জিতেন নন্দী, রামজীবন ভৌমিক, মুহাম্মদ হেলালউদ্দিন এবং কামরুজ্জামান ৮ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত আসামের জাতিদাঙ্গা বিধ্বস্ত বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেন, ছবি তোলেন, সাক্ষাৎকার নেন। তার ভিত্তিতে প্রতিবেদন, ছবি এবং অডিও প্রকাশিত হচ্ছে এখানে। এই তথ্যানুসন্ধানে সহায়তা করেছেন সংবাদমন্থন এবং মন্থন সাময়িকী পত্রিকার দীর্ঘদিনের পাঠক নারায়ণ নন্দী এবং আসামের দীর্ঘদিনের বামপন্থী কর্মী তাপস দাস। এখানে প্রকাশিত তথ্যাদির সম্পূর্ণ দায় জিতেন নন্দী, সম্পাদক, সংবাদমন্থন এবং মন্থন সাময়িকী পত্রিকা। প্রকাশিত তথ্য, অডিও বা ছবি যে কেউ ব্যবহার করতে পারেন, কেবল সূত্র হিসেবে ‘সংবাদমন্থন’ ওয়েবসাইট উল্লেখ করলেই হবে, এবং ই-মেল মারফত তা আমাদের জানালে আরো ভালো হয়। আমাদের ইমেল : manthansamayiki@gmail.com
মন্থন সাময়িকীর জুলাই আগস্ট সংখ্যায় প্রকাশিত লেখাগুলি
১৪ সেপ্টেম্বরের নোট
গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর, আমি, রামজীবন, হেলালউদ্দিন ও কামরুজ্জামান গোসাইগাঁও ও ধুবড়িতে কতকগুলো শিবির ঘুরে দেখেছি। তার আগেরদিন যখন আমরা কোকরাঝোড় পৌঁছালাম, তখন দেখলাম, স্টেশনে এবং শহরের সব জায়গায় পোস্টার সাঁটা আছে। পোস্টারে লেখা ছিল, ণ্ণবাংলাদেশীদের বয়কট করো, নাহলে শাস্তি দেওয়া হবে’। অর্থাৎ অ-বোরোদের পক্ষে পরিস্থিতি খুবই ভয়ানক এবং উদ্বেগজনক।
গতকাল সকালে আমরা শ্রীরামপুর স্টেশন থেকে রওনা দিয়ে আক্রান্তদের ত্রাণশিবিরগুলো দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে দেখলাম, সরকারী উদ্যোগে, যাদের জমির পাট্টা আছে, তাদের ফোটো তোলা হচ্ছে। এর ফলে ত্রাণশিবিরে একটা আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। কারণ গ্রামগুলোতে অনেক অধিবাসী আছে, যারা কয়েকপুরুষের বাসিন্দা, কিন্তু তাদের কোনও জমির পাট্টা নেই। আসলে আসাম সরকার ১৯৮৬ সাল থেকেই জমির পাট্টা নথিভুক্ত করা বন্ধ করে দিয়েছিল। ফলে অনেকেই আছে, যারা জমি কিনেছে, কিন্তু কেনা জমির কোনও সরকারি রেকর্ড নেই। সরকার বলছে, তিন কিস্তিতে ত্রাণশিবিরের লোকেদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে। প্রথম কিস্তিতে যাদের জমির পাট্টা আছে তাদেরকে গ্রামে ফেরত পাঠানো হবে। কিন্তু মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষেরা, যারা ত্রাণশিবিরে আছে, তারা বলছে যে তারা একসঙ্গেই গ্রামে ফিরবে।
