• প্রথম পাতা
  • আন্দোলন
  • কৃষি ও গ্রাম
  • খবরে দুনিয়া
  • চলতে চলতে
  • পরিবেশ
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
  • শিল্প ও বাণিজ্য
  • নাবালকথা

সংবাদমন্থন

পাতি লোকের পাতি খবর

  • আমাদের কথা
    • যোগাযোগ
  • পত্রিকার কথা
    • পাক্ষিক কাগজ
    • জানুয়ারি ২০০৯ – এপ্রিল ২০১২
  • মন্থন সাময়িকী
    • মন্থন সাময়িকী নভেম্বর ডিসেম্বর ২০১৪
    • মন্থন সাময়িকী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৪
    • সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলি
    • সাম্প্রতিক পিডিএফ
    • পুরনো সংখ্যাগুলি
  • সংবাদ সংলাপ
  • বিষয়ের আলোচনা

মৌলানা আজাদ থেকে যাদবপুরে

সেবন্তী চট্টোপাধ্যায়

আগস্ট মাসের শেষের দিকে এক দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে আমি জানতে পারি যে, গত ২৮ আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেস্ট (সংস্কৃতি) চলাকালীন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একটি ছাত্রীর শীলতাহানি হয়। তার কিছুদিন আগেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের ছাত্রীর সঙ্গে ঠিক এমনই ঘটনা ঘটে। সেই ছাত্রী এবং তার বাবাকে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে যাদবপুরে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে উপাচার্য পর্যন্ত এই ঘটনার কোনো উচিৎ পদক্ষেপ নেয়নি, বিশাখা গাইডলাইন অনুযায়ী এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হয়নি। উল্টোদিকে সমস্ত আঙ্গুল উঠেছে নিগৃহীতার দিকে। কলাভবনের ক্ষেত্রে সমস্ত ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চলেছিল। নিগৃহীতা এবং তার বাবাকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ নজরবন্দি করে রাখে ও শেষে তাদের ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা কর্তৃপক্ষ ও উপাচার্যের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে নিগৃহীতা বন্ধুটির পাশে এসে দাঁড়ায়। নিরপেক্ষ তদন্ত, সেই নিগ্রহকারীদের উচিত শাস্তি এবং সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে শ্লীলতাহানি রোধ করার দাবিতে অবস্থান শুরু করে। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এই ঘটনা উপেক্ষা করেন এবং ছাত্রদের সঙ্গে নেমে এসে কথা বলায় তাঁর ‘সম্মানহানি’ হবে বলে জানান। ছাত্ররা ছাত্রদের দাবিতে অনড় থাকে এবং অবস্থান চালিয়ে যায় প্রায় সাতদিন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর অরবিন্দ ভবনের সামনে ছাত্ররা অতি শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিল, কিন্তু নিজেদের অজান্তেই তারা কিছুদিন আগে থেকেই নজরবন্দি হয়েছিল স্থানীয় পুলিশের দ্বারা। দীর্ঘ সাতদিন ধরে অবস্থানরত পড়ুয়ারা শর্ত দেয় যে উপাচার্য কোনো পাবলিক স্টেটমেন্ট না দিয়ে অরবিন্দ ভবন থেকে বেরোতে গেলে তাদের জীবন্ত শরীরের ওপর পা দিয়ে বেরোতে হবে। এতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খুবই ‘ভয়’ পান ও পুলিশ ডাকেন। স্থানীয় থানার পুলিশ যাদবপুরে এলে ছাত্ররা তাদের বেহালা, গীটার, স্যাক্সোফোন জাতীয় কিছু ‘প্রাণঘাতী’ অস্ত্র নিয়ে পুলিশের সামনে দাঁড়ায়। সেই মুহূর্তে পুলিশ চলে গেলেও, ভোর রাত্রে আরও এক বাহিনীর প্রবেশ ঘটে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। তারা পুলিশ না গুণ্ডা, বিষয়টি খুব স্পষ্টভাবে জানা না গেলেও, এ ঘটনা সবার কাছেই পরিষ্কার যে রাতের অন্ধকারে ভেতর থেকে অরবিন্দ ভবনের আলো নিভিয়ে তারা তাণ্ডব চালায়। অবস্থান ভঙ্গ করার জন্যে তারা কলেজ পড়ুয়াদের নির্মমভাবে পেটায়, প্রায় ছুঁড়ে ফেলে দেয় রাস্তায়। এই অত্যাচার থেকে বাদ পড়েনি মেয়েরাও। মহিলা পুলিশের অনুপস্থিতিতে রাতে তাদের গায়ে হাত দেওয়া হয়, তাদের টানা-হেঁচড়া করে অবস্থান থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। একজন ছাত্রীর শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আরও একদল ছাত্রীর শ্লীলতাহানি হল রাতের অন্ধকারে, প্রশাসনের মদতে, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। সেই রাত্রে একত্রিশ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, তার মধ্যে একজন মহিলা। বেআইনি ভাবে মহিলা পুলিশের অনুপস্থিতিতে, মধ্যরাতে তাকে পুলিশের ভ্যানে তোলা হয় এবং থানায় যেতে বাধ্য করা হয়। এই একত্রিশ জনের মধ্যে অনেকেই ছিল ‘বহিরাগত’। সংবাদমাধ্যমের সূত্রে যা জানতে পারা যায়, এই ‘বহিরাগতরা’ প্রধানত প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী। সরকার থেকে এও দাবি করা হয় যে এই তথাকথিত ‘বহিরাগতরা’ আন্দোলনে ইন্ধন জোগানোর জন্যে সশস্ত্র ছিল। অন্যদিকে উপাচার্যের দাবি ছাত্ররাই নাকি তাঁর ওপর হামলা চালায়, তারাই পাথর ছুঁড়ে অরবিন্দ ভবনের সমস্ত আলো ভেঙে দেয় ও পুলিশকে (যদিও পুলিশ না গুণ্ডা সে সম্পর্কে জানা যায়নি) তারাই প্রহার করে।

