প্রিয়া সেন, কোচবিহার ১৪ই নভেম্বর ২০১৫#
কোচবিহার ভবানী সিনেমা হলে আজ সন্ধ্যা ৬ টায় সিনেমা দেখতে গিয়ে হিংস্রতার শিকার হলেন ৩-৪ জন দর্শক – সেটাও সামান্য কারনে । অপরাধী সংখ্যায় বেশি থাকায় কর্তৃপক্ষ কোনো রকম ব্যবস্থা নেয়নি ।
শুরু থেকেই ১০-১২ জন মেয়ে ও ছেলের দল হলে মাঝে মাঝেই চেয়ারের উপর দাঁড়িয়ে গন্ডগোল করছিল। কিছু দর্শক বিরতির পর তাদের বসতে বলায় তারা মারতে উদ্যত হয় । মেয়েরা চেয়ারে দাঁড়িয়ে মারতে থাকে । তারা নেপালী ভাষায় কথা বললেও বাংলাতেও কথা বলছিল । পেছনে বসে থাকা মেয়েরা বাধা দিতে এলে ওরা তাদেরও ছাড়েনা । যারা ওদের সাথে কথা বলতে যায় তাদের উপরেই ওরা চড়াও হয়, এমনকি পাশে বসা ছেলেগুলোও মেয়েগুলোকে আটকাতে পারছিল না।
ম্যানেজার জানান যে তিনি কোনো কিছুই করতে পারবেন না কারন তারা সংখ্যায় বেশি । তিনি তাদের আলাদা বসতেও বলতে পারবেন না । উপরন্তু যারা এই ঘটনা ঘটালো তাদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিয়ে ওই ঘটনার শিকার ৩-৪ জনকে আলাদা বসতে বলে । প্রতিবাদ তো দুরের কথা নিরাপত্তার ও প্রশ্ন উঠছে এই ঘটনার পর । তাদেরকে আলাদা বসে সিনেমা দেখার পরামর্শ দেন তারা । কিন্তু এই বর্বরতার পর তারা হল ছেড়ে যেতে বাধ্য হয় ।
ইদানিং সিনেমার দর্শক হলবিমুখ। টেলিভিসনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নায়ক নায়িকাদের অনুরোধ করতে দেখা যায় “হলে গিয়ে সিনেমা দেখুন”, কিন্তু এই জাতীয় ঘটনায় কি হল কত্তৃপক্ষের কোনও দায়িত্বই থাকে না? তাহলে টাকা খরচ করে হলে ঢোকার পর আমাদের নিরাপত্তা কাদের হাতে?
Leave a Reply