কুদানকুলামে পরমাণু চুল্লিবিরোধী আন্দোলনকারীদের সংহতিতে ইংরেজি বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জিতেন ও অমিতার রিপোর্ট ও ছবি#
৩০ ডিসেম্বর, রাত ১০টা
আজ ৩০ তারিখ। আমরা সকালবেলায় সুনামি কলনিতে গেছিলাম। সেখানকার বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বললাম। তীর থেকে আর মাঠ থেকে আমরা কেএনপিপি-র দুটো ডোম দেখতে পাচ্ছিলাম। বিকেলবেলায় আমরা ইদিনথাকারাই থেকে বেশ অনেকটা দূরে কুথানকুলি নামের একটা গ্রামে গেছিলাম। এই গ্রামটা বেশ বড়। ইদিনথাকারাই আন্দোলনের এক বড় ঘাঁটি এ গ্রামটা। ওখানকার স্থানীয় গির্জার পাদ্রী ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাত হল। তারা গান গাইল আর আমাদের সাথে দীর্ঘক্ষণ ধরে গল্পও করল। ইদিনথাকারাই আর কুথানকুলির মধ্যে আরো ছোট দুটো গ্রাম রয়েছে। সেখানে হিন্দু এবং মুসলিমরা থাকে। তারা ভয় পায় সরকার বুঝি খাবারদাবার, জল, দুধ প্রভৃতির জোগান দেওয়া বন্ধ করে দেবে। দীর্ঘ প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রধাণ দুই স্তম্ভ হল ইদিনথাকারাই ও কুথানকুলির মানুষজন। এই গ্রামদুটির জেলে পরিবারগুলো এককাট্টা হয়ে রয়েছে এবং স্থানীয় গির্জাগুলোও এদের সমর্থন করছে।
কাল নতুন বছরের প্রত্যূষলগ্নে আন্দোলন উজ্জাপন করবার জন্য তামিলনাডু, কেরালা, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, দিল্লি, উড়িষ্যা, গোয়া এবং পশ্চিমবাংলা থেকে বহু মানুষ জড়ো হয়েছে। কালকের অনুষ্ঠানের জন্য এখানকার বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েরা সারাদিন ধরে গান বাজনার মকশো করে তৈরি হচ্ছে।
২৯ ডিসেম্বর ২০১২
আজ রাত্র্বে ইদিন্থাকারাইয়ে উদয়কুমার, মেলড্রেড ও অন্যান্য লোকজনের সঙ্গে কথা বললাম আমরা। প্রশাসনিক ঘোষণা অনুযায়ী প্রথম নিউক্লিয়ার রিয়েক্টার চালু হওয়ার কথা ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে। কিন্তু কুদানকুলামের শ্রমিকদের সাথে কথা
বলে সেখানকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে উদয়কুমার জানাচ্ছেন যে সম্ভবত আরো বেশ কিছুদিন সময় লাগবে রিয়েক্টার চালু হতে।
মনে হচ্ছে কিছু প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যা রয়েছে যার কথা পারমাণবিক কর্তৃপক্ষ এবং সরকার লুকানোর চেষ্টা করছে। পি এম এ এন ই –র দেওয়া ১৭টি পরামর্শের কথা মাথায় রেখে তিনি মনে করছেন, সুপ্রিম কোর্ট থেকেও পরিবেশ ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত কিছু নির্দেশ আসতে পারে। যদি এই ব্যাপারটা কয়েক মাস পিছিয়ে দেওয়া যায় তবে পার্লামেন্ট নির্বাচনের সময় চলে আসবে আর পি এম এ এন ই নিজেদের সপক্ষে আরো কিছু পদক্ষেপ নিতে পারবে।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে উদয়ের দেখা হয়। তিনি উদয়কে আম আদমি পার্টিতে যোগদান করতে বলেন। উদয় রাজি হয়নি। তামিলনাডুতে আম আদমি পার্টির মত আরো বেশ কিছু ছোটখাটো রাজনৈতিক দল তাদের আন্দোলনকে সমর্থন করছে। কিন্তু কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিআই, সিপিএম, ডিএমকে, এআইডিএমকে তাদের বিরুদ্ধে।
করুনানিধি উদয়কে ভোটে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন। কিন্তু সে বলে, ‘ভোটে দাঁড়ানোর আগে আমি সমুদ্রের জলে লাফ দেব’।
Leave a Reply