‘আলু নিতে গিয়ে তো পটল তুলে ফেলবেন। লাইনটা রাস্তা থেকে নামান।’ লাইন প্রায় পৌঁছল শনিমন্দির অবধি। শুরু হল টোকেন দেওয়া। লাইন খানিকটা এগোনোর পর শুনলাম টোকেন ৫০ টা দেওয়া হবে। কারণ আলু কম। পরিমাণ ৫ কেজির বদলে ৩ কেজি। বিস্ত্র ঠেলাঠেলি। কে হবে ওই ৫০ জনের মধ্যে একজন। আমার অবশ্য একটু সুবিধে হয়েছিল কারণ আমি ওইদিন দু’বার গেছি আলুর খোঁজে। তার ওপর সন্ধেবেলায় সবার প্রথম। এক ভদ্রমহিলাকে বলতে শুনলাম, আমি তো চন্দ্রমুখী খাই। দেখলাম যখন ২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যাই নিয়ে ৩ কেজি। পরের ভদ্রলোকটি বলে উঠল, তা আপনি যখন চন্দ্রমুখীর দলে, তবে কেন এই বিধুমুখীর খোঁজ? টোকেনটা দিন, আমি বরং নিই। আমরা এতজন লাইন দিয়ে আছি সেই বিকেল থেকে।
“অত্যাবশ্যক পণ্য আইনের সংযোজনী কালোবাজারির ছাড়পত্র; চুক্তি-চাষ আইনে নিজের জমিতেই লেবার-এ পরিণত হবে চাষি”
এই ধরনের আইনের মধ্যে দিয়ে কৃষক নিজের জমিতেই লেবার-এ পরিণত হবে। এই আইনের মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চাষের পশ্চিমী মডেল আমাদের এখানে চাপিয়ে দিতে চাইছে। কিন্তু সরকার ভুলে যাচ্ছে, আমাদের এখানকার কৃষকরা পশ্চিমী দেশগুলির কৃষকদের মতো নয়। আমাদের এখানে বেশিরভাগ চাষি ছোটো জোত-এর মালিক। আমাদের এখানে চাষ হল জীবনযাপন করার উপায়। পশ্চিমী দেশগুলিতে চাষ হল ব্যবসা।
লোকসভায় পাশ হওয়া বিতর্কিত তিনটি নতুন কৃষি আইনে কী কী আছে?
এই তিন আইনের বলে কেন্দ্রীয় সরকার ফসলের ন্যুনতম সহায়ক মূল্য তুলে দিতে চাইছে বলেও চাষিদের আশঙ্কা। যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ফসলের দামের একটা মান ঠিক করে দেয় এবং বাজার মূল্য তার আশেপাশেই ঘোরাফেরা করে যদি সরকার চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ফসল কেনে বেশি বেশি। পঞ্জাব ও হরিয়ানার চাষিরা এই তিনটি আইনের বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াই করছে রাস্তায় নেমে।
সাম্প্রতিক মন্তব্য