আজকে ণ্ণঅল বোরো স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’-এর পক্ষ থেকে কোকরাঝোড়ে একটা সভা ডাকা হয়েছে। যদিও বৃষ্টি হচ্ছে, তবুও স্কুল-কলেজের ছাত্ররা এবং অঞ্চলের মানুষরা অনেকেই খালি পায়ে হেঁটে, দলে দলে সভায় এসে যোগ দিচ্ছে।
অডিও ফাইল (সাক্ষাৎকার বা আলোচনা) :
বামপন্থী শ্রমিক আন্দোলনের কর্মী তাপস দাসের সঙ্গে কথা, গুয়াহাটি।
সংবাদলহরী পত্রিকার অসীম মিত্রের সাথে কথা, গুয়াহাটি।
সকালবেলা পত্রিকার অমল গুপ্তর সঙ্গে কথা, গুয়াহাটি।
গুয়াহাটি বশিষ্ট-র শান্তি সাধনা আশ্রমে সর্ব সেবা সংঘর প্রেসিডেন্ট রাধা ভাটের সঙ্গে কথা।
তারেন বড়ো-র সঙ্গে কথা, গুয়াহাটি।
গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল মান্নানের বক্তব্য
বড়োসা-র সম্পাদক চিনু বসুমাতারির সঙ্গে কথা, কোকরাঝাড়
টিটাগুড়ির বিজয় কুমার ব্রহ্ম-র সঙ্গে কথা, কোকরাঝাড়
গ্রাহামপুর এইচ এস স্কুলের ক্যাম্পে রেজিয়া বেওয়া-র সঙ্গে কথা, গোসাইগাঁও
ধুতুরামারি এমই মাদ্রাসার ক্যাম্পে সোরাব আলি-র সঙ্গে কথা, গোসাইগাঁও
হাতিডুবা কলেজের ক্যাম্পে আনথাইবাড়ি গ্রামের গাঁওবুড়া জয়নাল আবেদিন শেখ-এর সঙ্গে কথা, গোসাইগাঁও
হাতিডুবা কলেজের ক্যাম্পে বাবুবিল গ্রামের গাঁওবুড়া আনোয়ার আলি-র সঙ্গে কথা, গোসাইগাঁও
সোনাহাটি সিনিয়র মাদ্রাসার ক্যাম্পে মুহাম্মদ আবারুদ্দিন শেখ-এর সঙ্গে কথা, গোসাইগাঁও
সোনাহাটি সিনিয়র মাদ্রাসার ক্যাম্পে মুহাম্মদ আবদুল করিম-এর সঙ্গে কথা, গোসাইগাঁও
যুগশঙ্খ পত্রিকার স্বপন আইচের সঙ্গে কথা
আদিবাসী কোবরা মিলিটারির চেয়ারম্যান জাব্রিয়াস খাখা-র সঙ্গে কথা, শ্রীরামপুর, গোসাইগাঁও
কোকরাঝাড়ের এমএলএ প্রমীলা রাণী ব্রহ্ম-র সঙ্গে কথা
নাচানগুড়ির ৩ নং পঞ্চায়েতের সদস্য নূর মুহাম্মদ আলি-র সঙ্গে কথা, বঙ্গাইগাঁও
ডোনকিনামারি ক্যাম্পের আসিজুল খাতুন-এর সঙ্গে কথা, বঙ্গাইগাঁও
ডোনকিনামারি ক্যাম্পের হাওয়া বানু-র সঙ্গে কথা, বঙ্গাইগাঁও
ডোনকিনামারি ক্যাম্পের আবুল কাসেম-এর সঙ্গে কথা, বঙ্গাইগাঁও
ডোনকিনামারি ক্যাম্পের মনোয়ারা বিবি-র সঙ্গে কথা, বঙ্গাইগাঁও
ডোনকিনামারি ক্যাম্পের মুহাম্মদ আফজালুর রহমান-এর সঙ্গে কথা, বঙ্গাইগাঁও
লক্ষ্মীপুর প্রাইমারি স্কুলের ক্যাম্পের মুহাম্মদ নাজমুল হক-এর সঙ্গে কথা, বঙ্গাইগাঁও
হাপাসোরা ক্যাম্পের (১৯ বছর ধরে থাকা অস্থায়ী ক্যাম্প) হাবিলউদ্দিন আহমেদ-এর সঙ্গে কথা, বঙ্গাইগাঁও
Leave a Reply