ব্যাসদেব বসু, ৩১ মে#
সম্প্রতি ছত্রধর মাহাতো এবং তাঁর জঙ্গলমহলের তিন সঙ্গী সাগুন মুর্মু, শম্ভুনাথ সোরেন ও সুখশান্তি বাস্কে সহ ছ-জনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণার প্রতিবাদে বারোঘন্টা বনধ ডাকে কমিটি। প্রায় সাড়ে তিন বছর বাদে জঙ্গলমহলে এই বনধ ডাকায় পুলিশ প্রশাসনের ব্যতিব্যস্ততা বেড়েছে। পঁচিশে মে-র আগের দিন পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকের মাধ্যমে লালগড় পিড়াকাটা প্রভৃতি এলাকায় দোকানপাট খোলা রাখতে বলা হয়। পঁচিশে মে বনধ দেখল লালগড় পিড়াকাটা দহিজুড়ি শিলদা বেলপাহাড়ি এবং পুরুলিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে। মেদিনীপুর লালগড় রুটে দু-একটা বাস চললেও তাতে মানুষ চড়েনি। ঝাড়গ্রাম- আমকলা বাসরুটে ঝাড়গ্রাম- বেলপাহাড়ি একটিমাত্র বাস চলে যাত্রী ছাড়াই। মেদিনীপুর রুটে বাস চালালেও পুরুলিয়ার বাসমালিকরা বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। দোকান খোলার জন্য পুলিশি তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। বন্ধ দোকানের তালিকা যেমন করেছে পুলিশ, অন্যদিকে, পুলিশ সরে যাওয়া মাত্র খোলা দোকানও বন্ধ হয়েছে। তবে ঝাড়গ্রাম শহরে বনধের তেমন প্রভাব পড়েনি। অন্যদিকে বনধের দুদিন বাদে লালগড়ের কাঁটাপাহাড়িতে আট নম্বর সিজুয়া অঞ্চল-প্রধানকে মারধোরের খবর পাওয়া যায়।
Leave a Reply