এবার জন খাটতে গেল কুমারিয়ার মাঠে। আমাদের বাড়ি থেকে খুব বেশি দূরে নয়। দিনে ধান কাটা — রাতে ধান ঝাড়া। এমনিতে আড়াইশো টাকা রোজ। এটা ডবল রোজের কাজ। গরম পড়েছিল খুব। টানা ন’দিন কাজ করার পর অনেকেই কাজ করতে পারেনি। ছেড়ে চলে গেছিল। আমার ছেলে দশ দিন কাজ করার পরে এগারো দিনের দিনেও কাজে গেল। কিন্তু সন্ধেয় বাড়ি ফিরল না। রাতে মাঠে খোঁজাখুঁজি করে পাইনি। সকালে একজন দেখতে পেয়ে খবর দিতে, গিয়ে দেখি ছেলে আমার হাত দুটো ছড়িয়ে চিতিয়ে মাঠে পড়ে আছে। চোখ আর কান দিয়ে রক্ত গড়াচ্ছে।
জঙ্গলমহলের ডায়েরি : নামাল চলেছে জঙ্গলমহল
অমিত মাহাতো, ঝাড়গ্রাম, ২৯ এপ্রিল# বৈশাখের শুরুতেই খড়গপুর টাটা ডিভিশনের স্টেশন লাগোয়া জঙ্গলঘেঁষা শুকনো ডাহির গ্রামগুলো এখন রাত থাকতে উঠে পড়ছে। তাড়াহুড়োতে আলুসেদ্ধ ভাত গামছায় বেঁধে ভোররাতে চারটে চল্লিশের ডিএম লোকাল ধরতে দৌড় লাগায়। বৈশাখ মাস পড়ার সাথে সাথেই শুরু হয়েছে ধানকাটার মরশুম। এবং শুরু হয়েছে নামালের পথে কালো মানুষের কাস্তের কেরামতি। খড়গপুর স্টেশনে যে […]
সাম্প্রতিক মন্তব্য