আলাল ও দুলাল ব্লগ থেকে, ৩১ মে#
২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের সাভারের রাণা প্লাজা ধসে পড়ে মারা গেছে ১১২৭ জন গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত শ্রমিক। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় বাদ দিলে এটি সবচেয়ে বড়ো বিপর্যয়। রাণা প্লাজায় উদ্ধারকার্য চলেছে ২১ দিন ধরে। আহত ও নিহতদের আত্মীয়স্বজনরা সারা দিন রাত হত্যে দিয়ে পড়ে থেকেছে অধর চন্দ্র পার্ক থেকে শুরু করে এনাম ক্লিনিক-এ। ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে মৃতদেহ ভরা কফিনগুলোর ওপর।
এ জিনিস বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে নতুন নয়। বস্তুত বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প ভবন ধসে পড়া এবং আগুন লাগায় অভ্যস্ত। ১৯৯০ সালে শারকা গার্মেন্টস-এ ২৭ জন শ্রমিক আগুনের ভয়ে পালাতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মারা যায়। ১৯৯৫ সালে লুকাস গার্মেন্টস-এ আগুন লেগে দশ জন মারা যায়। ১৯৯৬ সালে সানটেক্স গার্মেন্টসে মারা যায় ১৪ জন শ্রমিক। ১৯৯৭ সালে রহমান গার্মেন্টসে মারা যায় ২২ জন শ্রমিক। ওই বছরই তামান্না গার্মেন্টসে মারা যায় আরও ২৭ জন। ২০০০ সালে চৌধুরি নিটওয়ারে মারা যায় ৫৩ জন শ্রমিক। গত বছর তাজরিন ফ্যাশনসে আগুন লেগে মারা যায় শতাধিক শ্রমিক।
ঢাকার দৃক গ্যালারিতে রাণা প্লাজা নিয়ে একটি প্রদর্শনী শুরু হয়েছে ৩১ মে, চলবে ৫ জুন অবধি। এই প্রদর্শনীর নাম ‘ট্র্যাজেডি নয়, হত্যাকাণ্ড’। সঙ্গের ছবিটি এই প্রদর্শনীর — শুভ্র কান্তি দাসের ক্যামেরায় অধর চন্দ্র স্কুলের গায়ে সাঁটা নিঁখোজ খুলনার শ্রমিক আসমা আখতারের ছবি।
Leave a Reply