• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

বাবা বলল লকডাউনের মধ্যে বসা যাবে না, তুই দুধের লাইনটা চালু কর

November 1, 2020 admin Leave a Comment

মার্চ মাসে লকডাউন হওয়ার পর তারক হঠাৎ কাগজের সঙ্গে প্যাকেটের দুধ বিক্রি শুরু করল। দোকানের দামের ওপর ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এক টাকা করে প্যাকেট পিছু বেশি নিয়ে। 

তারক নেহাতই একটা বাচ্চা ছেলে, কিশোর। সাইকেলে চেপে খবরের কাগজ বিলি করে। ওর কারবারের গল্পটা শুনলেন ও শোনালেন জিতেন নন্দী। মেটিয়াবুরুজ। ১ নভেম্বর, ২০২০।#

 

মোটামুটি তিনবছর ধরে আমি খবরের কাগজ বিক্রি করি। তখন আমার বয়স ছিল বারো। এখন আমার ষোলো বছর হচ্ছে। আমি আলিপুর টাঁকশাল বিদ্যালয়ে (তারাতলার কাছে) ক্লাস নাইনে পড়ি। এক ঘণ্টার মধ্যে কাগজ বিলি করে নটা সাড়ে নটার মধ্যে স্কুলে যেতাম। স্কুলে যেতাম ট্রেনে। কখনো কখনো দেরি হয়ে গেলে সাইকেলে চলে যেতাম। আটটার মধ্যে কাগজ বিলির কাজ শেষ হয়ে যেত। তাতে মাসে হাজার টাকা মতো পেয়ে যেতাম। লকডাউন যখন হল, তখন তো বন্ধ ছিল সব কিছু। পেপারও বন্ধ ছিল। এক-দু সপ্তাহ পরে বাবা বলল কি লকডাউনের মধ্যে বসা যাবে না, তুই দুধের লাইনটা চালু কর। কাগজের কাস্টমারদের জিজ্ঞেস করলাম, ‘আমি দুধের লাইনটা চালু করব। আপনারা কি দুধ নেবেন? তাহলে বলবেন আমি দুধ এনে দেব।’ প্রথমে সন্তোষপুর থেকে দুধ নিতাম। এখন ঘোষপাড়ার ডিলারের কাছ থেকে নিচ্ছি। মোটামুটি সত্তর-পঁচাত্তরটা কাস্টমার পেলাম। যেদিন জলদি হয়ে যায়, দুধ বেঁচে গেলে দোকানে ফেরত দিয়ে দিই। আজ পাঁচখানা বেঁচে গেছে। নিয়ে গিয়ে ফ্রিজে রেখে দেব। বাড়িতে আগে ফ্রিজ ছিল না। ফ্রিজ করলাম, তারপর এই কাজটা চালু করলাম। এছাড়া টক দই, মিষ্টি দই, পনির, পাঁউরুটিও আছে। বারোটার সময় বাড়ি ফিরি। মোটামুটি দিনে এক-দেড়শো টাকা এসে যায়।

       সকালে সাড়ে চারটেয় ঘুম থেকে উঠে পড়ি। পাঁচটার মধ্যে ফ্রেশ হয়ে চান করে বেরিয়ে যাই। সাড়ে ছটার মধ্যে কাগজ এসে যায়। কাগজটা নিয়ে তারপর দুধের লাইনে যাই।

       কারবারের সঙ্গে পড়াশুনাও হচ্ছে। অনলাইন পড়া হচ্ছে, ফোনে আসছে তো। এই সময় ফোনও কিনতে হল।

       আমরিতলায় সাতঘরা মসজিদের পাশে বাবার মুদিখানা আছে। আমার ভালো নাম করণ সাও, বাবা সুনীল সাও। হিন্দিতে পড়ি। বাংলাও আছে। বাড়িতে মা, বাবা, ভাই, দিদি আছে। একটা বড়ো দিদির বিয়ে হয়ে গেল। আমার ভাইও সন্তোষপুরের ওদিকে এই কাজই করে।

নাবালকথা খবরের কাগজের ফেরিওয়ালা, দুধের লাইন, শিশু হকার

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in