শমিত। শান্তিপুর। ১৮ জুলাই, ২০২০। #
এতদ্বারা সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে যে, পরিযায়ী শ্রমিকরা একশ দিনের কাজ করতে ইচ্ছুক হলে পরিবারের জব কার্ড নিয়ে ৪-ক ফর্মে নিজ নিজ গ্রাম পঞ্চায়েতে যোগাযোগ করুন। এ প্রসঙ্গে আরো উল্লেখ্য, যদি পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের জব কার্ড না থাকে তাহলে জব কার্ডের জন্য নিজ নিজ পঞ্চায়েতে যোগাযোগ করুন। তবে পরিযায়ী শ্রমিকদের আর্থিক সাহায্য সংক্রান্ত কোনো প্রকার ফর্ম বি. ডি. অফিস থেকে দেওয়া বা জমা নেওয়া হচ্ছেনা। দয়া করে কোন গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না। আদেশানুসারে কর্তৃপক্ষ
ওপরের এই নির্দেশিকাটি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। করোনা পরিস্থিতিতে গোটা দেশ জুড়েই শ্রমিকদের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। ভিনরাজ্যে যে সমস্ত শ্রমিকরা কাজ করতেন কাজ হারিয়ে আজকে তারা সবাই বেকার। শান্তিপুর ব্লকের হাজার হাজার ভিনরাজ্য-ফেরৎ শ্রমিকরা কাজের জন্য খোঁজাখুঁজি করছেন। ১০০ দিনের কাজ জুটছেনা।
গয়েসপুর, বাগআঁচড়া, ভোলাডাঙা, টেংরিডাঙা, হিজুলী, চরপানপাড়া সহ ব্লকের কোথাও এই ফেরৎ শ্রমিকদের জন্য একশ দিনের কাজের কোন সুরাহা হয়নি। ওই সমস্ত গ্রামের অল্প কিছু স্থানীয় মানুষের জব কার্ড আছে, তারাই যা ১০-১৫ দিনের কাজ পাচ্ছেন। হিজুলী গ্রামের হাসিবুল, রাকিব, আতিকুল, মোজাম্মেলদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল- আজ দু'মাস হল গ্রামে ফিরে এসেছি। সেই থেকে বসে। যেটুকু জমানো টাকা ছিল তা কবেই শেষ হয়ে গেছে অথচ কোন কাজ জুটছেনা। পঞ্চায়েত অফিসে গিয়েও কোন লাভ হচ্ছেনা। এখন ঘটি বাটি বিক্রি করে দিন চালাতে হবে দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ ঘটি বাটি ও সামান্য সোনা রুপোর জিনিস যা ছিল বিক্রি করতে শুরু করেছেন বলে শোনা গেল। চরপানপাড়ার ভিনদেশ ফেরৎ শ্রমিক সত্যজিৎ পাত্র, নিতাই পাত্ররা জানালেন- আমফান ও পরবর্তী ঝড়ের পর গ্রামের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেসব কাজকে একশ দিনের কাজের প্রকল্পে এনে গ্রামের যুবকদের কাজ দিতে পারত সরকার। কিন্তু সেসব কিছুই করলনা। আমরা এখন দিশেহারা।
Leave a Reply