অখিল ভারতীয় কিষান সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি (এ.আই.কে.এস.সি.সি)। দক্ষিণ ২৪ পরগণা। ৩ অক্টোবর, ২০২০।#
(প্রেস বিবৃতি)
মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের আনা কৃষক বিরোধী আইনগুলির সমর্থনকারী বিজেপি সাংসদ ও নেতা–নেত্রীদের বয়কট আন্দোলনের সংকল্প গ্রহণ করল এ.আই.কে.এস.সি.সি., দক্ষিণ ২৪ পরগণা শাখা।
কুলতলী ব্লকের ভুবনেশ্বরী স্কুল মোড়ে মিছিল ও পথসভা হয়। ভুবনেশ্বরী, মইপিট ,বৈকন্ঠপুর, দেবীপুর, কাঁটামারী এলাকার প্রায় দুই শতাধিক মহিলা, যুবক এবং কৃষক হাজির ছিলেন। বক্তারা তাদের ভাষণে বলেন, ইস্ট ইন্ডিয়ার কোম্পানির মতো অত্যাচারী বনিক এবং ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য গান্ধীজী লড়াই করেছিলেন কিন্তু এখন আবার দেশী বিদেশী ব্যাবসায়ী ও সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে দেশকে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। সম্প্রতি পাশ হওয়া তিনটে কৃষক বিরোধী ও কর্পোরেট স্বার্থ রক্ষাকারী আইন দ্বারা দেশের কৃষি ব্যবস্থা ও খাদ্য শৃঙ্খল মুনাফাবাজ কালোবাজারীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আগামীদিনে দেশের কৃষি ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ একচেটিয়া পুঁজিপতিদের হাতে চলে যাবে। স্বাধীন কৃষক পরাধীন মজুরে পরিণত হবে। কালোবাজারী ও মজুতদারীর আইনসিদ্ধ অধিকার দিয়ে দেওয়া হচ্ছে যা সাধারণ মানুষের জন্য চরম দুর্দশার ও বিপদ ডেকে আনবে। দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। নেতৃবৃন্দ বলেন তাই ঐ তিনটে আইনকে কোনমতেই কার্যকর হতে দেওয়া চলবে না। কৃষক শ্রমিক মজুর ও সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এই আইনগুলির সমর্থনকারী সব রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের বয়কট করতে হবে। গ্রামে গ্রামে সভা করে এজন্য প্রস্তাব গ্রহণ করতে হবে।এ.আই.কে.এস.সি.সি সারা দেশ জুড়ে এই জনবিরোধী আইন প্রনয়নের বিরুদ্ধে এবং আইনগুলি রদ করার দাবীতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সংকল্প ঘোষণা করে। মিছিল ও পথসভা সভাটি
সার্বিকভাবে সঞ্চালনা করেন জয় কিষান আন্দোলন এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সংগঠক প্রবীর মিশ্র।
Leave a Reply