যারা লেবার খাটে এখনো — তাদের সবারই বয়স চল্লিশের ওপারে। কিন্তু এদের ছেলেরা কেউ লেবার খাটে না। আর যাই করুক, মাঠে যাবে না। আর দশ বছর বাদেই তো এই লেবাররা আর পারবে না মাঠে খাটতে — তখন গোটা মাজদিয়া গ্রামে মাঠে খাটার আর কোনো লোক পাওয়া যাবে না।
মালয়েশিয়ায় লেবারের কাজে গেল আদ্যন্ত চাষিবাড়ির ছেলে প্রভাস
পরিবারের একটা ছেলেকে চাষের বাইরে কাজ করে কাঁচা টাকা রোজগার করে বাড়িতে পাঠাতে হবে — এই বোধ বেশ কয়েক বছর ধরেই হয়েছে এই সফল চাষি পরিবারটির। সম্ভবত ধুনা জেঠুর ক্যানসারের পর থেকেই। জলের মতো টাকা খরচ করেও পরিবারের কর্তাকে বাঁচানো যায়নি।
মদনপুরের সাহেব বাগান রইল না
শমীক সরকার, মাজদিয়া গ্রাম, মদনপুর, নদীয়া, ২২ মার্চ। ছবি প্রতিবেদকের# আমাদের গ্রামে কেউ বেড়াতে গেলে আমরা তাদের নিয়ে যেতাম সাহেব বাগান দেখাতে। গ্রামের কিলোমিটার খানেকের মধ্যে এই বিগান। বয়সা বিলের পাশে। সাহেব বাগান মানে শতাধিক বড়ো বড়ো গাছের বাগান। বাগানের মধ্যমণি যে বড়ো বটগাছ-টা, তার নিচে ছিল একটা বাড়ি। সাহেবের বাড়ি। আমরা তার ধ্বংসস্তুপ দেখেছি। […]
চাষের মাঠের পাখি : হোটিটি
সম্রাট সরকার, মাজদিয়া গ্রাম, মদনপুর, ৫ অক্টোবর# আমাদের চাষ-আবাদের গ্রাম। নাম মাজদিয়া। শিয়ালদা-রানাঘাট রেলপথে পড়ে মদনপুর স্টেশন। কল্যানী ছাড়িয়ে। রেলস্টেশনের পশ্চিমপাড়ে তিন কিমি হাঁটলেই পড়বে বয়সা বিল। বহুকালের বিল। এই বিলের পূর্বপাড়ে আমাদের গ্রাম মাজদিয়া। ছোটোবেলায় আমরা খেত-ফসল, জমি-জিরেত, বিলের কালো জল, মাটির বাড়ি — এসবের মধ্যেই বড়ো হয়েছি। আমাদের গ্রামের চাষ আবাদের প্রধান কেন্দ্র […]
‘আমাদের গ্রামটাকে একটা ছোটখাটো পখিরালয় বলা যেতেই পারে’
সম্রাট সরকার, মদনপুর, নদীয়া, ২৫ এপ্রিল# কাজটা শুরু করেছিলাম গত বছর বর্ষার শেষে। আমার বন্ধু অরুণের সঙ্গে। পাখি নিয়ে কৌতুহল খুব বেড়ে গেছিলো। আমার পুত্রের জন্য একটা পাখির বই কেনার পর থেকে। তারপর ভাবলাম দেখি না মানুষ তো সারা দুনিয়া জুড়ে পাখি নিয়ে পড়ে থাকে। আমাদের গ্রামটায় কতরকমের পাখি আছে! অফিসের ফাঁকে ফাঁকে ছুটির দিনে […]
সাম্প্রতিক মন্তব্য