• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • ২০১২-র আগস্ট অব্দি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

পথ দেখাচ্ছে নেতাজী সুভাষ ফ্রী কোচিং সেন্টার

November 22, 2013 admin Leave a Comment

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য, কোচবিহার, ২১ নভেম্বর#

ছবি তুলেছেন সোমনাথ চৌধুরি।
ছবি তুলেছেন সোমনাথ চৌধুরি।

সেদিন সকাল থেকেই মেঘ করেছিল। তবুও কোচবিহারের টাকাগাছের নেতাজী সুভাষ ফ্রী কোচিং সেন্টারে যাওয়ার জন্যে সকাল ৬.৩০ নাগাদ বেড়িয়ে পরলাম বাড়ি থেকে, কারন তারা অনেক তাড়াতাড়ি কাজকর্ম শুরু করে দেয়, সেই জন্যে আমাকেও অনেক তাড়াতাড়ি উঠে পড়তে হল। আমি আমার বন্ধু ঋজু আর সোমনাথের মুখে এই সেন্টারের নাম শুনেছিলাম, আর সোমনাথ যেহেতু এর সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তাই তার কাছে বিস্তারিত ভাবে জেনেছিলাম। ২০০৭ সালের ১৪ই জুন আর্থিকভাবে তলানিতে থাকা পরিবারের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এই সেন্টার যখন চালু হয় কেউই সেভাবে উৎসাহিত হতে পারেননি। তখন ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ছিল ২৫, গত ৫-৬ বছরে সংখ্যাটা ১৮০ ছাড়িয়ে ২০০ ছুঁইছুঁই। সপ্তাহে চারদিন ক্লাস হয়, সকাল ৬.৩০ থেকে ৯.১৫ আর রবিবার ১০.৩০ পর্যন্ত। ছেলেমেয়েগুলো এতোটাই গরীব যে লন্ঠন কেনারও টাকা নেই তাদের কাছে। এই সেন্টার থেকেই তাদের নানাভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করা হয়, আবার তার ক্ষমতাও তো সীমিত। বাদল ঘোষ, অমল চক্রবর্ত্তী, হরিশ্চন্দ্র রায় বা কমল বর্মন মহাশয়ের মত বয়স্ক শিক্ষকদের ডাকে সারা দিয়ে এগিয়ে এসেছে শ্যামল, সঞ্জীব, বাপ্পাদিত্য, জয়া, মৌমিতার মত কলেজে পড়া বা সদ্য কলেজ থেকে পাস করা ছেলেমেয়েরা, সন্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে চলছে এই সেন্টার। শুধু এই সেন্টারের কারনে আশেপাসের ৩-৪ টি স্কুল এর স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা লক্ষ্যনীয়ভাবে কমে গিয়েছে। এসব শুনে কিছুটা উৎসাহিত হলেও মনে অনেক প্রশ্ন আর সংশয় ছিল, সেটা দূর করতেই আমার সাইকেলটা নিয়ে রওনা দিলাম। ভবানী সিনেমা হলের পাশের রাস্তাটা দিয়ে সোজা গিয়ে বাঁধ পেড়িয়ে টাকাগাছের দিকে রওনা দিলাম। কোচবিহারে থাকলেও এদিকে বেশী আসা হত না। এখানকার কয়েজন সহপাঠীর কথা এখনও মনে করতে পারি। তারা কেউই সেরকম বড় ঘর বা শিক্ষিত পরিবার থেকে আসা নয়। তাদের বাবামায়েরা বাইরের জগৎ বা পড়াশোনা সম্পর্কে প্রায় অজ্ঞ ছিলেন, জায়গাটাকে আমরা গ্রাম বলতাম। এতো সবকিছুর পরেও আমার সহপাঠীরা ছিল অসাধারন মেধাবী। তারা ভীষনভাবে অভাবী ছিল, তাদের বাবামায়েরা পড়াশোনা জানতেনই না বলতে গেলে, কিন্তু তারপরও তারা হিংসে করার মত ফলাফল করতো।

