• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • ২০১২-র আগস্ট অব্দি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

মৈতেয়ী সংস্কৃতির হিন্দুত্বকরণের সরকারি প্রয়াস রুখে দিল মণিপুরের সমাজ

December 30, 2014 admin Leave a Comment

শমীক সরকার, কলকাতা, ৩০ ডিসেম্বর। তথ্যসূত্র ই-পাও ডট নেট এবং মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর অক্টোবর ২০০৪ সংখ্যা#

মণিপুরী ঐতিহ্যবাহী নাচ।
মণিপুরী ঐতিহ্যবাহী নাচ।

মণিপুরের বিধানসভায় জনপ্রতিনিধিরা সর্বসম্মতভাবে পাশ করেছিল ‘গোবিন্দজী মন্দির (তৃতীয় সংযোজনী) বিল ২০১৪’, ২৫ জুলাই ২০১৪ তারিখে। এই বিল অনুযায়ী ‘উমঙলাই’দের যেকোনো প্রথা পালনের জন্য পণ্ডিত লোইসাং-এর অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এই পণ্ডিত লোইসাঙ গোবিন্দজী মন্দির বোর্ডের ব্যক্তি, যার মানে দাঁড়ায়, ‘উমঙলাই’দের কোনো প্রথা পালন করার জন্য এবার থেকে গোবিন্দজী মন্দির বোর্ডের অনুমতি নিতে হবে। প্রসঙ্গত, উমঙলাই-রা মণিপুর উপত্যকার নিজস্ব মৈতেয়ী সংস্কৃতি-ধর্মাচরণ-প্রথামাফিক বেশ কিছু আচার অনুষ্ঠান পালন করে থাকে মণিপুরের সবচেয়ে বড়ো লোক উৎসব ‘লাই হারৌবা’ চলাকালীন, তাদের কেউ কেউ গোবিন্দজী মন্দির বোর্ডের অনুমতি নেয়, আবার কেউ কেউ নেয় না। এ প্রসঙ্গে আরো বলা যেতে পারে, মণিপুর উপত্যকার প্রাচীন সংস্কৃতি জ্বালিয়ে বিসর্জন দিয়ে বৈষ্ণব-হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতিকে বরণ করে নেওয়া শুরু হয়েছিল এক মণিপুরী রাজা, গরিব নওয়াজ-এর আমলে, ১৭৩৭ সালে। কিন্তু মণিপুরী সমাজের বড়ো অংশ তা গ্রহণ করেনি। গোবিন্দজী মন্দির সেই বৈষ্ণব-হিন্দু ধর্মের মূল প্রতিষ্ঠান। মণিপুরের রাজনীতিক-প্রশাসক-ব্যবসায়ী-বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যারা কুলীন, তাদের একটা বড়ো অংশ এই গোবিন্দজী মন্দির এবং বৈষ্ণব-হিন্দু ধর্মের প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে যুক্ত। ফলে এই ধর্মটি মণিপুরে এখন প্রায় রাজধর্মের মতো। মণিপুর উপত্যকার মৈতেয়ী সমাজের মধ্যে এই বৈষ্ণব-হিন্দু ধর্ম এবং প্রাচীন ধর্মের বিভাজন এখন প্রায় আড়াআড়ি।
আগস্ট মাস থেকেই মণিপুরের উমঙলাইদের নেতৃত্বে বহু নাগরিক সংগঠন উমঙলাই কানবা আপুনবা লুপ বা সংক্ষেপে উকাল এই বিলের বিরোধিতা শুরু করেছিল। সেই বিরোধিতায় সরাসরি বলা হয়েছিল, এই বিল আদিবাসী সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে হিন্দু সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা মাত্র। এই বিলের ২ এবং ১৭ নম্বর ধারা মধ্যে দিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে সেবা পূজা ও অন্যান্য অনুষ্ঠান পালনে কঠোরভাবে সবাই হিন্দু ধর্মের বিধানকেই মেনে নেয়। উকাল রাজ্যপালকে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে বলেছিল, উমঙলাই-রা সানমাহি ধর্মের, ফলে তাদের আচারে হিন্দু স্তোত্র কখনোই উচ্চারণ করা হবে না, সানমাহি স্তোত্রই পাঠ করা হবে। এই বিল লাগু হলে যা করা যাবে না। স্মারকলিপিতে রাজ্যপালকে আবেদন করা হয়েছিল, তিনি যেন কিছুতেই এই বিলে স্বাক্ষর না করেন। এই বিল ভারতীয় সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার ধারাগুলির বিরোধী বলেও দাবি করা হয়। একটি সভাতে অ্যাডভোকেট সানাসাম সরত অভিযোগ করেন, এই বিল আদিবাসীদের বিলুপ্ত করে হিন্দুত্বকরণের একটি চক্রান্ত।
মৈতেয়ী সমাজের মধ্যে এই পরিমাণ বিরোধিতা দেখে মণিপুরের রাজনৈতিক সমাজের টনক নড়ে। কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবি সিং-এর নেতৃত্বে তারা বলতে শুরু করে, এই সংযোজনী বাতিল করা হবে।
অবশেষে ১৮ ডিসেম্বর মণিপুরের রাজ্যপালের সচিব জানান, রাজ্যপাল এই বিলটি স্বাক্ষর করেননি, ফলে বিলটি বিধানসভায় পাশ হয়ে গেলেও খারিজ হয়ে যাচ্ছে।

