ওমপ্রকাশ বাঘেল, গ্রাম যাজগা, সরগুজা জেলা, ছত্তিশগড়, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ওলের ছবি জিতেন নন্দীর তোলা#
লালসায় ছত্তিশগড়ের সরগুজা জেলা থেকে এসেছিলেন উড়িষ্যার রায়গাড়া জেলার মুণ্ডা গ্রামে। এখানে এসে এমন একটা ওল দেখতে পেলেন তিনি, যা আগে সরগুজাতেও ছিল, এখন আর দেখা যায় না। তাই সেই ওল নিয়ে চললেন তিনি ছত্তিশগড়ে নিজের গ্রামে, মাটিতে লাগাবেন। এই ওল সমস্ত আধুনিক বিপত্তি সামলিয়ে মাটির নিচে বেড়ে ওঠে। কোনো পোকামাকড় একে জব্দ করতে পারে না। এই ওল সেদ্ধ করে জলটা ফেলে দিয়ে তেঁতুল বা কোনো টক দিয়ে রাঁধতে হয়। খেতে ভালোই।
লালসায় পাহাড়ি কোরবা জনজাতির মানুষ, আজ থেকে শ-দেড়শো বছর আগে এঁরা দেওরা চাষ করত। প্রাচীন চাষ, হাল ছাড়াই সেই চাষ হয়। ১৯২৪ সালে আইন করে জঙ্গলে এদের চাষ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকে জঙ্গলে ঢোকা এদের জন্য নিষিদ্ধ। আজ এদের জীবন বিপন্ন। মারোয়া পঞ্চায়েতের খাড়রানগরে আছে ৩২টা পরিবার। একলব্ধি, রমলা, দেবঘোরি, কামোদার, দলকেতমা, মারোয়া গ্রামে আরও পাহাড়ি কোরবা পরিবার আছে, মোট ছ-শো পরিবার। সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এদের লুকিয়েই চাষ করতে হয় জঙ্গলে। এরা কাঙ নামে একটা বীজের চাষ করে, সেটা ধানের চেয়ে ছোটো একটা দানা, কিন্তু তার থেকে ভাত বানিয়ে এরা খায়। মারুয়া নামে কালো একটা দানা ফলিয়ে এরা রুটি বানিয়ে খায়। এছাড়া খেরি নামক শস্যের চাল বানিয়েও এরা খায়। আর আছে নানারকম কন্দমূল।
এদের ভাষা পাহাড়ি কোরবা। ছত্তিশগড়ি ভাষার সঙ্গে এই ভাষার কিছু মিল রয়েছে। অবশ্য স্কুলে গেলে এদের ছেলেমেয়েদের হিন্দিতেই পড়তে হয়।
Leave a Reply