ঘরে ঢুকেই নাবালক ছেলেটিকে চড়, থাপ্পর মারতে থাকে। সুফিয়ানের স্ত্রী নুরুন্নেসা ভয় পেয়ে লুকিয়ে পড়েন এবং আবু নিজে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু চারি দিকে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান। চড়, থাপ্পর ছাড়াও, ডামাট (কোদালের কাঠের হাতল) দিয়ে হাতে-পায়ের আঙ্গুলে খুব মারা হয়। মেজ ছেলের বয়স দশ। তারও চুলের মুঠি ধরেছিল পুলিশ। ওয়াসিমের কথা মোতাবেক জনা ৩০/৪০ পুলিশ ছিল, যাদের মধ্যে এক জন মহিলা, দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার, বাকিরা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ান এবং সাদা পোশাকের। তবে কারও গায়ে সে বা তার মেজ আব্বা জিন্নাতুলের চোখে পড়েনি কারও পোশাকে নাম, পদ-মর্যাদা লেখা আছে কিনা। সুফিয়ানকে গাড়িতে তুলে জলঙ্গিতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর শিবিরে নিয়ে যায়। জিন্নাতুলকেও সঙ্গে যেতে বাধ্য করে। সকাল হলে তাঁকে বাস ভাড়া দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলে। তার আগে কিছু কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এখন তিনি ও পরিবারের লোকেরা বলছেন, আবু কোথায় আছেন, কেমন আছেন সেটা জানতে পারছেন না। কিছু জিনিস বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছে, কিন্তু তার কোন তালিকা দেওয়া হয়নি এবং তাঁরাও জানেন না কি কি নিয়ে গিয়েছে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য