৩০ মার্চ উচ্ছেদের পর নোনাডাঙার মজদুর কলোনি এবং শ্রমিক কলোনির বাসিন্দাদের অনেকেই ঝড় জল বজ্রপাতের মধ্যেই ওই মাঠের মধ্যে থাকতে শুরু করে, কোনওমতে কুঁজিটুকু তুলে। একটি রান্নাঘর তৈরি করে সেখানে সবার খাওয়ার বন্দোবস্ত হয়েছিল উচ্ছেদবিরোধী কর্মীদের ব্যবস্থাপনায়। ৪ এপ্রিল উচ্ছেদ হওয়া বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে ণ্ণউচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি’র নেতৃত্বে একটি মিছিল নোনাডাঙা থেকে এসে ইএম বাইপাসে […]
সংক্ষেপে নোনাডাঙার অতীত, ভবিষ্যতের ভয়
গ্রাম থেকে এসে কলকাতায় বস্তি বানিয়ে থাকা গরিব মানুষকে কীভাবে রাখা হবে তা নিয়ে সেই বিধান রায় থেকে শুরু করে পরপর সব সরকারেরই মাথাব্যথা ছিল। ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পর নোনাডাঙায় ধান চাষের জমি অধিগ্রহণ করে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির হাতে তুলে দেয়। এই জমি তখন ছিল খালা (নিচু জমি)। তার ওপর মাটি […]
‘না দিলে কি ওদের থেকে ছিনিয়ে আনার ক্ষমতা আছে?’
বিনোদ, অংশু, শ্যামলীদের সাথে কথা হল, সংলগ্ন মজদুর কলোনির বস্তি উচ্ছেদ সম্পর্কে। — আমরা তো এখানে পাঁচ বছরের ওপরে আছি। কিছু ঘর বসেছে বছর দেড়েক, বাকিরা তো এই কয়েক মাস হল এসে বসেছে। যখন বসছিল তখন আমরা বলেছিলাম, এই জায়গাগুলো অনেক আগেই মাপজোখ হয়ে গেছে। আমাদের জায়গাটাও। তখন টাটা সুমো করে বড়ো অফিসাররা এসে জায়গা […]
নোনাডাঙার ফ্ল্যাটবাসীরও সমস্যার শেষ নেই
বস্তিবাসী বাদ দিলে নোনাডাঙার মূল বাসিন্দারাও কয়েক বছর আগেকার কলকাতার বস্তিবাসী। এখন তারা সেখানে থাকে পুনর্বাসনের এক কামরার ফ্ল্যাটে। আড়াইশো বর্গফুটের এই ফ্ল্যাটগুলিতে একটিই ঘর, একটি বারান্দা আর একটি চান পায়খানার জায়গা। ওই বারান্দাটিকেই কেউ বানিয়েছে রান্নাঘর, ইট-বালি-সিমেন্ট নিজেরা কিনে নতুন করে গাঁথনি দিয়ে। ২০০৩-০৪ সাল থেকে এখানে তৈরি হয়েছে পুনর্বাসনের ফ্ল্যাট, আর তা বস্তিবাসীদের […]
‘ছেলে-বউয়ের সংসারে থাকতে পারিনি … এখানেই মরব, কোথায় যাব?’
আমি নস্করহাটির (দক্ষিণ কলকাতা) কাছে থাকতাম। অনেক বছর। লোকের বাড়ি কাজ করতাম। তিন ছেলে দুই মেয়ে। দুই ছেলে দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। আমি ত্রিশ বছর এই কলকাতায় আছি, স্বামী রঙের কাজ করত। দশ বছর আগে মারা গেছে। সাত-আটশো টাকা ভাড়া দিয়ে আগে থাকতাম। সেখানে লাইট ছিল না। লম্ফ জ্বালাতাম। ওখান থেকে যখন তুলে দিল, […]
- « Previous Page
- 1
- …
- 5
- 6
- 7
- 8
- Next Page »
সাম্প্রতিক মন্তব্য