• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

২রা অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী ব্যাপক কৃষক বিক্ষোভ ও ২৬-২৭ নভেম্বর “দিল্লী চলো” আহ্বান

September 29, 2020 admin Leave a Comment

অখিল ভারতীয় কিষাণ সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি (এআইকেএসসিসি)

প্রেস বিবৃতি। দিল্লি। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০।#

২৫ শে সেপ্টেম্বর দেশের কৃষক, কৃষি মজুর এবং সাধারণ মানুষ যে ঐতিহাসিক ভারত বনধ ও প্রতিরোধ কর্মসূচী পালন করেছে, তার জন্য এআইকেএসসিসি তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষকবিরোধী, জনবিরোধী আইন ও নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ কর্মসূচী সমন্বয় সাধনের জন্য সকল সংগঠনকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। ইতিহাসে এই প্রথমবার কোন কেন্দ্রীয় আইন পাস হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই দেশজুড়ে কৃষকরা প্রতিবাদ করল। এই তীব্র প্রতিবাদ, যা কৃষকদের জীবন ও জীবিকার উপর হামলার বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, ২০ টি রাজ্য জুড়ে দেখা গিয়েছে। দশ হাজারেরও বেশী জায়গায় প্রায় দেড় কোটি কৃষক “চক্কা জাম”, “ধর্না” বা বিল পোড়ানো ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার মিথ্যা প্রচার করছে যে কৃষক বিক্ষোভ শুধুমাত্র উত্তর ভারতে সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু এই বনধ এবং বিক্ষোভের সর্বভারতীয় চরিত্রটা পরিস্কারভাবে বোঝা গেছে যখন দেশের দক্ষিণতম রাজ্য তামিলনাড়ুতে ৩০০-এরও বেশি জায়গায় প্রতিবাদ হয়েছে, ৩৫,০০০–এরও বেশী কৃষক রাস্তায় নেমেছে এবং ১১,০০০–এর বেশী কৃষককে রাজ্যের বিজেপি’র বন্ধু সরকার গ্রেপ্তার করেছে!! এমনকি অন্যান্য সংগঠন এবং কোনও সংগঠনের সাথে জড়িত না থাকা কৃষকরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বনধ পালন করেছে। এই বনধ দেখিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের এই তিনটি কালো আইনকে দেশের কৃষকরা প্রত্যাখ্যান করেছে।

এটি মনে রাখতে হবে যে এআইকেএসসিসি ৯ ই আগস্টের আগে থেকেই বিক্ষোভ শুরু করেছিল এবং তিনটি আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার ঘোষণা করেছিল। কেন্দ্রীয় সরকার যেহেতু কৃষকবিরোধী এই আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এমএসপি/ফসল ক্রয় সম্পর্কিত ভুল তথ্য ছড়িয়ে যাচ্ছে, এআইকেএসসিসি কৃষকদের এই লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং এই আইনগুলিকে কার্যকর করতে দেবে না।

এআইকেএসসিসি কৃষকদের দাবিগুলোর প্রতি মনোযোগ দিতে এবং এই আইনগুলো কার্যকর করা থেকে বিরত থাকার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছে। বিরোধী দলগুলোর যে রাজ্য সরকারগুলো রয়েছে, যারা কৃষকদের এই অবস্থানের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, তাদের রাজ্যে এই আইনগুলো যাতে কার্যকর না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আইনী উপায় বার করার জন্য এআইকেএসসিসি আহ্বান জানাচ্ছে। অধিকন্তু, এআইকেএসসিসি এই রাজ্যগুলোর বিধানসভায় আইনগুলো কার্যকর না করার জন্য প্রস্তাব গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে কারণ এই আইনগুলো যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ক্ষুন্নকারী  এবং কৃষকের অধিকারের উপর মারাত্মক আক্রমণকারী।

এআইকেএসসিসি কৃষক বিরোধী এই কালো আইনগুলোর বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবে এবং ক্রমশঃ তা জোরালো করবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই কৃষকদের প্রতারণাকে উন্মোচিত করার জন্য এআইকেএসসিসির বেশ কয়েকটি রাজ্য ইউনিট ইতিমধ্যে গ্রামাঞ্চল এবং ব্লক স্তরে বা মান্ডি স্তরে সভা, সেমিনার, স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ, রিলে অনশন, অনশন ইত্যাদির মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। এআইকেএসসিসি পাঞ্জাব, হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তর প্রদেশ এবং কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গানার আন্দোলনসহ সমস্ত সংস্থা এবং তার নিজস্ব রাজ্য ইউনিটগুলির সাথে নিবিড়ভাবে সমন্বয় রাখছে এবং এদের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আরও কর্মসূচী ঘোষণা করতে চলেছে এবং এরই মধ্যে এআইকেএসসিসি-র জাতীয় কার্যনির্বাহী সমিতি সমস্ত রাজ্য পর্যায়ের কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়েছে, যথা:

  •  পাঞ্জাব কৃষক সংস্থার ডাকা রেল রোকো।
  •  হরিয়ানার উপ-মুখ্যমন্ত্রী দুস্মন্ত চৌতলার পদত্যাগের দাবীতে তার বাড়ির বাইরে ৬ই অক্টোবর বিক্ষোভের ডাক
  •  কর্ণাটক কৃষক সংগঠনগুলোর আহ্বানে কৃষক বিরোধী কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য আইন প্রয়োগ করার বিরুদ্ধে বনধ, প্রতিরোধ সভা ইত্যাদি।

এই স্থানীয় বিক্ষোভের সাথে জাতীয় স্তরের কর্মসূচি যুক্ত হবে, যার কয়েকটি নিম্নরূপ:

  •   ২রা অক্টোবর, ভারতের কৃষকরা সেই রাজনৈতিক নেতা ও প্রতিনিধিদের সামাজিক বয়কট করার প্রতিশ্রুতি নেবে, যাদের দলগুলো এই কৃষক বিরোধী আইনগুলোর বিরোধিতা করেনি। এছাড়া, কেন্দ্রীয় কৃষক বিরোধী আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণের জন্য গ্রামে গ্রামে সভা করবে।

 

  •  ১৪ই অক্টোবর ভারতের কৃষকরা এমএসপি অধিকার দিবস হিসাবে পালন করবে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মিথ্যা প্রচার যে কৃষকরা স্বামীনাথন কমিশন প্রস্তাবিত এমএসপি পাচ্ছে, তার পর্দা ফাঁস করবে।

সমস্ত প্রতিবাদ কর্মসূচী শেষ হবে ২৬শে ও ২৭শে নভেম্বর দিল্লিতে এক জাতীয় প্রতিবাদের মাধ্যমে। এআইকেএসসিসি দেশের সমস্ত কৃষকদের “দিল্লি চলো“ আহ্বান জানাচ্ছে যাতে এই কৃষকবিরোধী কেন্দ্রীয় সরকার, কৃষকদের ভবিষ্যত এবং জীবিকার উপর তার অমানবিক আক্রমণ বন্ধ করতে বাধ্য হয়। ভারতের কৃষকরা বিজয় না পাওয়া পর্যন্ত এআইকেএসসিসি বিশ্রাম নেবে না – আমরা লড়ব, আমরা জিতব!!

 

আন্দোলন এম এস পি, কৃষক আন্দোলন, কৃষি আইন, দিল্লি চলো, সামাজিক বয়কট

এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন এই প্রতিবেদনটি প্রিন্ট করুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in