এখানে যারা গাইতে এসেছেন, যারা বাজনদার, যারা শ্রোতা-দর্শক সবাই রসিক মানুষ। তারা অল্পবিস্তর পাগলও বটে — নইলে এই গোরভাঙায় আসবে কেন — তবে যেন ওই লোকটির মতো নিখাদ নয়। নানান মাপের সেয়ানাগিরি আমাদের মনে ছায়া ফেলে — কেরিয়ার, পিএইচডি, বাউল-ফকিরের মেকআপে শিল্পী হয়ে ওঠা, সা-রে-গা-মা-পা … অথচ ওই লোকটির চোখ বলছে ওঁর অন্তর্দৃষ্টি স্থির, ভেতরে বইছে অনন্ত সংগীত : রস মন্দ মন্দর বাজতা …
বাউল ফকির সঙ্ঘের তেত্রিশতম সম্মেলনে পঠিত বার্ষিক প্রতিবেদন
আমরা বাউল ফকিরেরা কেউ বলি, ‘যতক কাল্লা ততক আল্লা’। তাই অন্যের ভিন্ন খাদ্য, আচারের প্রতি সহনশীলতা এদেশের এক সামাজিক কর্তব্য। এদেশের হিন্দুদের একাংশের মাংস ছাড়া আহার হয়না। অন্য অংশ মাংসের ছোঁয়া খায়না। ভারতীয় মুসলমানদের প্রায় অর্ধাংশ গোমাংস খায়না। এই বৈচিত্র এবং সহনশীলতা ভারতবর্ষের অন্য নাম। আমরা বাউল ফকিরেরা মানুষকে মানুষের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ডাক দিই।
সাম্প্রতিক মন্তব্য