• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

শান্তিপুরে চাষীদের সাথে কথাবার্তা : যা বোঝা গেল চাষে চাষীর লাভ প্রায় নেই

July 12, 2020 admin Leave a Comment

শমিত। শান্তিপুর। ১২ জুলাই ২০২০।#

মধ্যদুপুরে যখন বাথনা কদমপুর গ্রামের চাষী পরেশ মন্ডলের সঙ্গে দেখা করতে যাই, দেখা গেল পরেশ তার বাড়ির মাটির উঠানে নতুন তেরপলের ওপর তিল মাড়াইয়ে ব্যস্ত। এবছর পরেশ ১০ কাঠা জমিতে তিল চাষ করেছিলেন গায়ে গতরে খেটে। ঠিকঠাক তিল পাওয়া গেলে দেড় কুইন্টাল তিল পাওয়ার কথা। এবছর মেরেকেটে ৩০-৩৫ কেজি তিল পাবে বলে জানালেন পরেশ। আমফান ঝড় এবছর ফসলের খুব ক্ষতি করেছে। এছাড়াও চিটে রোগে তিলের দফারফা হয়েছে। প্রতি কিলো বড়জোর ৫০ টাকা দরে ১৫০০-২০০০ টাকা পাবেন তিলটুকুনি বেচে। অথচ চাষ বাবদ খরচ হয়েছে ৩২০০ টাকা। গতর খাটুনির মজুরি উঠবেনা। ১৫ কাঠা জমিতে বোরো ধান চাষ করে ১০ মণ ধান পাবেন – যাতে ক্ষতি প্রায় ৩ হাজার টাকা। পরেশ জানালেন আমফান ও তার পরবর্তী ঝড় এবার তিল ও ধানচাষীদের শুইয়ে দিয়েছে। কথা হল নন্দিতা মন্ডলের সঙ্গে। ১ বিঘা জমিতে তিল চাষ করে ২০-২৫ কিলো তিল পেয়েছেন। জানালেন চটা লেগে এবারে তিল নষ্ট হয়েছে প্রচুর। অথচ গত বছরে একই জমিতে আড়াই কুইন্টাল তিল পেয়েছিলেন। এবছরে তিল ও ধান চাষে ডাঁহা লস। পরিশ্রমটা জলে গেল। নন্দিতাদি জানালেন এবং অন্যান্য চাষীদের কাছেও জানা গেল, এবারে অনেক চাষী তিলগাছ কাটেননি।

নদিয়ার মুড়াগাছা, দোগাছিয়া অঞ্চলে ফুলচাষ করছেন চাষীরা

অপরদিকে শান্তিপুর ব্লকের আরেক প্রান্তের চাষী প্রসেনজিৎ হাজরা দু’বিঘা জমিতে তিল চাষ করেছিলেন। প্রায় দেড় কুইন্টাল তিল পেয়েছেন। বেশ লাভ করতে পেরেছেন ব’লে জানালেন তিনি। চরপানপাড়ার এক সবজি চাষীর সঙ্গে চাষবাস নিয়ে কথাবার্তায় জানা গেল, বিরাট ঝড়ের পর বর্ষা এসে যাওয়ায় সবজির দাম আকাশছোঁয়া। তিনি জানালেন, এই ১ কুইন্টাল বেগুন নিয়ে গুপ্তিপাড়ার পাইকারি হাটে দিলে ১০ টাকা কিলোদর পাবেন। যার দাম খুচরো বাজারে কিলো প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। যা বোঝা গেল চাষে চাষীর লাভ প্রায় নেই। শান্তিপুরের গ্রামগুলো ঘুরে দেখা গেল পাটচাষীরা অনেকেই পাট তুলে ফেলেছেন। পাট ছাড়ানো, জলে জাক দেওয়ার জন্য তোড়জোড় করছেন। পাটচাষীরা জানালেন, আরো প্রায় দেড়-দু’মাস পরে পাট ওঠে। কিন্তু এবছরে আমফান ঝড় পাটের খুব ক্ষতি করেছে। যেকারণে পাটচাষও ভালো হলনা। সবমিলিয়ে চাষবাসের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রচুর খরচাখরচ করে এবং এত পরিশ্রমের পরে প্রতিবারেই চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এভাবে কতদিনই বা চলবে! বেশ হতাশ হতেই দেখা গেল চাষীদের।    

কৃষি ও গ্রাম আমফান, গ্রামীণ শান্তিপুর, চাষবাস, তিলচাষ, পাট চাষ

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in