সংবাদমন্থন প্রতিবেদন। ৮ অগাস্ট, ২০২০।#
শেষপর্যন্ত আফগানিস্তানে শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন শুরু হল। ছবিতে দেখা যাচ্ছে তালিবান বন্দিরা কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। এরপর শুরু হবে জাতিসত্তাগুলোর নিজেদের মধ্যে ভবিষ্যত সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা। জটিল এসব অধ্যায় পেরিয়ে আফগানিস্তানে পূর্ণ শান্তি এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হতে হয়তো সময় লাগবে। হয়তো হবেই না। কিন্তু এটা তো সত্যি যে, ভিয়েতনামের যুদ্ধের পর দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (এবং ন্যাটো বাহিনী) বিজয় ছাড়াই ঘরে ফিরবে। আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যমে অবশ্য ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তটিকে প্রায় আড়াল করেই রেখেছে।
ছবি ও প্রতিবেদন অর্ক ভাদুড়ীর সৌজন্যে প্রাপ্ত।
উল্লেখ্য, ইউ .এস. এর সচিব মাইক পম্পেওকে সাক্ষী রেখে এবছর ২৯ ফেব্রুয়ারি মার্কিন দূত জালমে খালিলজাদ ও তালিবান শীর্ষনেতা মোল্লা আব্দুল গনি বারাদারের মধ্যে শান্তিচুক্তি সাক্ষরিত হয়। তালিবান যোদ্ধারা যদি চুক্তির শর্ত মেনে চলে তবে আগামী ১৪ মাসে ধাপে ধাপে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা ও ন্যাটো বাহিনী তুলে নেবে। বিগত প্রায় দুই দশকে তারা হাজার খানেক জঙ্গী মেরে দিয়েছে। এবার সেই কাজে তালিবানদের পালা। প্রতিবেশি দেশগুলোও এই কাজটা করতে পারত বলে জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আফগানিস্তানে নিরাপত্তা ও উন্নয়নে খয়রাতি বাবদ ২০০১ থেকে ২০১৯ সাল অবধি নাকি ৮০০ বিলিয়নেরও বেশি মার্কিন ডলার খরচ হয়ে গেছে। আসছে নভেম্বরে আমেরিকায় প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশন ও ইতিমধ্যেই বেশ কিছু রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা আফগানিস্তান থেকে পুরোপুরিভাবেই মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পক্ষে সওয়াল করে বসেছেন। এদিকে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে অর্থনৈতিকভাবে হিমশিম খাচ্ছে আমেরিকার ট্রাম্প সরকার। এখন তালিবান বন্দীরা মুক্তি পেয়ে চুক্তিমাফিক আফগান ভূখন্ডকে আলকায়দা ও আই. এস. এর বাড়বাড়ন্ত থেকে ঠেকিয়ে আমেরিকার তথাকথিত বিশ্বসন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কাজে আসে নাকি আফগান সরকারকে ফেলে ওখানকার আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নিজেদের অধিকার কায়েম করে, তার দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।
Leave a Reply