গুরদোয়ারার সামনে পৌঁছে জানতে পারলাম, কলকাতার মুসলমান সমাজের কিছু মানুষও এই জমায়েতে শামিল হচ্ছে। মিছিল শুরু হতে হতে বারোটা হয়ে গেল। গুরদোয়ারার একজন সন্ত গুরমুখী ভাষায় কিছু বললেন। তাঁর বক্তব্য শেষ হল একটা আওয়াজের মধ্য দিয়ে : ‘যো বোলে সো নিহাল, সৎ শ্রী অকাল’। প্রায় তিন ঘণ্টা ব্যাপী এই প্রতিবাদ মিছিলের মাঝে বারবার উঠেছে এই আওয়াজ। দশম শিখ গুরু গোবিন্দ সিং-এর সময় থেকে শিখেরা এই জয়ধ্বনি দিয়ে কোনো লড়াই শুরু করে এসেছে।
অতীতের কলঙ্ক মনে করিয়ে শান্তিপুরে দুদিন উড়ল তেরঙা পতাকা আর বর্তমানের কলঙ্ক মনে করিয়ে পাঞ্জাবে কালো পতাকা
মহামারীর বাজারে এখন গণউদ্যোগের জোয়ার। সচেতনতার বার্তা দিতে টি.ভি., রেডিও, টেলিকম সার্ভিস, প্রশাসন, ক্লাব, পুজামন্ডপ, ঠাকুরবাড়ি, এন.জি.ও.- সক্রিয়তায় ফাঁকি রাখছেন না কেউ। এদিকে বাজারে এখন মাস্ক, স্যানিটাইজার, ফেস শিল্ডের বিক্রিবাটা ব্যাপক। এতদিন রাজনৈতিক নেতারা নিজ নিজ দলীয় প্রতীক মাস্কে এঁকে আত্মসচেতনতার বার্তা দিয়েছেন, কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বাজারে তেরঙা মাস্ক আসতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে হুড়িয়ে প্রতিবাদ, এভাবে থুতু কফ সর্দি শ্লেষ্মা তেরঙা নিশান থুড়ি মুখোশে লেগে গেলে দেশদ্রোহীতার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা। আর এর মধ্যেই ১৫ই সকালে পাড়ায় পাড়ায় অলিতে গলিতে ক্লাবে লবিতে বন্ধ স্কুল কলেজে রেলস্টেশনে বেজে উঠল স্বাধীনতার নহবৎ। যারা ছুটিতেই ছিলেন কিম্বা যাদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তারাও এই পাওনা ছুটির ময়দানে গোল্লাছুট খেলে নিলেন।
সাম্প্রতিক মন্তব্য