রুনা, হিমাচল প্রদেশ, ১৩ জুলাই#
আজ ১ জুলাইয়ের সংবাদমন্থন হাতে পেলাম। বর্তমানের প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে যা লেখা আছে পড়লাম। মনে হল, দু-একটা কথা বলার আছে, তাই লিখছি।
পাহাড় ভাঙা বানের কারণ শুধুই পর্যটন বা বাড়িঘর বানানো নয়, আঞ্চলিক মানুষের ব্যবহারিক জীবনেও পরিবর্তন হয়েছে। পশুপালন আর কৃষিভিত্তিক জীবন থেকে সরে গিয়ে চটজলদি বড়োলোক হতে চাইছে এক শ্রেণী আর আরেক দল খেটে মরছে, সময় সময় ঘরের প্রয়োজনটাও মেটাতে পারে না চাষ বা পশুপালন করে। স্থানীয় লোক জমি বেচে বা ঘরে তালা লাগিয়ে শহরে চলে যাচ্ছে। উত্তরাখণ্ডে যত ঘরে তালা লাগানো গ্রাম পাওয়া যায় তা হিমাচলে নেই।
শুধুই কি পাহাড়, যে কোনো অঞ্চলের চরিত্রকে ধরে রাখার জন্যে ঘরের লোক দরকার। হিমাচলে তা আছে, কিন্তু উত্তরাখণ্ডে তা বেশ কম। সরকারি নিয়মকানুন কিছু অংশে সাধারণের চরিত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। হিমাচলে পর্যটন আছে, জমিও অন্যের হাতে যাচ্ছে; কিন্তু কৃষি-পশুপালন টিকে থাকার ফলে জমি আগ্রাসনের মাত্রা কম। আজও বেশিরভাগের প্রধান আয় স্বাধীন কায়িক শ্রম, কৃষি ও পশুপালন।
আমার মনে হয়, আমাদের মতো নদীমাতৃক দেশে কৃষি ও পশুপালন থেকে সরে আসা প্রাকৃতিক তথা সামাজিক বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ।
ভালো থেকো সবাই।
Leave a Reply