বরেন্দ্র নাথ সরকার, আলু ব্যবসায়ী, জৌগ্রাম, ২০ নভেম্বর#
আলুর দাম যে সরকার বেঁধে দিল, কোন আলু? আলু সম্বন্ধে আমাদের মমতা ব্যানার্জির কোনো ধারণাই নেই। আলুর বিভিন্ন কোয়ালিটি রয়েছে। জ্যোতি, চন্দ্রমুখী, পোখরাজ। মেদিনীপুরের আলু একরকম, আবার বাঁকুড়ার আলু অন্যরকম। হুগলির কমড়ুল এলাকার আলুর মান সব এলাকার চাইতে ভালো। আমি জিজ্ঞেস করি, তিনি কোন আলুর দাম বেঁধে দিলেন? এছাড়া আলুকে বাছাই করে বিভিন্ন ভাগ করা হয়। মূলত তিন ভাগ করে ১, ২, ৩ নম্বর করা হয়। ১ নম্বরটা কলকাতায় চলে। ৩ নম্বর চলে বিহার-উড়িষ্যায়। সেটা কলকাতায় পাঠানোই যাবে না। প্রত্যেকটার দাম আলাদা আলাদা।
দিদি আলু নিয়ে কিছুই জানেন না। আলু ব্যবসায়ীদের নিয়ে বসেছিলেন বটে, কিন্তু তাদের কথা শুনতেই চাননি। নিজের মত অপরের ওপর চাপিয়ে দিয়ে দাম বেঁধে দিয়েছেন।
এবছর উত্তরবঙ্গে আলু উৎপাদন অন্য বছরের চেয়ে ভালো হয়েছিল। উত্তরবঙ্গের আলুটা পাঞ্জাবে রপ্তানি শুরু হয়েছিল। শুধু উত্তরবঙ্গই নয়, রাজ্যে আলু উৎপাদন এবছর বেশি ছিল। অধিক উৎপাদনের ফলে আলুচাষির আলু স্টক করার ক্ষেত্রে ভয় ছিল। তাই চাষি লসে আলু বিক্রি করছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সবজি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আলুর চাহিদা বাড়ে, তখন দাম বেড়ে যায়। আসাম, অন্ধ্র, বিহার, উড়িষ্যায় আলু বরাবরই যায়। এখনও যাচ্ছে। প্রশাসন, ক্যাডারদের ঘুষ দিয়ে যাচ্ছে।
হঠাৎ করে সরকার আলু বাইরে পাঠানো বন্ধ করে দিল। যে আলু কলকাতায় চলে না, পশ্চিমবঙ্গে চলে না, তা কি আমরা ফেলে দেব? নিম্নমানের আলু বিহার-উড়িষ্যায় যায়।
Leave a Reply