Glossy Ibis বা ‘খয়রা কাস্তেচরা’
পুষ্পল ঘোষ। শান্তিপুর। ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০।#
প্রতি বছর শীত মরশুমের শুরুতে নানা রঙের নানা জাতের দেশিয় পাখির সাথে দেখা যায় বহু সুন্দর সুন্দর অতিথি পাখি। যাদের আমরা পরিযায়ী পাখি বলে থাকি। তীব্র শীত থেকে বাঁচার তাগিদে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ থেকে চলে আসে এদের দল। আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রদেশের সাথে সাথে বাংলার নানা প্রান্তেও দেখা যায় এদের। নির্দিষ্ট কয়েক মাস কাটিয়ে আবার তারা ফিরে যায়। এই পাখিদের মধ্যে অনিন্দ্য সুন্দর জলচর পরিযায়ী একটি পাখি হল খয়রা কাস্তেচরা, যার ইংরেজি নাম Glossy Ibis এবং বৈজ্ঞানিক নাম Plegadis Falcinellus। এই পাখির গায়ের রঙ অদ্ভুত সুন্দর। লালচে বাদামি শরীর আর উজ্জ্বল বেগুনি ডানা। তবে প্রজনন কালে তাদের গায়ের লাল রঙ বেগুনির সাথে মিশে অপরূপ রঙ সৃষ্টি করে। হলদে বাদামি রঙের ঠোঁটটি কাস্তের মত বাঁকানো। এরা সাধারণত জলাশয়ের কাদামাটিতে হেঁটে হেঁটে পোকামাকড় খায়। ছোট মাছ, কেঁচো, ব্যাঙ, শামুক এদের পছন্দের খাবার। কখনো একাকী, আবার বেশির ভাগ সময়ই ঝাঁক বেঁধে ঘুরে বেড়ায়।
এই বছর শান্তিপুরের গঙ্গা সংলগ্ন এলাকার নীচু জলাশয় গুলিতে কিছু খয়রা কাস্তেচরা পাখি দেখা গেলেও, সংখ্যায় অন্যবারের চেয়ে অনেক কম। প্রায় প্রতিবছরই এদের সংখ্যা কমছে। নির্বিচারে পাখি শিকার, জলাশয় হ্রাস, জমিতে কীটনাশক প্রয়োগে খাদ্যের অভাব ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে দিন দিন কমছে এদের সংখ্যা। পাখি সংরক্ষণের সঠিক সঠিক ব্যবস্থা এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে না পারলে আগামী দিনে বিরল প্রজাতির এই পাখি বিলুপ্তির পথে চলে যাবে, যা পাখিপ্রেমী মানুষের কাছে খুবই বেদনার। সেই সঙ্গে নষ্ট হবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য।
-ছবি প্রতিবেদকের তোলা।
Leave a Reply