গুরদোয়ারার সামনে পৌঁছে জানতে পারলাম, কলকাতার মুসলমান সমাজের কিছু মানুষও এই জমায়েতে শামিল হচ্ছে। মিছিল শুরু হতে হতে বারোটা হয়ে গেল। গুরদোয়ারার একজন সন্ত গুরমুখী ভাষায় কিছু বললেন। তাঁর বক্তব্য শেষ হল একটা আওয়াজের মধ্য দিয়ে : ‘যো বোলে সো নিহাল, সৎ শ্রী অকাল’। প্রায় তিন ঘণ্টা ব্যাপী এই প্রতিবাদ মিছিলের মাঝে বারবার উঠেছে এই আওয়াজ। দশম শিখ গুরু গোবিন্দ সিং-এর সময় থেকে শিখেরা এই জয়ধ্বনি দিয়ে কোনো লড়াই শুরু করে এসেছে।
২রা অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী ব্যাপক কৃষক বিক্ষোভ ও ২৬-২৭ নভেম্বর “দিল্লী চলো” আহ্বান
ইতিহাসে এই প্রথমবার কোন কেন্দ্রীয় আইন পাস হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই দেশজুড়ে কৃষকরা প্রতিবাদ করল। এই তীব্র প্রতিবাদ, যা কৃষকদের জীবন ও জীবিকার উপর হামলার বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, ২০ টি রাজ্য জুড়ে দেখা গিয়েছে। দশ হাজারেরও বেশী জায়গায় প্রায় দেড় কোটি কৃষক “চক্কা জাম”, “ধর্না” বা বিল পোড়ানো ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার মিথ্যা প্রচার করছে যে কৃষক বিক্ষোভ শুধুমাত্র উত্তর ভারতে সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু এই বনধ এবং বিক্ষোভের সর্বভারতীয় চরিত্রটা পরিস্কারভাবে বোঝা গেছে যখন দেশের দক্ষিণতম রাজ্য তামিলনাড়ুতে ৩০০-এরও বেশি জায়গায় প্রতিবাদ হয়েছে, ৩৫,০০০–এরও বেশী কৃষক রাস্তায় নেমেছে এবং ১১,০০০–এর বেশী কৃষককে রাজ্যের বিজেপি’র বন্ধু সরকার গ্রেপ্তার করেছে!! এমনকি অন্যান্য সংগঠন এবং কোনও সংগঠনের সাথে জড়িত না থাকা কৃষকরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বনধ পালন করেছে। এই বনধ দেখিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের এই তিনটি কালো আইনকে দেশের কৃষকরা প্রত্যাখ্যান করেছে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য