কমলেশ মাহাতো (২৩) জঙ্গলমহলে ছাত্র রাজনীতি করেন, ‘ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ফেডারেশন’-এর কর্মী। শাসক দল তৃণমূলের নেতাদের তাই তিনি চক্ষুশূল অনেকদিন ধরেই। তৃণমূলের আশ্রিত গুণ্ডাবাহিনী (ভৈরববাহিনী বলে খ্যাত) তাঁর বাড়িঘর ভাঙচুর চালিয়েছে এর আগে। গত এক বছর ধরেই বশ মানাতে না পেরে তাঁকে ভয় দেখাচ্ছে তারা। ২৭ এপ্রিল ২০১২ তাঁকে ট্রেকারে বাড়ি যাওয়ার পথে দহিজুড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২৮ এপ্রিল তাঁকে ঝাড়গ্রাম কোর্টে তোলা হয়, ‘জঙ্গল থেকে বন্দুক হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে’ — এই অভিযোগ রেখে। কিন্তু ওই যৌথবাহিনী ঘেরা জায়গায়, ‘ভৈরব বাহিনী’র নজরের মধ্যে পাঁচ ফুটেরও কম উচ্চতার এক ছাত্র কীভাবে চার ফুট লম্বা বন্দুক হাতে ঘোরাঘুরি করছিল, তা নিয়ে সন্দেহ জাগে।
২৭-২৮ এপ্রিল কমলেশকে পুলিশ হেফাজতে অত্যাচার চালায় পুলিশ। আবার তাঁর পুলিশ হেফাজত চাইলেও এরপর কোর্ট তাঁর জেল হেফাজত দেয়। কিন্তু ওইদিন একরাতের পুলিশ হেফাজতের অত্যাচারে কমলেশ ভয় পায়, আবার হয়ত তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হবে। জেল হেফাজতেও তাঁকে সেই ভয় দেখানো হয়েছিল। ৮ মে জেল কর্তৃপক্ষের রবীন্দ্রজয়ন্তীর উৎসবে সে কবিতা আবৃত্তি করে। অনুষ্ঠান শেষ হলে সে জেলের শৌচাগারে গিয়ে সেখানে রাখা ফিনাইল গলায় ঢেলে দেয়। তাঁকে মেঝেতে পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীরা ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে পাঠায়, সেখানে সশস্ত্র পুলিশ প্রহরা বসানো হয়। হাসপাতালের বিছানার সাথে তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয় (সঙ্গের ছবি)।
এই আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা মিডিয়াতে এলে কলকাতা থেকে কিছু অধিকার আন্দোলনের কর্মী ১০ মে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে কমলেশকে দেখতে গেলে পুলিশ তাদের ৬ ঘন্টা আটকে রাখে।
এই অমানবিক, বেআইনি ঘটনা পরম্পরার তীব্র নিন্দা করেছে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি (এপিডিআর)।
২৭-২৮ এপ্রিল কমলেশকে পুলিশ হেফাজতে অত্যাচার চালায় পুলিশ। আবার তাঁর পুলিশ হেফাজত চাইলেও এরপর কোর্ট তাঁর জেল হেফাজত দেয়। কিন্তু ওইদিন একরাতের পুলিশ হেফাজতের অত্যাচারে কমলেশ ভয় পায়, আবার হয়ত তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হবে। জেল হেফাজতেও তাঁকে সেই ভয় দেখানো হয়েছিল। ৮ মে জেল কর্তৃপক্ষের রবীন্দ্রজয়ন্তীর উৎসবে সে কবিতা আবৃত্তি করে। অনুষ্ঠান শেষ হলে সে জেলের শৌচাগারে গিয়ে সেখানে রাখা ফিনাইল গলায় ঢেলে দেয়। তাঁকে মেঝেতে পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীরা ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে পাঠায়, সেখানে সশস্ত্র পুলিশ প্রহরা বসানো হয়। হাসপাতালের বিছানার সাথে তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয় (সঙ্গের ছবি)।
এই আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা মিডিয়াতে এলে কলকাতা থেকে কিছু অধিকার আন্দোলনের কর্মী ১০ মে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে কমলেশকে দেখতে গেলে পুলিশ তাদের ৬ ঘন্টা আটকে রাখে।
এই অমানবিক, বেআইনি ঘটনা পরম্পরার তীব্র নিন্দা করেছে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি (এপিডিআর)।
অমিতদ্যুতি কুমার প্রেরিত পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশনে পাঠানো এপিডিআর-এর চিঠি, ১১ মে, সঙ্গের ছবি ওই চিঠির সাথে পাঠানো
Leave a Reply