ঘরে ঢুকেই নাবালক ছেলেটিকে চড়, থাপ্পর মারতে থাকে। সুফিয়ানের স্ত্রী নুরুন্নেসা ভয় পেয়ে লুকিয়ে পড়েন এবং আবু নিজে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু চারি দিকে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান। চড়, থাপ্পর ছাড়াও, ডামাট (কোদালের কাঠের হাতল) দিয়ে হাতে-পায়ের আঙ্গুলে খুব মারা হয়। মেজ ছেলের বয়স দশ। তারও চুলের মুঠি ধরেছিল পুলিশ। ওয়াসিমের কথা মোতাবেক জনা ৩০/৪০ পুলিশ ছিল, যাদের মধ্যে এক জন মহিলা, দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার, বাকিরা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ান এবং সাদা পোশাকের। তবে কারও গায়ে সে বা তার মেজ আব্বা জিন্নাতুলের চোখে পড়েনি কারও পোশাকে নাম, পদ-মর্যাদা লেখা আছে কিনা। সুফিয়ানকে গাড়িতে তুলে জলঙ্গিতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর শিবিরে নিয়ে যায়। জিন্নাতুলকেও সঙ্গে যেতে বাধ্য করে। সকাল হলে তাঁকে বাস ভাড়া দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলে। তার আগে কিছু কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এখন তিনি ও পরিবারের লোকেরা বলছেন, আবু কোথায় আছেন, কেমন আছেন সেটা জানতে পারছেন না। কিছু জিনিস বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছে, কিন্তু তার কোন তালিকা দেওয়া হয়নি এবং তাঁরাও জানেন না কি কি নিয়ে গিয়েছে।
তালিবান বন্দিরা কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি যাচ্ছেন
শেষপর্যন্ত আফগানিস্তানে শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন শুরু হল। তালিবান বন্দিরা কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। এরপর শুরু হবে জাতিসত্তাগুলোর নিজেদের মধ্যে ভবিষ্যত সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা। জটিল এসব অধ্যায় পেরিয়ে আফগানিস্তানে পূর্ণ শান্তি এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হতে হয়তো সময় লাগবে। হয়তো হবেই না। কিন্তু এটা তো সত্যি যে, ভিয়েতনামের যুদ্ধের পর দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (এবং ন্যাটো বাহিনী) বিজয় ছাড়াই ঘরে ফিরবে। আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যমে অবশ্য ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তটিকে প্রায় আড়াল করেই রেখেছে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য