আদিবাসী লেবার ছিল — এখন ফ্যামিলি প্ল্যানিং হয়ে গেছে, আদিবাসীদেরও একটা কি দুটোর বেশি বাচ্চা নাই। তাদের ছেলেরা এখন বড়ো হয়েছে, তারা আর লেবার দিতে চায় না। সোনার কাজে চলে যাচ্ছে, আমাদের এখানে সব কেরল-টেরল কাজে চলে যায়। জমির কাজ হয়তো কিছু করে, রাজমিস্ত্রি বা জোগাড়ের কাজে ওখানে বেতনটা বেশি। কেরলে শুনেছি, আমাদের বাড়িতে একজন মাছ দিতে আসত, আমার বড়দার খুব প্রিয় ছিল, মাছ বাড়িতে এসে কেটে দিয়ে যেত। হঠাৎ আমার সঙ্গে দেখা হল, মাস ছয়েক দেখা পাইনি, বলল, আমি কেরল গিয়েছিলাম লেবারের কাজে। ওই কাজে পাঁচশো টাকা মজুরি। একস্ট্রা কাজ করলে তার ওপর আবার একটা টাকা। বলল, ওখানে সরু চালের ভাত খাই, একটু আলু ভাতে দিলাম, হয়ে গেল।
মুন্নারে নারী চা-শ্রমিক ধর্মঘট : ‘পুরুষ নয়, ইউনিয়ন নয়; ওদের মদ খাইয়ে ভুল বোঝানো সোজা’
সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে কেরালার মুন্নার এলাকায় চা-বাগানের পাতা তোলার কাজে নিযুক্ত সাত হাজার নারী-শ্রমিক টানা ৯ দিন ধর্মঘট করেছেন। হতবাক নেতারা বলছেন – আমরা তো সর্বদা এদের সুযোগ সুবিধা আদায়ের জন্য লড়ছি। এখন এরা আমাদের বিশ্বাস করছে না।
সাম্প্রতিক মন্তব্য