২৪ এপ্রিল, কাজী ফয়জল নাসের, কানখুলি, মহেশতলা#
গত১৬ইএপ্রিলসন্ধ্যায়বড়তলামাধ্যমিকবিদ্যালয়–প্রাঙ্গণে‘শ্রদ্ধায়ওস্মরণেআখতারস্যার’শীর্ষকএকভাবগম্ভীরআলোচনাসভারমধ্যেদিয়েএলাকারশিক্ষাআন্দোলনেরপ্রবাদপ্রতীমব্যক্তিত্বওবড়তলামাধ্যমিকবিদ্যালয়েরপ্রাক্তনপ্রধানশিক্ষকআখতারহোসেনেরপ্রতিশ্রদ্ধাজানানোহয়।এলাকারআটটিসংগঠনমিলিতভাবেএইসভারআয়োজনকরে।সভায়উপস্থিতআখতারস্যারেরগুণমুগ্ধবিভিন্নজনেরস্মৃতিচারণারমধ্যেদিয়েএকদিকেযেমনতাঁরপ্রতিসম্মানজানানোহয়, তেমনইএইপ্রজন্মেরঅনেকেরকাছেতাঁরজীবনেরঅনেকনা–জানাতথ্যউঠেআসেযাপরবর্তীসময়েএলাকারশিক্ষাপ্রসারেবিশেষভূমিকানিতেপারে।
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে গোলাম রসুল মন্ডল, মোঃ আমিন, আনিসুর রহমান মোল্লা ও ডঃ ভাস্কর ভট্টাচার্যকে সভাপতিমণ্ডলী নির্বাচিত করার মধ্যে দিয়ে সভার কাজ আরম্ভ হয়। সঞ্চালক হিসেবে জিতেন নন্দী একটি মনোগ্রাহী মুখবন্ধ পাঠ করার পর গোলাম রসুল মণ্ডল প্রথম বক্তা হিসেবে তাঁর বক্তব্য রাখেন। একসময়ের শিক্ষা আন্দোলনে আখতার স্যারের সহযোদ্ধা হিসাবে তাঁর স্মৃতিচারণার মধ্যে দিয়ে সকলে জানতে পারে, প্রচুর প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও আখতার স্যারের নেতৃত্বে কীভাবে বড়তলায় প্রথম বিদ্যালয় স্থাপনের মধ্য দিয়ে নারী শিক্ষার পথ রচিত হয়। এরপর একে একে বক্তব্য রাখেন মোঃ আমিন, ডঃ ভাস্কর ভট্টাচার্য, কণিষ্ক চৌধুরি, আফতাবউদ্দিন আহমেদ, মোজাম্মেল হক, আনিসুর রহমান মোল্লা প্রমুখ। সকলের আলোচনার মধ্য দিয়ে তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক উন্মোচিত হয়। আকড়া কৃষ্ণনগর বিদ্যালয়ের শিক্ষক কণিষ্ক চৌধুরি স্যারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে মানবতার দিকটি বারবার তুলে ধরেন। আখতার স্যারের অগ্রজ এক সহনাগরিক জনাব গোলাম আলি মোল্লা নিজে বয়সের ভারে উপস্থিত থাকতে না পারলেও তাঁর লিখিত বক্তব্য পাঠান, যা সভায় পাঠ করা হয়।
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয় যা সত্যিই সংগ্রহে রাখার মতো। তাঁকে যারা কাছ থেকে দেখেছেন তাঁদের ছোটো ছোটো লেখা দিয়ে সাজানো এই স্মরণিকার বিশেষ আকর্ষণ হল স্বয়ং আখতার স্যারের বেশ কিছু লেখার সঙ্কলন, যাতে তাঁর ভাবনাচিন্তার একটা সুন্দর পরশ পাওয়া গেছে। এই ছোট্ট কিন্তু মহৎ প্রচেষ্টার জন্য জিতেন নন্দী মহাশয়ের বিশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য আর ধন্যবাদ দিতে হয় ওই আটটি সংগঠনকে, যাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এমন সামাজিক দায়বদ্ধতা ভরা শ্রদ্ধায় পরিপূর্ণ এক মনোরম সন্ধ্যা পাওয়া গেল।
Leave a Reply