• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • ২০১২-র আগস্ট অব্দি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

মৎস্যজীবী আন্দোলনের প্রাণপুরুষ, পরিবেশকর্মী ও পরমাণু প্রতিরোধ কর্মী টমাস কোচারি প্রয়াত

May 15, 2014 admin Leave a Comment

ন্যাশনাল ফিশ ওয়ার্কার্স ফোরামের প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে, ৫ মে#

kocherry
দক্ষিণ ভারতের মৎস্যজীবীদের অধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ টমাস কোচারি কেরালার ত্রিবান্দ্রমের একটি চার্চে ৩ মে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ১১ ভাই বোনের মধ্যে একজন কোচারি কেরালায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তারপর খ্রীষ্টান ধর্ম প্রতিষ্ঠানের হয়ে ১৯৭১ সালে তিরিশ বছর বয়সে রায়গঞ্জে বাংলাদেশি উদ্বাস্তুদের মধ্যে সেবামূলক কাজ শুরু করেন। পরে তিনি কেরালা ও তামিলনাড়ুর মৎস্যজীবীদের অধিকার এবং তামিলনাড়ু উপকূলে কুডানকুলাম পরমাণু প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হন। উদ্বাস্তুদের মধ্যে কাজ করার পর কোচারি ত্রিবান্দ্রমের ছোট্ট মৎস্যজীবী গ্রাম পুথুরা-তে কাজ করতে যান। সেখানে এবং উপকূলবর্তী অন্যান্য অঞ্চলে দরিদ্র ছোটো ছোটো নৌকা করে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীদের জনস্বাস্থ্য এবং ট্রেড ইউনিয়নের কাজ করেন। প্রসঙ্গত, মাছ ব্যবসায়ী এবং আড়তদারদের অত্যাচারে এই প্রবল পরিশ্রমী মৎস্যজীবীরা অত্যন্ত কম উপার্জন করত। কেরালার সমুদ্রের পাশের মিষ্টি জলের মৎস্যজীবী এলাকায় বড়ো হয়ে ওঠা কোচারির মধ্যে প্রভাব বিস্তার করেছিল চার্চ এবং কেরালার জঙ্গী বামপন্থী আন্দোলন।
কেরালার মৎস্যজীবীরা স্বাধীনভাবে সংগঠিত হতে শুরু করে ১৯৭০ এর দশকের শেষ দিক থেকেই। ১৯৮১ সালে কেরালায় কোচারি এবং জয়াচান অ্যান্টনি বর্ষার শুরুতে মাছের ডিম দেওয়ার সময় ট্রলার নিষিদ্ধ করার দাবিতে ১১ দিনের অনশন করেন। কোচারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিজের আইনি লড়াই লড়তে গিয়ে কোচারি কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশুনা শুরু করে দেন। ১৯৮২ সালে মৎস্যজীবীদের আন্দোলন আরও বিস্তার লাভ করে এবং টমাস কোচারি ন্যাশনাল ফিশওয়ার্কার্স ফোরামের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় ভারত সরকার ২৬০০ বিদেশি মাছ ধরা ট্রলারকে ছাড়পত্র দিতে চলেছিল। এতে দেশে প্রায় এক কোটি ছোটো মৎস্যজীবী সঙ্কটের সম্মুখীন হয়। কোচারির নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হয় এর বিরুদ্ধে। মিছিল, অনশন, দেশের বিভিন্ন মৎস্য বন্দর অবরোধ — এসবের মধ্যে দিয়ে ভারত সরকার বাধ্য হয় এই ছাড়পত্র তুলে নিতে। উদারিকরণের প্রয়াসের এটা ছিল বড়ো ধাক্কা। কোচারি বড়ো বড়ো ট্রলারে করে মাছ ধরার ব্যবসার তীব্র বিরোধী ছিলেন, কারণ সীমিত মৎস্যসম্পদের সহনশীল ব্যবহারে সবচেয়ে বড়ো অন্তরায় তারা।
১৯৮৯ সালে কুডানকুলাম পরমাণু প্রকল্পের কাজ শুরু হতেই তিনি এর বিরোধিতা করে আন্দোলনে যুক্ত হন। পরমাণু বিদ্যুতের তীব্র বিরোধী ছিলেন একাধারে পরিবেশপ্রেমী, ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের কর্মী, পরমাণু প্রতিরোধী। পরের দিকে কোচারি মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টি এবং প্রতিষ্ঠিত চার্চের বিরোধিতা করতেন, বলতেন, ওরা ক্ষমতালোভী, প্রাতিষ্ঠানিক হয়ে উঠেছে, সংস্কার আর নিজেদের বানানো ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি স্থাপনে ব্যস্ত। তার মতে, ‘জন আন্দোলনকে নিচুতলা থেকে উঠে আসতে হবে। তাকে এমন বিপ্লবী কাঠামো তৈরি করতে হবে, যা কিছুতেই ক্ষমতা বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিলীন হয়ে যাবে না।’

স্মরণ কুদানকুলাম পরমাণু প্রকল্প, টমাস কোচারি, মৎস্যজীবী, মৎস্যজীবী আন্দোলন

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

সম্পাদকীয়

নীমা তেনজিনদের স্বপ্ন কি সার্থক হবে ?

একটি রাজনৈতিক সুইসাইড নোট

এই বিভাগের আরও

দেশের খবর

নিজেদের চাষের খবর দিলেন, দিল্লির আন্দোলনের খবর নিলেন সরবেড়িয়ার চাষিরা

গ্রামে বাড়ছে অভাবী বিক্রি। কৃষক মান্ডির হ্যাপার চাইতে চাষির ভরসা কাছের আড়ৎ।

এই বিভাগের আরও

সংস্কৃতির হাল

মরজীবনের গান গাইতে মিলনের অপেক্ষায় থাকে আজাহার ফকিরের অমর মেলা

ঘরে রাখা শস্যের বীজ ভালো আছে কিনা দেখে নেওয়া হয় ‘শস’ পাতার মধ্যে দিয়ে

এই বিভাগের আরও

খবরে দুনিয়া

‘গান গাইবি না, খাবারও পাবি না’// ফ্রান্সের মেনিল আমেলো’র ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে অভিবাসীদের এজাহার

মার্কিন মুলুকে নির্বাচন : বার্নি স্যান্ডার্সের প্রচারের একজন সমর্থকের সঙ্গে কিছু আলাপ, কয়েক মাস আগে

এই বিভাগের আরও

পথের খবর

সকালের ডাউন রানাঘাট লোকালে ‘জয় শ্রীরাম’ / ‘ভারতমাতা কী জয়’ গর্জন আর শোনা যাচ্ছে না

জাতীয় পতাকা নামিয়ে দিয়েছে লালকেল্লা থেকে, আপনি দেখেছেন?

এই বিভাগের আরও

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • Soumitra Seth on ময়দা কালীবাড়ি, বহরু
  • Suman mondal on চীনের সাথে চুলের ব্যবসা। বেলডাঙার বিদেশ-ব্যাপারী
  • রাজেশ মাহাতে on আদিবাসী কুড়মি সমাজের তিন জেলায় একদিনের অনশন
  • Dipanjan Das on নতুনহাটের মেছুড়ে জয়নালের কীর্তি

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in