দি হিন্দু পত্রিকা থেকে, ১৬ জুন#
উত্তরাখন্ডের বিপর্যয়ের ঠিক এক বছর পর ১৬ জুন উত্তরাখন্ড ও শ্রীনগরে দুর্গত মানুষদের অধিকার নিয়ে ২৪ ঘন্টা অনশন বিক্ষোভ করল কয়েকটি জন সংগঠন। শ্রীনগরের পাউরি জেলায় অনশনে বসা সংগঠনগুলি ছিল বিষ্ণুপ্রয়াগ বান্ধ আপদা সঙ্ঘ, অসি গঙ্গা বান্ধ আপদা প্রভাবিত সমীতি, শ্রীনগর বান্ধ আপদা প্রভাবিত সমীতি, মাতু জনসংগঠন, ভূবিস্থাপিত সংঘর্ষ সমীতি এবং ভূস্বামী সংঘর্ষ সমীতি। এই সংগঠনগুলির বেশিরভাগই ২০১৩ সালের ১৬ই জুনের পর বিপর্যয় আক্রান্ত মানুষদের অধিকারের জন্যে লড়াই করার উদ্দেশ্যে তৈরী করা হয়। বিভিন্ন আদালতে এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলিকে নিয়ে অনেক মামলা করা হয়েছিল, এই প্রকল্প নির্মাকারী কোম্পানীগুলির কাছেও ক্ষতিপূরন দাবী করা হয়েছিল, কিন্তু এই ব্যাপারে HEP এর ভূমিকা খুবই দুঃখজনক।
মাতু জনসংগঠনের বিমল ভাই এই ব্যাপারে বলেন “ অলকানন্দা ও কিছু নদীর পার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি থেকে উৎপন্ন বর্জ ও ময়লা আবর্জনায় ভরে উঠেছে, কিন্তু সরকার এই ব্যাপারে কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেননি।“
এই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন “ এই HEP সংস্থাগুলি তাদের কারনে ঘটা এই বিপর্যয়ে আক্রান্ত মানুষদের জন্যে আদৌ কোনো ক্ষতিপূরন দিতে ইচ্ছুক নন” ।
AHPCL প্রকল্পের জন্যে শ্রীনগরের মানুষদের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরনের দাবিতে, আর শ্রীনগরের অর্ধেক জায়গা ময়লা আবর্জনা, পলি , ধ্বংসাবশেষ এ ভরে আছে তা পরিষ্কারের জন্যে National Green Tribunal এ একটি মামলা করা হয়েছে। অনশনে বসা সংগঠনের প্রতিনিধীরাও শ্রীনগরে জমে থাকা টন টন আবর্জনা পরিষ্কারের দাবী তুলেছেন।
এই প্রসঙ্গে শ্রীনগরের মহকুমা শাশক রাজা আব্বাস বলেন “ গত বছরের বন্যায় AHPCL এর আবর্জনা ফেলার জায়গা ভেসে গিয়েছে। এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে ওই প্রকল্পের নীচের দিকে কিছু বিল্ডিং এ আবর্জনা জমে গিয়েছে। যদিও শ্রীনগরের অধিবাসীরা এখনও কোন ক্ষতিপূরন পাননি।
Leave a Reply