ফের জিনিসপত্র অগ্নিমূল্য। সবজি তরকারির দাম আকাশছোঁয়া। প্রতি বছরই বর্ষার পর সবজির দাম বাড়ে। বাজারে গেলে শোনা যায়, বৃষ্টিতে ঝিঙে, বেগুন, উচ্ছের ফলন মার খেয়েছে চাষিদের। প্রতি বর্ষায় কাঁচালঙ্কার ফলনও মার খায়। তাই দাম বেশি।
একইভাবে বর্ষাকালে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। কারণ পেঁয়াজ আমদানি হয় আর মহারাষ্ট্রে হর বর্ষায় পেঁয়াজ নষ্ঠ হয়।
একইভাবে বছরের কোনো সময় সরষের তেলের দাম বাড়ে। রমজানের সময় ফলের দাম বাড়ে। ঈদের আগে চিনির দাম বাড়ে। হেমন্তকালে আলুর দাম বাড়ে। গ্রীষ্মকালে মাছের দাম বাড়ে। এগুলো সবই মরশুমি।
এগুলির কোনটা সত্যিই আকালের কারণে বাড়লো, আর কোনটা কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হলো, সেটা অত তলিয়ে দেখা হয় না। তবে আওয়াজ ওঠে। রেড হয় বাজারে। কালোবাজারি ধরার জন্য।
অন্যদিকে আরো কিছু মরশুমি মূল্যবৃদ্ধি তৈরি করা হয়েছে। যেমন উৎসবের মরশুমে ট্রেনের রিজার্ভেশন টিকিটের দাম বৃদ্ধি।
আমাদের এখানে গ্রীষ্মকালে যখন বিদ্যুতের চাহিদা চরমে ওঠে, তখন বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি খরচ বেশি হয়। সেভাবেই বন্দোবস্তটি করা রয়েছে।
এগুলো পুরো সাপ্লাই-ডিমান্ডের নিয়ম মেনে। কালোবাজারি নয়, বাজারি।
এতে হয়ত আইন বাঁচে। কিন্তু আমার-আপনার পকেট বাঁচে কি?
Leave a Reply