স্বরাজ ইন্ডিয়া। পশ্চিমবঙ্গ শাখা প্রেস বিজ্ঞপ্তি । ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২০।
স্বরাজ ইন্ডিয়ার দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় ঝাড়গ্রাম প্রশাসনকে গাছ কাটা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিল কোলকাতা হাইকোর্ট। মহামান্য প্রধান বিচারপতি জাস্টিস রাধাকৃষ্ণান ও জাস্টিস বন্দোপাধ্যায়ের বেঞ্চ এক অন্তর্বর্তী আদেশে এই নির্দেশ দেন। প্রশাসনকে প্রকল্প সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানিয়ে হলফনামা দাখিল করার নির্দেশও তারা দিয়েছেন।
উন্নয়নের নামে নির্বিচারে গাছ কাটা ও পরিবেশ ধ্বংস বন্ধ করতে লড়াইয়ে নেমেছে স্বরাজ ইন্ডিয়া। সম্প্রতি সূত্রের মাধ্যমে খবর আসে উন্নয়নের নামে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন নির্বিচারে সবুজ ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বেলপাহাড়ী–বাঁশপাহাড়ী রোডে প্রাচীন গাছ সহ প্রায় ১৭৪ টি গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। খবর পেয়েই স্বরাজ ইন্ডিয়ার ঝাড়গ্রাম জেলা শাখা স্থানীয় জনমত সংগ্রহ করে এই তুঘলকী অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন নেমে পড়ে। জেলার কালেক্টর তথা জেলাশাসক শ্রীমতী আয়েশা রানীর কাছে বারংবার চিঠি লিখে জানতে চাওয়া হয়:
(১) কোন প্রকল্পের জন্য গাছ কাটার প্রয়োজন?
(২) কোন লাইন বিভাগ প্রকল্পটি সম্পাদন করেছে যার জন্য গাছ কাটা হবে?
(৩) কোন লাইন বিভাগ গাছ কাটার কাজ করবে অথবা গাছ কাটার কাজের জন্য চুক্তি করবে?
(৪) কোন প্রজাতির / ধরনের গাছ কাটা হবে?
(৫) যে গাছ কাটা হবে তাদের গড় বয়স, ঘের এবং উচ্চতা কত?
(৬) গাছ কাটার জন্য বন/পরিবেশ বিভাগ/দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা?
(৭) গাছ না কেটে কোন বিকল্প পথে প্রকল্পটি কার্যকর করার সুযোগ আছে কিনা?
(৮) প্রকল্পটির পরিবেশগত মূল্যায়ন করা হয়েছে কিনা?
(৯) ক্ষতিপূরণমূলক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর পরিকল্পনা করা হয়েছে কিনা?
এবং সাথে দাবি জানানো হয়
(১) প্রকল্প সম্বন্ধীয় সব তথ্য জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করতে হবে
(২) অবিলম্বে জনশুনানী করে স্থানীয় মানুষের মতামত ও পরামর্শ নিতে হবে।
যথারীতি তাদের চিরাচরিত আচরণ এবং কায়দায় প্রশাসন নিরুত্তাপ ও নিরুত্তর থাকে। অবশেষে বাধ্য হয়ে স্বরাজ ইন্ডিয়া কোলকাতা আদালতের দ্বারস্থ হলে, আদালত উপরোক্ত নির্দেশ দেন।
স্বরাজ ইন্ডিয়ার ঝাড়গ্রাম জেলা সহ-সভাপতি অশোক মাহাত বলেন ঝাড়গ্রাম বাসীর স্বার্থে এবং পরিবেশ ধ্বংসের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে।
Leave a Reply