শমীক সরকার, দি হিন্দুর রিপোর্ট থেকে, ২৮ এপ্রিল#
গুজরাতের সুরাত জেলার কাকরাপার পরমাণু কেন্দ্রের থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত আদিবাসী গ্রাম মোতিচের। এখানকার মহিলাদের নিয়ে গড়া একটি সংগঠন রীতিমতো চিঠি লিখে প্রশাসনকে জানিয়ে ভোট বয়কট ঘোষণা করেছে। প্রথমে তারা একটা চিঠি লিখে তাদের দাবিগুলি জানিয়েছিল, যেমন, জল, বাচ্চাদের স্কুল এবং যুবকদের চাকরি। কিন্তু তা পূরণ না হওয়ায় ২১ এপ্রিল জেলা প্রশাসনকে চিঠি লিখে তারা ভোট না দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে।
২৫ বছর আগে পরমাণু কেন্দ্র গড়ার জন্য তাদের জমিজিরেত নিয়ে নেওয়ার সময় চাকরি দেবার ব্যাপারে সরকার থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন কাকরাপার পরমাণু কর্তৃপক্ষ এই ধরনের কোনো প্রতিশ্রুতির কথা অস্বীকার করছে। যাই হোক, জমি নেওয়ার সময় এমনকী বাচ্চাদের একটি স্কুলের জমিও নিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
এইসব অভাব অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পরমাণু বিকিরণের ভয়। কাছেই পরমাণু কেন্দ্র — ১৯৯০ এর দশক থেকেই চালু রয়েছে দুটি ইউনিট। কাকরাপারের জলাধার থেকে জল মেশে তাপি নদীতে। মাঝখানে কাকরাপার কর্তৃপক্ষ তাপি নদীর জলে বিকিরণের প্রভাব মাপার জন্য জলের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তা মেপে তারা কী পেয়েছিল তা জানায়নি কেউ।
সংগঠনটির নেত্রী নন্দুবেন চৌধুরি জানালেন, আমরা কেউ ভোট দেব না। গ্রামের সমস্ত পুরুষেরও সম্মতি আছে আমাদের এই প্রস্তাবে। আর কতদিন আমরা অন্যায় সহ্য করব? আগে আমাদের পরমাণু চুল্লি সম্পর্কে কোনো জ্ঞান ছিল না। কিন্তু এখন আমরা সবাই সংগঠিত।
গ্রামের মহিলাদের এই দাবির মুখে পড়ে মোতিচের গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান সোনাবেন চৌধুরি মহিলাদের এই সিদ্ধান্তের পক্ষেই দাঁড়িয়েছেন।
ছবি দি হিন্দু পত্রিকার প্রতিবেদক রাহি গাইকোয়াড়ের তোলা।
Leave a Reply