• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • ২০১২-র আগস্ট অব্দি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

শ্রমজীবী হাসপাতালে আমার চিকিৎসা

August 14, 2014 admin Leave a Comment

মুহাম্মদ সালমান হেলাল, কান্দুরী, মুর্শিদাবাদ#

sramajibi

২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে কুরবানির পরের দিন থেকে আমার জ্বর ও পেটের যন্ত্রণা শুরু হয়। ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার এলাকার প্রাথমিক হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করি। কিন্তু জ্বর আসাও থামল না, রক্ত পরীক্ষায় কিছু ধরাও পড়ল না। তাই ১৪ নভেম্বর সুচিকিৎসার জন্য কলকাতায় আসি এবং রক্ত পরীক্ষা করাই। কিন্তু ফলাফল একই।
১৫ নভেম্বর কলকাতায় ফের জ্বর শুরু হয়। ওই দিন এন আর এস-এ চিকিৎসা করিয়ে কিছু দিন সুস্থ থাকি। কিন্তু ন-দিনের মাথায় রাতে পেটে ব্যথা ও বমি হতে থাকায় গভীর রাতে কলকাতা মেডিক্যাল হাসপাতালে যাই, সেখানে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠি। পরে ইউএসজি-তে দেখা যায়, পিত্তথলিতে পাথর আছে। মেডিক্যালে ডাক্তার ইকবাল হোসেন দেখে বলেন, অপারেশন ছাড়া বিকল্প নেই। আমার আব্বা অপারেশনের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েন।
অপারেশন করাব কোথায়? সরকারি হাসপাতালে তারিখ পেতে দেরি। দুটি বেসরকারি নার্সিং হোমে খোঁজ নিয়েছিলাম, একটি বলে পঁচিশ হাজার টাকা লাগবে, অন্যটি বলে উনিশ হাজার টাকা নেবো, আর তিন হাজার টাকার ওষুধ কিনে দিতে হবে। তখন আব্বার আরেক বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারি বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতালের কথা। হাসপাতালে প্রবেশ করে দেখি প্রত্যেক ডাক্তারদের সময়সূচি ও নামের তালিকা দেওয়া আছে। আমাকে সার্জেনকে দেখাতে হবে। সেদিন সার্জেন ড. শঙ্কর দাস বসবেন বেলা একটায়।
আব্বার পরিচিত বসির ভাইয়ের মাধ্যমে আলাপ হয় হাসপাতালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত প্রাণ সুব্রতবাবুর সঙ্গে। সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত সুব্রতবাবু কিছুক্ষণের আলাপে আমাদের আপন করে নেন। এখানে মাত্র এগারো টাকায় যে কোনো ডাক্তারকে দেখানো যায়। পাঁচ টাকার বিনিময়ে শ্রমজীবী হাসপাতালের পত্রিকাটি পেয়ে সেখান থেকে হাসপাতালের অনেক অজানা তথ্য পেয়ে যাই।
ডা. শঙ্কর দাস দেখে বললেন, অপারেশন করতে হবে। মেডিক্যাল চেক আপ হয়, ১৫ ডিসেম্বর ভর্তি হই, পরদিন অপারেশন হওয়ার কথা। কিন্তু পরদিন ডাক্তারবাবু না আসায় ১৭ তারিখ অপারেশনের জন্য ঠিক হয়। নির্ধারিত সময়ে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার পরেও আরও কিছু শারীরিক ত্রুটির কারণে তা আটকে যায়। আমি বেশ ভেঙে পড়ি। আরও তিনদিন চিকিৎসার পর ডাক্তারবাবু আমায় ছুটি দিয়ে দেন। বাড়ি যাওয়ার সময় বললেন, আজ হয়নি আগামীতে হবে।
এক মাস পর ডাক্তারবাবুর পরামর্শ মতো বাড়িতে বিশ্রাম ও চিকিৎসা চলতে থাকে। এক মাস পর পুনরায় ভর্তি হই ও অপারেশন হয়। শ্রমজীবী হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্স এবং কর্মীদের অমায়িক ব্যবহার আমাদের মুগ্ধ করে। এদের চিকিৎসা ব্যবস্থা অত্যন্ত সুন্দর, এদের চিকিৎসাতেই আমি সুস্থ হয়ে উঠি। মাত্র আট হাজার টাকায় সমস্ত কিছু হয়ে যায়।
শ্রমজীবী হাসপাতালের লক্ষ্য হল মানুষের সেবা করা। বিশেষ করে চিকিৎসা পরিষেবার মানবিক এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে। আজকের দিনে চিকিৎসা যখন ব্যয়বহুল এবং ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়, তখন গরিব শ্রমজীবী মানুষেরা চিকিৎসা পান না। তাই শ্রমজীবী হাসপাতালের জন্ম। এখানে সব চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় কম খরচে। শুধু আর্থিক সাশ্রয় নয়, এখানে পাবেন মানবিক পরিতৃপ্তি।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বেলুড়, বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতাল, শ্রমজীবী, শ্রমজীবী স্বাস্থ্য প্রকল্প

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

সম্পাদকীয়

নীমা তেনজিনদের স্বপ্ন কি সার্থক হবে ?

একটি রাজনৈতিক সুইসাইড নোট

এই বিভাগের আরও

দেশের খবর

নিজেদের চাষের খবর দিলেন, দিল্লির আন্দোলনের খবর নিলেন সরবেড়িয়ার চাষিরা

গ্রামে বাড়ছে অভাবী বিক্রি। কৃষক মান্ডির হ্যাপার চাইতে চাষির ভরসা কাছের আড়ৎ।

এই বিভাগের আরও

সংস্কৃতির হাল

মরজীবনের গান গাইতে মিলনের অপেক্ষায় থাকে আজাহার ফকিরের অমর মেলা

ঘরে রাখা শস্যের বীজ ভালো আছে কিনা দেখে নেওয়া হয় ‘শস’ পাতার মধ্যে দিয়ে

এই বিভাগের আরও

খবরে দুনিয়া

‘গান গাইবি না, খাবারও পাবি না’// ফ্রান্সের মেনিল আমেলো’র ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে অভিবাসীদের এজাহার

মার্কিন মুলুকে নির্বাচন : বার্নি স্যান্ডার্সের প্রচারের একজন সমর্থকের সঙ্গে কিছু আলাপ, কয়েক মাস আগে

এই বিভাগের আরও

পথের খবর

সকালের ডাউন রানাঘাট লোকালে ‘জয় শ্রীরাম’ / ‘ভারতমাতা কী জয়’ গর্জন আর শোনা যাচ্ছে না

জাতীয় পতাকা নামিয়ে দিয়েছে লালকেল্লা থেকে, আপনি দেখেছেন?

এই বিভাগের আরও

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • Soumitra Seth on ময়দা কালীবাড়ি, বহরু
  • Suman mondal on চীনের সাথে চুলের ব্যবসা। বেলডাঙার বিদেশ-ব্যাপারী
  • রাজেশ মাহাতে on আদিবাসী কুড়মি সমাজের তিন জেলায় একদিনের অনশন
  • Dipanjan Das on নতুনহাটের মেছুড়ে জয়নালের কীর্তি

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in