কিছুক্ষন চলার পর দেখলাম একটা সরকারী প্রাইমারী স্কুল তাতে ‘নেতাজী সুভাষ ফ্রী কোচিং সেন্টার’ এর একটা ফেস্টুন দেখলাম। আমি সেখানে গেলাম, বাদল ঘোষ মহাশয়ের কাছে জানলাম প্রাইমারী স্কুলের এ.আই. এর কাছে অনুমতি নিয়ে স্কুল শুরু হওয়ার আগে এখানে পড়াশোনা করানো হয়। আমি ছাত্র-ছাত্রী সাথে কথা বললাম। আর একটা ব্যাপার বুঝতে পারলাম যে এই অঞ্চল থেকে পড়তে যাওয়া আমার সহপাঠীদের সাথে এদের কোনও তুলনাই করা যায় না। আমার সহপাঠীরা অন্তত বইখাতা বা অন্যান্য জিনিস্পত্র কেনার মত জায়গায় ছিল, এরা সেই জায়গাতেই নেই। কাউকে কাউকে এটাও দেখলাম খাতায় প্রথমে পেন্সিল দিয়ে লিখে শেষ করে তার উপর পেন দিয়ে লিখছে। তারা খুব উৎসাহ নিয়ে আমার সাথে কথা বলল। কেউ কেউ সারাদিন কাজ করে, অনেকের মা লোকের বাড়িতে কাজ করে, তাদেরকেও যেতে হয়। কেউ কেউ কৃষিজমিতে শ্রমিকের কাজ করে (যদিও জাতীয় শিশু দিবসে ফেসবুক ভরে যায় শিশুশ্রমিকের ছবি আর দুঃখপ্রকাশে), কারো মা হোটেল এ মশলা বাঁটে, বাসন মাজে – তাদের ও অনেকদিন এ যেতে হয়। বেঁচে থাকার তাগিদের কাছে হার মানে পড়াশোনা (হায়রে শিক্ষার অধিকার)। আমার সহপাঠীরা অন্তত জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডীক্যাল কলেজে পড়ার স্বপ্ন দেখতো – এদের কাছে সেই স্বপ্ন দেখাটাও বিড়ম্বনার ব্যাপার।

এভাবেই চলছে নেতাজী সুভাষ ফ্রী কোচিং সেন্টার, এতোকিছুর পরেও ৩টে মাধ্যমিক পার হয়ে গেল, একজনও ফেল করেনি, প্রথম বিভাগেও পাস করেছে কয়েকজন। তারা এখন কেউ কেউ স্কুলে আর কয়েকজন তো কলেজেও পড়ছে। বিনেপয়সায় পড়াতে আসা শিক্ষক শিক্ষিকাদের চোখে আমি দেখেছিলাম প্রত্যয় – আরো এগিয়ে যাওয়ার।পথ হারাতে চলা শিশুদের পথ দেখানোর প্রত্যয়। ফিরে আসার সময়ে হিংসে হচ্ছিল – আমিও যদি থাকতে পারতাম ঐ শিক্ষকদের দলে।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কোচবিহার, ফ্রি কোচিং, স্কুল ছুট

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

সম্পাদকীয়

নীমা তেনজিনদের স্বপ্ন কি সার্থক হবে ?

একটি রাজনৈতিক সুইসাইড নোট

এই বিভাগের আরও

দেশের খবর

নিজেদের চাষের খবর দিলেন, দিল্লির আন্দোলনের খবর নিলেন সরবেড়িয়ার চাষিরা

গ্রামে বাড়ছে অভাবী বিক্রি। কৃষক মান্ডির হ্যাপার চাইতে চাষির ভরসা কাছের আড়ৎ।

এই বিভাগের আরও

সংস্কৃতির হাল

মরজীবনের গান গাইতে মিলনের অপেক্ষায় থাকে আজাহার ফকিরের অমর মেলা

ঘরে রাখা শস্যের বীজ ভালো আছে কিনা দেখে নেওয়া হয় ‘শস’ পাতার মধ্যে দিয়ে

এই বিভাগের আরও

খবরে দুনিয়া

‘গান গাইবি না, খাবারও পাবি না’// ফ্রান্সের মেনিল আমেলো’র ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে অভিবাসীদের এজাহার

মার্কিন মুলুকে নির্বাচন : বার্নি স্যান্ডার্সের প্রচারের একজন সমর্থকের সঙ্গে কিছু আলাপ, কয়েক মাস আগে

এই বিভাগের আরও

পথের খবর

সকালের ডাউন রানাঘাট লোকালে ‘জয় শ্রীরাম’ / ‘ভারতমাতা কী জয়’ গর্জন আর শোনা যাচ্ছে না

জাতীয় পতাকা নামিয়ে দিয়েছে লালকেল্লা থেকে, আপনি দেখেছেন?

এই বিভাগের আরও

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • Soumitra Seth on ময়দা কালীবাড়ি, বহরু
  • Suman mondal on চীনের সাথে চুলের ব্যবসা। বেলডাঙার বিদেশ-ব্যাপারী
  • রাজেশ মাহাতে on আদিবাসী কুড়মি সমাজের তিন জেলায় একদিনের অনশন
  • Dipanjan Das on নতুনহাটের মেছুড়ে জয়নালের কীর্তি

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in