আজগর আলির কথা শুনে লিখেছেন -জয়নাল আবেদিন, মশালডাঙ্গা, কোচবিহার# আমার বয়েস ১০৬ বছর। কিন্তু কোনও প্রমানপত্র নেই। কারন আমি কোনও দেশের নাগরিকই ছিলাম না। ছিটমহলে থাকতাম। গ্রামের নাম মধ্য মশালডাঙ্গা। এই গ্রামের বাইরে আমি কোঠাও যাইনি। লম্বা জীবনটা এখানেই কাটালাম। আমার ছেলের নাম আবু বকর সিদ্দিক। সে মাধ্যমিক পাস। তার স্কুলের নাম সার্টিফিকেটে লেখা আছে। […]
পূর্বতন ছিটমহল মশালডাঙা থেকে : অতীতের কথা ১
জয়নাল আবেদিন, মশালডাঙ্গা, কোচবিহার, ২১শে আগষ্ট ২০১৫# ১৯৪৭ এর দেশভাগে ছিটমহলের অস্তিত্ত্ব ছিল, কিন্তু জীবন এরকম জটিল ও সঙ্কটাপন্ন ছিল না। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসকেরা মহাম্মদ আলি জিন্নার দ্বিজাতি তত্ত্ব অনুযায়ী ভারতবর্ষকে দ্বিখন্ডিত করে পাকিস্তান নামক একটি কৃত্তিম সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছিল। জন্মলগ্ন থেকেই এই দুই দেশ বার বার সীমান্ত সংঘাতে জড়িয়ে পরে, আর তাতে […]
ছিটমহলের উচ্ছ্বাস
ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময়ের আনুষ্ঠানিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে একটা পরিমাণে। ছিটমহলবাসী বেশিরভাগ মানুষের কাছেই তা নিঃসন্দেহে এক বড়ো পরিবর্তন। সত্ত্বার স্বীকৃতি। মনুষ্যত্বের স্বীকৃতি। তাই উচ্ছ্বাস স্বাভাবিক। কিন্তু প্রতিটি উচ্ছ্বাসের সঙ্গেই তার সীমাবদ্ধতাও সামনে আসে। বড়ো পরিবর্তনের মধ্যে আপাত অদৃশ্য হয়ে থাকে ছোটো ছোটো অনেক না পাওয়া। এমনকি অনেক যন্ত্রণা। এরকমই কিছু যন্ত্রণা, ক্ষমতার আস্ফালনের স্বীকার হয়ে […]
আটষট্টি বছর পর মশালডাঙা ছিটমহলে প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালন
সাদ্দাম হোসেন, মশালডাঙা, কোচবিহার, ১৯ আগষ্ট ২০১৫# [মশালডাঙা, পোয়াতুরকুঠি প্রভৃতি পূর্বতন ছিটমহল অধুনা কোচবিহারের অন্তর্ভুক্ত এলাকাগুলি থেকে যারা লিখছে, তারা আগে কোথাও কখনও কোনো লেখা বা রিপোর্ট লেখেনি। ছিটমহলের উচ্ছ্বাস তাদের ভাষাতেই বোঝার জন্য এই ধরনের বেশ কিছু রিপোর্ট বেরোবে। তার সাথেই থাকবে বাইরে থেকে যারা ওখানে যাচ্ছে, তাদের রিপোর্ট-ও] সদ্যই, দিন পনেরো আগে, ১ […]
‘তা এখানেই তো চৌদ্দ হাত বাঘ মারা হয়েছে; তখন হিন্দুস্তান পাকিস্তান হয়নি’
সোমনাথ চৌধুরি, কোচবিহার, ১৬ আগস্ট# গত ৩১ জুলাই মধ্যরাত ছিল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ছিটমহলে বসবাসকারী মানুষদের মুক্তির রাত। দীর্ঘ ৬৮ বছর ধরে অন্যদেশ পরিবৃত হয়ে নিজভূমে পরবাসীর মতো জীবনযাপন করতে হয়েছে তাদের। এইভাবে বেঁচে থাকাটা যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে — এই অঞ্চলের মানুষরা সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝেছে। বেঁচে থাকার রসদ সংগ্রহ করতে গিয়ে […]
সাম্প্রতিক মন্তব্য