১৬ সেপ্টেম্বর রাতেই জানতে পেরেছিলাম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পুলিশ ঢুকেছে। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই টিভির পর্দায় দেখলাম আগের রাতের তাণ্ডব। দেখলাম কীভাবে প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একজোট হয়ে ছাত্রদের ওপর নির্মম অত্যাচার করছে। একই সঙ্গে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া যারা তাদের সতীর্থদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল তাদের সশস্ত্র বহিরাগত আখ্যা দেওয়া হয়েছে। আগের রাতের তাণ্ডব দেখে, ছাত্রীদের ওপর অত্যাচার দেখে আবেগসম্পন্ন যে কোনো মানুষই বাড়িতে বসে থাকতে পারেনি, দলে দলে পড়ুয়ারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে একই প্রতিবাদের সুরে গলা মেলালো। আর পাঁচটা সাধারণ পড়ুয়ার মতো আমিও যোগ দিলাম সেই মিছিলে, গলা মেলালাম প্রতিবাদী স্লোগানে। যাদবপুর ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখলাম ছাত্রদের জমায়েত। তখনও অরবিন্দ ভবনের চত্বরে রয়েছে আগের রাত্রের তাণ্ডবের নানা চিহ্ন, GB থেকে এটুকুই বেরিয়ে এল যে যতদিন না নিগ্রহকারীরা উচিত শিক্ষা পাবে আর উপাচার্য পদত্যাগ করবেন, ততদিন ছাত্ররা তাদের দাবিতে অনড় থাকবে। একই সঙ্গে চলবে আরও নানা কর্মসূচি ও ক্লাস বয়কট। এরপরেই পাঁচ হাজার ছাত্রের মিছিল বেরোয় পথে। প্রচুর পথচারীও মিছিলে যোগ দেয়। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয় কলকাতার সমগ্র ছাত্রসমাজ। পরের দিনগুলিতে জন কনভেনশনে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ বক্তৃতা দেয়, সরব হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। যাদবপুরের দেওয়ালে দেওয়ালে উপাচার্যের প্রতি ঘৃণা প্রকাশিত হয়। তবে ক্রমশ পদত্যাগের দাবিই বড়ো হয়ে ওঠে।

