সঞ্জয় ঘোষ, জয়নগর মজিলপুর, ১৬ অক্টোবর# জয়নগর মজিলপুর জেএম ট্রেনিং স্কুলের মাঠের পাশে আমার ছোটো ভাইয়ের মতো বন্ধু বটে জয়ন্ত হালদারের ছবি বাঁধানোর দোকানে বসেছিলাম বাজার সেরে। সকাল তখন প্রায় ১১টা। পাশে পবনের চা, পেটা পরোটার দোকানে চায়ের অর্ডার দিয়ে হাতের জিনিসগুলো মাটিতে রেখে উঁকি দিলেন জয়ন্তর দোকানে, ময়লা লুঙ্গি আর শার্ট পরা এক জন […]
ভিড়ে ঠাসা বাস, জ্যামে ঠাসা রাস্তা
অমিতাভ সেন, কলকাতা, ১৪ সেপ্টেম্বর# ভাদ্রের পচা গরম। বাসের ভিতরে সবার গলদঘর্ম অবস্থা। ভিড় ঠাসা বাস। আর বাসে-গাড়িতে সবকটা রাস্তা ঠাসা। বাস যতক্ষণ চলছে তার দ্বিগুণ সময় থেমে থাকছে। চলছেও ঢিকিয়ে ঢিকিয়ে — কলকাতার সবকটা রাস্তা জ্যাম। পুজোর বাজার করে হাঁসফাঁস করতে করতে দুই হাতে কাঁড়িকাঁড়ি ব্যাগ নিয়ে উঠেছে একদল মহিলা। গড়িয়াহাট মোড় থেকে। তাদের […]
ভাসান
শান্তনু ভট্টাচার্য, মেটিয়াবুরুজ, ৩০ অক্টোবর# আটশো থেকে সাতশো, ছশো হয়ে শেষ পর্যন্ত পাঁচশোয় রফা। পাঁচশোতেই ওরা রাজি। রাজি না হয়ে বোধহয় উপায়ও ছিল না। আর পার্টি নেই। এটাকে নামিয়ে দিতে পারলে আজকের দিনটা শেষ। শুধু যে ওরাই মথুরাপুর বা ক্যানিং থেকে এসেছে, তা তো নয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যত্র থেকেও এসেছে অনেকে। একটু ঝুঁকি ও […]
অবকি জানে দেহো নিরাভরন কো …
আমাদের লোককথায় দুর্গা ছিলেন নিরাভরন অর্থাৎ অলঙ্কারহীন এক বধূ। পতি মহাদেবের কাছে তিনি বিনতি করছেন, বাপের বাড়ি যাবেন, তাঁর পায়ে পড়ছেন, ‘আমাকে যেতে দাও’। যেন এক গ্রাম্যবধূ স্বামী আর সংসারের কর্তৃত্বে বাঁধা পড়ে সাময়িক মুক্তি চাইছেন, আপাতত বাপের বাড়ি সেই মুক্তিস্থল, ক-দিনের জন্য হাঁফ ছেড়ে বাঁচা! কিন্তু কর্পোরেট ক্ষমতা আর লোভের প্রতীক-স্বরূপা দুর্গা এখন […]
কেজো লোকের পুজো
দুর্গাপুজো আমাদের চারপাশের সবচেয়ে জাঁক করা উৎসব, সন্দেহ নেই। এর আড়ালে ঢাকা পড়ে যায় আর সব উৎসব, রান্নাপূজো থেকে ঈদ, অথচ এই উৎসবটির আশেপাশেই হয় সেগুলো। দুর্গাপুজো তো চিরকালই বারোয়ারি, কিন্তু ঢাকা পড়ে যাওয়া উৎসবগুলি বাড়ি বাড়ি চলে। আয়োজন নিজস্ব। নিজেদের ব্যাপার। তাই আমাদের মনেও দুর্গাপুজোই পুজো। আমাদের বাড়িতে ঠিকে কাজ করে যে মেয়ে, সে […]
সাম্প্রতিক মন্তব্য