আন্দোলন উমঙলাই, উমঙলাই কানবা আপুনবা লুপ, মণিপুর, মণিপুরী সমাজ, মৈতেয়ী, লাই হারৌবা, হিন্দুত্বাকরণ

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

সম্পাদকীয়

নীমা তেনজিনদের স্বপ্ন কি সার্থক হবে ?

একটি রাজনৈতিক সুইসাইড নোট

এই বিভাগের আরও

দেশের খবর

নিজেদের চাষের খবর দিলেন, দিল্লির আন্দোলনের খবর নিলেন সরবেড়িয়ার চাষিরা

গ্রামে বাড়ছে অভাবী বিক্রি। কৃষক মান্ডির হ্যাপার চাইতে চাষির ভরসা কাছের আড়ৎ।

এই বিভাগের আরও

সংস্কৃতির হাল

মরজীবনের গান গাইতে মিলনের অপেক্ষায় থাকে আজাহার ফকিরের অমর মেলা

ঘরে রাখা শস্যের বীজ ভালো আছে কিনা দেখে নেওয়া হয় ‘শস’ পাতার মধ্যে দিয়ে

এই বিভাগের আরও

খবরে দুনিয়া

‘গান গাইবি না, খাবারও পাবি না’// ফ্রান্সের মেনিল আমেলো’র ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে অভিবাসীদের এজাহার

মার্কিন মুলুকে নির্বাচন : বার্নি স্যান্ডার্সের প্রচারের একজন সমর্থকের সঙ্গে কিছু আলাপ, কয়েক মাস আগে

এই বিভাগের আরও

পথের খবর

সকালের ডাউন রানাঘাট লোকালে ‘জয় শ্রীরাম’ / ‘ভারতমাতা কী জয়’ গর্জন আর শোনা যাচ্ছে না

জাতীয় পতাকা নামিয়ে দিয়েছে লালকেল্লা থেকে, আপনি দেখেছেন?

এই বিভাগের আরও

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • Soumitra Seth on ময়দা কালীবাড়ি, বহরু
  • Suman mondal on চীনের সাথে চুলের ব্যবসা। বেলডাঙার বিদেশ-ব্যাপারী
  • রাজেশ মাহাতে on আদিবাসী কুড়মি সমাজের তিন জেলায় একদিনের অনশন
  • Dipanjan Das on নতুনহাটের মেছুড়ে জয়নালের কীর্তি

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in