সুদীপ ঘোষ, একাধারে চাষি ও ব্যবসায়ী, কালাপাহাড়, জৌগ্রাম, ২০ নভেম্বর#
আমাদের ২০-২৫ বিঘা জমিতে ধান হয়, যা জমি সবটাতেই আলুও হয়। যে বছর যেমন, গত সিজনে হাজার দেড়েক বস্তা আলু স্টোরে রেখেছি। আর হাজার পাঁচেক বস্তা কিনেছিলাম। পুজোর আগেই স্টোর থেকে আমার ম্যাক্সিমামটা বেরিয়ে গেছে। এখন স্টোরে যে ১৫-২০% আলূ রয়েছে, সেগুলো ধরুন বড়ো বড়ো পার্টিদের। বিশ-পঁচিশ হাজার, এক লাখ প্যাকেট আলু আছে; কিছু চাষিবাসী বীজের জন্য আলু রাখে। ধরুন, বীজের জন্য লাগবে একশোখানা। পঞ্চাশখানা বেচে দিয়ে স্টোরের ভাড়াটা মেটাবে। পুজো পর্যন্ত চাপটা থাকে, পুজোর পর হালকা হয়ে যায়। বিগত ক-বছর দেখা যাচ্ছে, শেষে আলু খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আমি যতদিন এই লাইনে এসেছি, দশ বছর ধরুন, এই প্রথম শেষে এরকম দাম দেখলাম। তাও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে। আমাদের বাংলায় আলু কম আছে, তা নয়। উড়িষ্যা, অন্ধ্র, যেখানে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়েছে, সেখানে আলুর … বর্তমানে যে দামটা আছে, এতেও চাষির লাভ হচ্ছে নাকি? চাষি তো ম্যাক্সিমাম আলুটাই বিক্রি করে দিয়েছে পুজোর আগে। যারা (বড়ো ব্যবসায়ীরা) রিস্ক নিয়েছে, (একটু হেসে) তাদের লাভ হচ্ছে। কিন্তু এইবছর ৭০% আলুতে লস হয়েছে। বাকি ৩০%, তার ১০% তো বীজে চলে যায়। আছে ২০%, সেই ২০% আলুটায় লাভ যতই করুক, তাতে ৭০%-এর লসটা মিটবে না।
Leave a Reply