শমিত, শান্তিপুর, ৩১ অক্টোবর#
নদীয়া জেলার এক প্রান্তিক চাষি আনসার মল্লিকের সঙ্গে কথাবার্তা হচ্ছিল চাষাবাদ নিয়ে। চাপড়া থানার ডোমপুকুর অঞ্চলে তার বিঘেকয়েক জমিজিরেত আছে। ওই জমিতে আনসার লালস্বর্ণ ধান চাষ করেছেন। ধান ছাড়াও রাইসর্ষে অন্যান্য সময় চাষ করে থাকেন। পাটচাষ করেন না বলে জানালেন। একবিঘে জমিতে চাষ করতে কত খরচ হয় তা জানা গেল। ধান রোয়াতে লাগে পাঁচ জন লেবার। প্রতি লেবারের মজুরি তিনশো টাকা। আর ধান উঠলে কাটতে ঝাড়তে বাঁধতে প্রায় দশজন লেবার প্রয়োজন হয়। ঝাড়তে ও কাটতে মজুরি দিতে হয় তিনশো টাকা করে। আর বাঁধতে দুটো লেবারকে দিতে হয় দুশো পঞ্চাশ টাকা করে। অর্থাৎ এক বিঘে জমিতে পনেরো থেকে ষোলো মন ধান পেতে খরচ হয় সাড়ে পাঁচ হাজার থেকে ছ’ হাজার টাকা। রাসায়নিক সার সুফলা ব্যবহার করেন আনসার। আর ধান গাছে ধ্বসা লাগলে যদি গাছের রঙ লাল ও হলুদাভ হতে থাকে তাহলে ডাইথেন এম ৪৫ পাউডার ব্যবহার করতে হয় তখন। অন্যদিকে চৈতালি অর্থাৎ খরার ধানে প্রতি ঘন্টায় ষাট টাকা দিয়ে জমিতে জল দিতে হয়। যে খরচটা অতিরিক্ত। গত মরশুমে চৈতালি ধানে মোট পঞ্চাশ ঘন্টা জল দিতে হয়েছে আনসারকে। আষাঢ় মাসে বোনা লালস্বর্ণ আর দেড় থেকে দুমাসের মধ্যে চাষির দাওয়ায় উঠবে। এরপরই হবে গ্রামবাংলার আনন্দের পরব নবান্ন। কিন্তু ক্ষুদ্র চাষি আনসার মল্লিকের মন খুশি নেই। জানালেন খরচ মেলা। চাষ করা লস।
Leave a Reply