অমিতা নন্দী, মহেশতলা, ১৫ জুলাই#
বজবজ রোড (জিনজিরা বাজার থেকে অছিপুর অবধি) ব্যবসায়ী উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির তরফে হাইকোর্টে একটি মামলা রুজু করা হয়েছিল এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে। জিনজিরা বাজার থেকে বজবজ রোড সম্রসারিত করে ১৫ মিটার করার যে প্রচেষ্টা তার প্রথম ধাপে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে জিনজিরা বাজার থেকে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করা হয়। কোনো ক্ষতিপূরণ ছাড়া এবং উপযুক্ত লিখিত নোটিশ ছাড়া এই কাণ্ডটি সংঘটিত করা হয় মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যানের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে। এর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধ কমিটি আইনি লড়াইয়ের পথে যায়। মামলা হয় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে।
ইতিমধ্যে আরও একটি বিষয় সামনে চলে আসে — বজবজ থেকে জলের পাইপ বসানোর কাজ ও সেজন্য দোকান ভাঙা। বজবজ থেকে যখন পাইপলাইন বসানো হয়েছে তা রাস্তার ধারেই বসিয়েছে। কিন্তু শ্যামপুর (ইডেন সিটি মহেশতলার কিছু আগে) থেকে মহেশতলা পুরসভা অঞ্চলে ঢোকার সময়ে দেখা গেল বেশ কিছু দোকান ভাঙা শুরু হল। সিএমডব্ল্যু-র স্থানীয় কন্ট্রাক্টরা বলেছিল দোকান তারা ভাঙবে না। কিন্তু মহেশতলার চেয়ারম্যান তা মানেননি। ফলে মাসখানেক আগে যখন শ্যামপুর ও ডাকঘরের কাছে জালখুরা স্কুল অবধি দোকানপাট ও একটি ক্লাবঘর ভেঙে দেওয়া হয়, দোকানদাররা বাধা দেয়। এখন সেখানে কাজ আটকে আছে।
ফলে ব্যবসায়ী উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি হাইকোর্টে আবার দ্বিতীয় একটি মামলা শুরু করে।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ঘরে উপরোক্ত দুটি মামলারই শুরু হয়েছে জুন মাসের শেষ শুক্রবার। প্রধান বিচারপতি সরকারপক্ষকে ১৫ দিন সময় দিয়েছেন তাদের সমস্ত ডকুমেন্ট, নোটিফিকেশন ইত্যাদি কোর্টে দাখিল করার জন্য। অপরপক্ষে ব্যবসায়ীদের যিনি আইনজীবী তাঁকেও বলেছেন এযাবৎ তাঁরা যেসমস্ত চিঠিপত্র, নোটিশ ইত্যাদি দিয়েছেন সেসব কিছুর কপি আবার সার্ভ করতে।
গত ১৩ জুলাই শুনানির দিন ছিল। কিন্তু শুনানি হয়নি। আরও এক সপ্তাহ সময় বাড়ানো হয়েছে।
Leave a Reply