শান্তিপুরের একটার পর একটা আমবাগান কেটে ফেলা হচ্ছে, একটার পর একটা জলাশয় হত্যা করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে সরব হন পরিবেশ কর্মীরা, আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় সরকার ই.আই.এ. যে বিল পাশ করিয়ে নিতে চাইছে লকডাউনকে হাতিয়ার করে তার বিরোধিতা করে এইদিনের সভায় উপস্থিত পরিবেশ কর্মীরা বলেন- নদীর ওপর দিয়ে, বনাঞ্চলের ওপর দিয়ে অথবা অন্য কোনো পদ্ধতিতে পরিবেশের ক্ষতি করে নদীর গতিপথ রুদ্ধ করে, জঙ্গলে বসবাসকারী অন্যান্য প্রাণীদের সহ মনুষ্যকুলকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে তথাকথিত উন্নয়ন, কারখানা বা ব্রীজ গড়ে উঠবে।
মাতৃসদনের অনশন আন্দোলনের সমর্থনে ও পরিবেশবিরোধী ই.আই.এ. খসড়া প্রত্যাহারের দাবীতে ফুলিয়ায় প্রতিবাদ সভা
বাংলায় রামায়ণ রচয়িতাদের মধ্যে অন্যতম যে কৃত্তিবাস ওঝা, তার জন্মভিটার অনতিদূরে ফুলিয়া বয়ড়া ঘাট থেকে দিন দশ আগে ভাগিরথীর লোকমান্য পবিত্র জল পৌঁছে গেছিল অযোধ্যার রামমন্দিরের ভিতপূজনের জন্য, স্থানীয় বিজেপি সমর্থক ও সঙ্ঘী পরিবারের সদস্যদের উৎসাহে। আজ সেই বয়ড়া ঘাটেই সকাল আটটায় ‘পরিবেশ ভাবনা মঞ্চ’এর ফুলিয়া শাখার সদস্যদের উদ্যোগে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২২ বছর ধরে চলছে সত্যাগ্রহ আন্দোলন। হরিদ্বারের মাতৃসদন আশ্রমে শিবানন্দ সরস্বতীজীর অনশন আজ দশম দিনে
১৯৯৭ – ১৯৯৮ সালে মাতৃসদন আশ্রম প্রতিষ্ঠার পর, কুম্ভ ক্ষেত্রে পাথর ভাঙার খাদান ও অবৈধ খনন বন্ধ করা এবং গঙ্গা নদী দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করার দাবীতে গুরুজী শিবানন্দ সরস্বতীর অনুমতি নিয়ে ১৯৯৮ সালের মার্চ মাস থেকে স্বামী গোকুলানন্দ সরস্বতী এবং গঙ্গাপুত্র স্বামী নিগামানন্দ সরস্বতীর প্রথম অনশন শুরু হয়। এরপর এই মাতৃসদন আশ্রম থেকে গত ০৩.০৮.২০২০ এর আগে পর্যন্ত গঙ্গার অবিরলতা ও নির্মলতা নিয়ে, কুম্ভক্ষেত্রে পাথর খাদান ও অবৈধ খনন বন্ধ করা নিয়ে, উত্স মুখ থেকে গঙ্গার হিমালয় অঞ্চলের উপনদীসহ নদী প্রবাহে সমস্ত রকম বাঁধ, জলবিদ্যুত্ প্রকল্প বন্ধ করার দাবীতে, “গঙ্গা আইন” প্রণয়নের দাবীতে ও গঙ্গা ভক্ত পরিষদ গঠিত করে অবিরল-নির্মল গঙ্গার নজরদারি ও ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে ৬৩ বার অনশন তপস্যা করা হয়েছে। স্বামী শিবানন্দ সরস্বতীজীর অনশন ৬৪ তম অনশন।
সাম্প্রতিক মন্তব্য