর পথ সন্ধানের কাজ করার আহ্বান রাখলেন কলকাতার শ্রোতাদের কাছে। (ভি বি চন্দ্রশেখরণ 09490109328, 08297976970, verivaan2049@yahoo.com, antarbharatid2010@gmail.com)
শ্রোতা বঙ্কিম, ৮ জুন
Leave a Reply