মিঠুন চাকমা, বাংলাদেশ, পার্বত্য চট্টগ্রাম, বৃহস্পতিবার ২৫ ডিসেম্বর ২০১২,রাত ১০:০৫#
আমার ফেসবুকের স্ট্যাটাসে নিচের কোটেশন দেয়া লেখাটি লিখেছিলাম। কোনোপ্রকার সংশোধন না করে এ লেখাটি আপনাদের কাছে শেয়ার করতে ইচ্ছে হচ্ছে। আশাকরি এই লেখার বিষয়বস্তু যারা পাঠক হবেন তাদের কিছুটা ভাবাবে। ধন্যবাদ।
আজ (২৫ ডিসেম্বর, ২০১২) একজন পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করলেন। ভনিতা না করে বা অন্য কথা না বলে আমি তাকে বললাম, যে জাতির নেতা-নেত্রী, হর্তা-কর্তা, ভাগ্যবিধাতারা নিজের জাতিগত ইতিহাসকে সম্মান দেয়না সে জাতি বা জাতিসত্তা কিভাবে অন্যের অধিকারের প্রতি সম্মান জানাবে বা অন্য জাতিকে অধিকার দেবে?
২০১১ সালের ৩০ জুন বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের ‘জনগণ’কে জাতি হিসেবে “বাঙালী” বানানো হয়েছে। যারা এই সংবিধান সংশোধন করেছে তারা কি জানে এই বাংলাদেশের জাতিগঠনের ইতিহাসের হাজার বছরে এই জনপদে কত “জাতি, জাতিগোষ্ঠী”র আগমন ঘটেছে? তারা কি খবর রাখে “বাঙালী” এই শব্দটি খুবই নবীন একটি শব্দ! (কতটা নবীন?!)।
এই জাতির হাজার বছরের ইতিহাস তো বাঙালী জাতির ইতিহাস নয়। এই জনপদের ইতিহাসে জড়িয়ে আছে সান্তাল, মুন্ডা, কোচ, কোল, ডালু, মাহাতো, নিষাদ, কিরাত, শক. হুন, মোঘল, আরব, মঙ্গোলীয় ইত্যাদি জাতির আগমন-অবস্থান-মিশে যাবার হাজার বছরের প্রক্রিয়া।
অথচ “হর্তা-কর্তা-বিধাতা-দন্ডমু্ন্ডের কারিগর” “রক্ষক-ভক্ষকরা” তাদের “খো্য়ারে” বসে একটা সংবিধান বানিয়েছেন যাতে তারা তাদের পিতৃপুরুষের ইতিকথাটাই লেখেননি। তারা কিভাবে অন্য একটি জাতি বা জাতিসত্তার প্রতি সম্মান-মর্যাদা দেখানোর জন্য মুখিয়ে থাকবে? তারা কিভাবে আরেকটি জাতি বা জাতিসত্তার ইতিকথাকে স্বীকার করতে শিখবে?
তারাতো তাদের পিতামাতাকেই স্বীকার করেনা ….
(কারো মনে দুঃখ দিয়ে থাকলে দুঃখিত. ক্ষমাপ্রার্থী)
লেখকের ব্লগ এখানে
Leave a Reply