পুলিশ এসে বিড়বিড় করছিল, দমকলে ফোন করা, না? ঠিক আছে, দেখা যাক। তারপর সোজাসুজি আমাকেই প্রশ্ন, ‘তুই তো সবার থেকে একটু ভালোই ফরাসী জানিস। তুইই করেছিলি ফোনটা, না?’ আমি বললাম, ‘মোটেই না। মেয়েটা নিজেই করেছিল। ওর শরীরের মধ্যে কী হচ্ছে আমি বুঝব কী করে?’ একটা মেয়ে পুলিশ তেড়ে এল। এক চড় কষাতে। আমি চুপ করে যাই। ঘরে ঢুকে পড়ি। ‘-বেশ। কোভিড পরীক্ষা না করালে তিন মাস জেলে থাক’। ভোর চারটের দিকে ওরা ফের আমার ঘরে ঢোকে। দরজা যেহেতু ভাঙা, জানিয়ে ঢোকার প্রশ্নই নেই। আমি ধড়ফড় করে জেগে উঠি বিছানায়। ইতিমধ্যে ওখানে তখন…
গ্রামে বাজার নেই, স্কুল নেই, স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই। একজনও করোনায় মারা যায়নি এখানে।
শান্ত পাহাড়ের বুকে এখন বুক কাঁপানো গর্জন মেশিনের। বড়ো বড়ো জেসিবি মেশিন দিয়ে পাহাড় কাটা হচ্ছে। দুপাশে হাজার হাজার বৃক্ষ উপড়ে ফেলা হচ্ছে প্রতিদিন। ট্রাকে বোঝাই হয়ে সেই কাটা গুঁড়িগুলো চলে যাচ্ছে শিলিগুড়ির দিকে। হাইওয়ে তৈরি হচ্ছে। লোকের মুখে জানতে পারি, এই হাইওয়ে যাবে কালিম্পঙ জেলার মধ্য দিয়ে সিকিম-সীমান্তে নাথু-লা পর্যন্ত। ভারত-চীন সীমান্তে যে গোলযোগের কথা আমরা গত কয়েক বছর ধরে শুনছি, সেখানে চীনের সঙ্গে সামরিক মোকাবিলা করার আয়োজনের অঙ্গ এই দীর্ঘ হাইওয়ে। পাকদণ্ডীর মাঝে মাঝেই সরকারি সাবধানবার্তা, ধসপ্রবণ পাহাড় এই বিপুল কর্মযজ্ঞে হয়ে উঠেছে আরও বিপদসংকুল। তবে স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে কিছু জানতে পারি না — সেন্ট্রাল থেকে দেশরক্ষার জন্য চার বছরের প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে, এ নিয়ে কে আর কী বলবে
নীমা তেনজিনদের স্বপ্ন কি সার্থক হবে ?
ভেবে দেখা যাক বিষয়টা। যদি ভারতীয় সেনাবাহিনী অথবা তার সহায়ক কোনো বাহিনীর এক কাশ্মীরি জওয়ানের মৃত্যু হত, তাহলে কি কাশ্মীরের পতাকা শবাধারে রাখা হত? কোনোদিনই হয়নি তা। আর ৬ আগস্ট ২০১৯ সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর তো কাশ্মীরের সমস্ত সরকারি ভবনের ওপর থেকে কাশ্মীরের নিজস্ব পতাকাটাও নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ তিব্বতী জনসমাজ লড়ছে চীনের দখলমুক্ত হয়ে তিব্বতের স্বাধীনতার জন্য; আর কাশ্মীরি জনসমাজ লড়ছে ভারত, পাকিস্তান আর চীনের দখলদারি থেকে কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য।
ভারত আর তিব্বতের মাঝে চীন-সীমান্ত এলো কোথা থেকে!
চীন শুধু তিব্বতই দখল করেনি। ১৮ লক্ষ বর্গকিলোমিটারের মুসলিম দেশ, উইঘুর পূর্ব তুর্কিস্তান ১৯৪৯ থেকে দখল করে আছে। ওই একই বছর দক্ষিণ মোঙ্গলিয়ার ১২ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এবং মাঞ্চুরিয়ার ৮৪,০০০ বর্গকিলোমিটার গণপ্রজাতন্ত্রী চীনে জুড়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে চীনদেশের ছিয়ানব্বই লক্ষ বর্গকিলোমিটার ভূমির ৬০ শতাংশই অধিকৃত অঞ্চল। কিন্তু চীনের এই জমি দখলের নক্সা এখানেই থেমে থাকেনা। চীনের ‘বেল্ট এন্ড রোড’ প্রজেক্ট গোটা দুনিয়ার শিল্পবাণিজ্যকে নিয়ন্ত্রণ করার ছক।
ছিটমহলের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
বিকর্ণ, ২৫শে জানুয়ারী,২০১৫সূত্র আস্থাভারতী, গ্লোবাল সিকিউরিট, ডেইলি নয়া দিগন্ত, বিগ থিঙ্ক ওয়েবসাইট-গুলি।# ভারত বিভাজন করে ভারত ও পাকিস্তান নামক দু্টি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময়ে, ১৯৪৭ সালে, রেডক্লিফ মানচিত্র বিভাজন থেকেই উদ্ভব হয় এই ছিটমহলের। এক দেশের ভূখণ্ড রয়ে যায় অন্যদেশে। মোট ১৬২টি ছিটমহলের মধ্যে ভারতের ১১১টি ছিটমহল আছে বাংলাদেশে, আবার বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল আছে ভারতে। […]
সাম্প্রতিক মন্তব্য