রামজীবন ভৌমিক ও শঙ্খজিৎ দাস, ২৮ ডিসেম্বর#
জানারাম টুডু ও জোয় টুডু যাদের দাদু ১৯৯৬ সালের দাঙ্গায় মারা যান, তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, এখানে কারা আছে? এই আতঙ্কের শেষ কী করে হবে?
তাদের উত্তর — ‘এখানে নয়টা বস্তির লোক আছে। যেমন সিমলাবাড়ি (নদী চর), বিত্রিবাড়ি, হলদিবাড়ি, উপেন্দুপুর টাপু (চর), কোশলবাড়ি …। ছোটো বাচ্চা আছে ১৫০-এর মতো। সাঁওতাল মানুষও বোড়ো জাতিকে আক্রমণ করিছে কচুবাড়ির পাশে ভরতনগর, বালাগাও পশ্চিমে। বালাগাওয়ে বোড়ো জাতির ক্যাম্প আছে। গরম ক্যামন করে শ্যাষ হবে বলতে পারব না। সরকার সমাধান না করলে আমরা কইতে পারব না। আমরা তো ছোটো পাবলিক। বড়ো বড়ো মন্ত্রী আছে। তারা সব জানে সব দ্যাখতাছে। সব বুঝছে কী হইতাছে। আমরার বড়ো বড়ো লিডার আছে, ওরা যদি চিন্তা করি একটা লাইন না দ্যাখায় আমরা কী করবার পায়। বড়ো লিডারই ক্যামন করি করবে? যারাই বড়ো লিডার তারাই বোড়ো জাতির কাছে ঘুষ খায়। এখানে ক্যাম্পে ৫০০ জন আছে। এখানে বড়ো লিডার থাকলে বোড়ো জাতির ১৫ লাখ ঘুষ খায়া সবাইকে বলত পালাও। এক একটা পালাবার লাইন দেখাত। আর এখানে হাওয়ায় একশো জন মরে যাইত বোড়ো জাতির হাতে।
ছোটবড়ো লিডার একদিনে বড়োলোক হয়ে যাইত। আসামের মধ্যে যত গণ্ডগোল হইছে না সব লিডার কিনিয়া কিনিয়া গণ্ডগোল হইছে। গণ্ডগোলের সময় লিডারকে বললে বলবে আমি এখন যাইতে পারব না, পুলিশ না আসলে প্রটেকশন নাই কেমন করে যাব। এভাবে আধা ঘণ্টা এক ঘণ্টা গণ্ডগোল হয়ে যায়। তখন পুলিশ নিয়ে ডেডবডি উঠাইতে আসে। এখানে মানুষ বিক্রি হয়, এখানে সমাধান কী করে আসবে। আমাদের কত সম্পদ কর্জ করি কৃষি করি করছি। সরকার কি ক্ষতিপূরণ দিতে পারবে? যতটুকু পারবে লিডাররা পাবলিককে ঠকাইবে।’
Leave a Reply