একজন ‘বহিরাগত’ হিসেবে ২৮ আগস্টের ঘটনা সম্পর্কে যেটুকু জানতে পারছি তা এই যে নিগৃহীতা ছাত্রী ও তার বন্ধুকে ক্যাম্পাসের মধ্যে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গেলে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কয়েকজন ছাত্র তাদের ঘিরে ধরে এবং সঙ্গের ছাত্রটিকে মারধোর করে। তারা সেই ছাত্রীটিকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে বার করে হস্টেলে নিয়ে যায়। এই ঘটনা থেকে যে প্রশ্ন উঠে আসে, তা হল, ছাত্ররা অভিভাবকত্বের দায়িত্ব পেল কোথা থেকে? কাউকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গেলেই কি মারধোর করা যায়? বা সঙ্গের মেয়েটিকে টানাহেঁচড়া করা যায়? ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী না হয়েও একজন মেয়ে হিসেবে পরিস্থিতিটা আন্দাজ করতে পারি যে দশ-বারোজন উত্তেজিত ছাত্র পরিবেষ্টিত অবস্থায় একজন ছাত্রী কতটা আর্ত বোধ করতে পারে। তাছাড়া ক্যাম্পাস থেকে হস্টেলে নিয়ে যাওয়ার সময়ে যে টানাহেঁচড়া হয়েছে তাও পরিস্কার বুঝতে পারি। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কী ধরনের আচরণ করা যাবে বা কী ধরনের কাজ করা যাবে তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব কার? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের না এই ‘দাদা’দের? একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী হিসেবে নিগ্রহকারী ছাত্ররা এবং নিগৃহীতা ছাত্রীটি সতীর্থ, সেক্ষেত্রে একজন সতীর্থের সঙ্গে এরকম ব্যবহার করা কি উচিত? ‘উচিত’ শব্দটি ব্যবহার করা হল এই কারণেই যে ওই ছাত্রের দল, ওই মেয়েটি এবং তার সঙ্গীর আচরণকে উচিত বলে মনে করেনি। এখন কোনটা ‘উচিত’, কোনটা ‘অনুচিত’ তা নির্ধারণ করবে কে? তাছাড়া একটা অনুচিতের বিরোধিতা করা হল আর একটি অনুচিত আচরণের মাধ্যমে। অবশ্য আমি এখানে ন্যায় শাস্ত্রের ঔচিত্য, অনৌচিত্যের কথা বলছি না, বলছি সাধারণ সামাজিকের স্বাভাবিক ঔচিত্য-অনৌচিত্য বোধ থেকে। ছাত্ররা সেদিন যে আচরণ করেছে তা এক ধরনের স্পর্ধিত অভিভাবকত্ব। একি ছাত্রদের আড়ালে ক্ষমতার স্পর্ধিত প্রকাশ নয়? কোন অধিকারে একটি মেয়েকে তারা ছাত্রীনিবাসে না নিয়ে গিয়ে ছাত্রনিবাসে নিয়ে যায়? এ ঘটনার প্রসঙ্গে আরও কিছু এধরনের দাদাগিরির ঘটনা আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কাছ থেকেই শুনেছি। তা থেকে মনে হয়েছে ভেতরে ভেতরে এরকম ছুটকো ছাটকা দাদাগিরি চলে যা বড়ো আকারে সকলের সামনে চলে এসেছে এই ঘটনার মাধ্যমে। তাছাড়া সংস্কৃতি চলছিল, কাজেই শুধু ছাত্ররা নয়, ছাত্রীরাও ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিল। ছাত্রের দল কেন একজনও ছাত্রীকে ডেকে পাঠালো না? কিম্বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রহরায় যে সমস্ত কর্মীরা নিযুক্ত তাদের কেন ডাকা হল না? এক্ষেত্রে ১৬ সেপ্টেম্বরের রাতের পুলিশ বাহিনীর হামলার সঙ্গে এই ছাত্রদের হামলাকেও এক বলেই মনে হয়। পুলিশ যেমন মহিলা পুলিশ ছাড়াই একজন ছাত্রীকে গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যায় এবং তাকে উদ্দেশ্য করে নানা কুৎসিত কথা বলে, তেমনি সংস্কৃতির রাতেও ছাত্ররা একই আচরণ করেছে ছাত্রীটির সঙ্গে। আর সবচেয়ে লজ্জাজনক ঘটনা এই যে অন্যায়ের বিচার তো দূরের কথা মানবিক আচরণও পায়নি সেই মেয়েটি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। উপরন্তু নিরপেক্ষ তদন্তের নামে বিশ্ববিদ্যালয় যে প্রতিনিধি দল পাঠায় তাদের নানা প্রশ্নে মেয়েটি আরও হেনস্থা বোধ করে। কাজেই এই কর্তৃপক্ষ যে পুলিশ ডেকে রাতের অন্ধকারে ছাত্র পেটানোর আয়োজন করবে তা বলাই বাহুল্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েটির যে শ্লীলতাহানি হয় তার প্রতিবাদ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্রছাত্রীরা। কাজেই তা প্রথমে অনেকটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু সে সীমানা ভেঙে দিল প্রশাসন তথা উপাচার্যের দ্বারা অবস্থানরত ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিশি নির্যাতন। ছাত্রদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না হয়েও সেদিন প্রতিবাদ-মিছিলে যোগ দিই। এই প্রতিবাদের নেতৃত্বে ছিল ছাত্ররাই। যদিও সেই মিছিলে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে যোগ দিয়েছিল বহু মানুষ। পর পর তিনদিনের মিছিলের উত্তেজনার অভিঘাতে প্রতিনিয়ত আন্দোলিত হচ্ছিলাম আর সেই আন্দোলনের মধ্য থেকেই উঠে আসছিল কয়েকটি প্রশ্ন। পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে প্রতিবাদের মূল কারণটি গৌণ হয়ে যাচ্ছে কি না, তাছাড়া বিভিন্ন দিকের বিশেষত সংবাদমাধ্যমের ‘কারা বহিরাগত কারা বহিরাগত নয়’ এই চাপানউতোর প্রতিবাদের মূল কেন্দ্রবিন্দু থেকে সাধারণের চিন্তাকে প্রতিনিয়ত দূরে ঠেলে দিচ্ছে কি না। ছাত্রদের প্রতিবাদ মিছিলের প্রতিবাদে শাসক দলের ডাকা মিছিলে কুৎসার ছড়াছড়ি, এমনকী সেই মিছিলে নিগৃহীতা ছাত্রীটির বাবাকে হাঁটতে দেখা, সব মিলিয়ে ঘটনা গুলিয়ে যাচ্ছিল। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কাছেও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি ক্রমশ বড়ো হয়ে উঠছিল। তার নিচে যেন চাপা পড়ে যাচ্ছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছাত্রী নিগ্রহের সুরাহা এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার দাবি। আর পাশাপাশি মজার ব্যাপার হল, যে রাজ্যপাল ছাত্রদের মহামিছিলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যথেষ্ট সময় দিয়ে অনুভূতিশীলতার সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন, তিনিই অস্থায়ী উপাচার্যকে স্থায়ী হওয়ার শিলমোহর দিলেন। প্রতিবাদ এখনও চলছে, সেখানে আমার মতো বহিরাগতরা হয়তো সরাসরি নেই। তবুও পরিপূর্ণ সমর্থন নিয়েই প্রশ্ন রাখছি, আমরা ছাত্ররা আন্দোলনের মূল বিষয় থেকে সরে যাইনি তো? তাছাড়া ওইদিনের ওই পুলিশি হামলা আরও গভীর এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে প্রতিবাদের কেন্দ্রবিন্দু থেকে ছাত্রদের বিচ্যুত করবার এবং ভারতবর্ষের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য এবং শিক্ষা কাঠামোকে নষ্ট করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র নয় তো?

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনুসন্ধান করুন

সংবাদ মন্থন

  • ছিটমহল
  • মাতৃভূমি লোকাল

খবরের মাসিক সূচী

মেটা

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

সাম্প্রতিক মন্তব্য

  • TG Roy on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প
  • Subrata Ghosh on স্বনির্ভরতায় উজ্জ্বল ‘শিশু কিশোর বিকাশ মেলা’
  • সুমিত চক্রবর্তী on ‘গুণগত মেশিন একটা মানুষকে মানসিক রোগী বানিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে’
  • তীর্থরাজ ত্রিবেদী on লোককবি গুরুদাস পালের আত্মজীবনী : জীবন ও শিল্প

ফোরাম

  • আড্ডা
  • বিষয়ের আলোচনা
  • সংবাদ সংলাপ
  • সাংগঠনিক আলাপ

লে-আউট সহায়তা

সংবাদমন্থন প্রিন্ট >>
 
নমুনা ল্যাটেক>>

songbadmanthanweb [at the rate] gmail.com · যোগাযোগ · দায়দায়িত্ব · Log in