সিরাজুল ইসলাম। বত্রিশবিঘা, জামালপুর ব্লক, বর্ধমান। ১০ অক্টোবর, ২০২০।#
মান্ডিতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান দেওয়ার হ্যাপা
বর্ধমানে অনেক জায়গাতেই মান্ডি আছে। কিন্তু ঘটনাটা হচ্ছে, মান্ডিতে ওরা সরকারের একটা রেটে মাল নিয়ে নেয়, নেয় বলতে ধানটা নেয়। সবজি-টবজি অন্য কিছু নেয় না। লোকালি একটা মান্ডি আছে, বড়ো বড়ো বিল্ডিং, গোডাউন আছে। মানুষ যদি সৎ না হয় … অফিসার-টফিসার সব আছে। চাষি যখন ধানটা নিয়ে যায়, তখন চাষিকে নানারকম, পরচা কই, দলিল কই — আপনি যে ধানটা এনেছেন, কোথা থেকে এনেছেন, আপনার পরচা কই? ধরুন, আমার যা জমি আছে, সব আমার বাবার নামে পরচা বা দলিল আছে। এবারে সেগুলো, আমার কাকারা রয়েছে তাদের নামেও আছে। বন্টননামা হলে তো আমার নামে আসবে। আমার নামে বন্টননামা নাই। আমি যখন ধান নিয়ে যাচ্ছি, ধানটা দিয়ে দিলাম, আমার নামে টাকাটা আসবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এবার হচ্ছে কী, সীমিত চাষির নিজের নামে জমি আছে। সবাই পৈতৃক জমিতেই চাষ করে। যারা উঠতি, নতুন পয়সা এসেছে হাতে, তারা নতুন জমি কিনছে। নাহলে জমি তো সব পৈতৃক। জমি তো আর বাড়ছে না। যে জায়গায় ছিল সেই জায়গাতেই আছে। এবার ছেলেদের মধ্যে ভাগ হয়েছে। তার মধ্যে যে একটু কমা সে হয়তো বিক্রি করছে, অন্য একজন কিনছে। তার নিজের পরচা-টরচা হয়ে গেল। বাকিগুলোর কিন্তু হল না। সে ধান দিয়ে টাকাটা নিয়ে যেতে পারছে না। যদিও বা যারা নিয়ে যাচ্ছে, সেখানে অফিসাররা এত হ্যারাস করছে — ধানটা দেখল, দেখে বলল এই ধানটা আপনার চার কেজি করে বাদ যাবে। মানে ঘাস, ধুলো বাদ যাবে। এক বস্তা মানে ষাট কেজিতে চার কিলো বাদ যাবে। ধানটা ভালো। তাহলে ভাবুন, আট টাকা কেজি, পাঁচ আষ্টা চল্লিশ টাকা ওখানে বাদ গেল। আমি আমার বাড়ি থেকে লেবার দিয়ে, বস্তা করে, ক্যারিং কস্ট আমার, ওরা তো বাড়ির কাছে আসছে না। আমার বাড়ি থেকে মান্ডি চার কিলোমিটার হবে। সেখানে আমি নিয়ে গিয়ে ধানটা দেব না আবার ধানটা ফেরত নিয়ে যাব?
মান্ডি থেকে একটা টোকেন দেয় … এর কাছ থেকে ওর কাছ থেকে টোকেন নিয়ে সেই ধানটা আবার ফড়ে যখন নিয়ে যাচ্ছে, তখন অফিসারদের সঙ্গে কিছু লেনাদেনা থাকে। সেই ধানটা এইভাবে বেরিয়ে গেল। এইসব নানান সমস্যা আছে মান্ডির। আমার জামাইয়ের গ্রামে ওরা বলে, আমাদের ধান যা হয় খামার থেকে একবারে কেটে দিয়ে দিই, মানে পার্টি লেভেলে ছেলেরাই নিয়ে নেয়, মান্ডিতে গিয়ে দিয়ে চেক এনে দিয়ে দেয়। আমাদের জামালপুরে সেটা হয় না।
মান্ডিতে তো শুধু ধানটাই নেয়। আলু প্রোডাকশনটা সবচেয়ে বেশি আমাদের জামালপুর, ধনেখালি, তারকেশ্বর, চাঁপাডাঙায়। আলু এমনিতে নেয় না। যদিও বা এক-আধ বছর কোনো সময় নিয়েছে, তার সমস্যা অনেক। যখন আলু আপনি নিয়ে যাবেন — একটা গাছেতে কোনোটা বড়ো, কোনোটা মাঝারি, ছোটো, আরও ছোটো — ওরা বলল, আমাদের এই সাইজটা দিতে হবে। এবার ধরুন, আমি এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি, এক বিঘা জমিতে আশি বস্তা আলু হয়, একটা গ্রুপের আলু ওরা বেছে নিয়ে নিল আর বড়োটা আর একেবারে ছোটোটা রয়ে গেল। ছোটো বলতে এক ইঞ্চির ওপরেরটা। মহাজনের একটা আলাদা পদ্ধতি আছে। সেখানে এক ইঞ্চিরটা বাদ চলে যায়, যখন বাছাই হয়, ওগুলো সাইড করে দেয়। চাষি ওগুলো কুড়িয়ে নিয়ে আলাদা ব্যাগে করে রেখে দেয়। কিন্তু মান্ডিতে ওরা কী করল, মিডিয়ামটা নিয়ে নিল। তারপরে রাজনৈতিক নেতাদের ব্যাপার আছে, বলা ঠিক নয়, ‘এই আমার এই আলুটা পাঠিয়ে দিলাম, এত বস্তা, নিয়ে নাও’ – ওটা কিন্তু পুরোটাই চলে গেল! বাকি চাষিরা, সে ওইভাবে দিতে রাজি নয়, মানে আমি দেব না। যদি ভালো জিনিসটা নিয়ে নেয়, বাকিটা আমি বেচব কোথায়, নেবেই বা কে আর রাখবই বা কোথায়? স্টোরে গেলাম, আগে ওই কেট আলুটা বিক্রি হত, কেট মানে ছোটো, ওটা বীজ করার জন্য লোকে নেয়। মহাজনদের কারসাজি, অন্য কিছু নয়। নেটে ঝাড়াই করে, আলাদা ব্লক তৈরি করে, পিএস জিএস নাম দিয়ে পাঞ্জাব থেকে যে গাড়িগুলো বীজ নিয়ে আসে, ওই গাড়িতেই আবার ওই কেট আলুটা পাঠিয়ে দিল। এইরকম নানান দুর্নীতি চলে।
মান্ডিতে ধানটা নিয়ে ওরা মিলকে দিয়ে দিচ্ছে। মিলের একটা নিয়ম আছে, তুমি সারা বছর কাজ করলে, এত টন চাল তোমায় দিতে হবে। এখন তো অটোমেটিক মিল, আপনি ধানটা ফেলে দিলেন, লরি বা ট্রাক থেকে মুটেরা গোডাউনে তুলে নিল, অটোমেটিক মিলে গেল, ঝাড়াই-বাছাই হল, আধঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধ শুকোনো সব হয় চাল বেরিয়ে এল। জামালপুরে আমার পাশেই দু-তিনটে মিল আছে। সবথেকে বেশি মিল আছে সগরাই মোড় বলে, বর্ধমান থেকে আরামবাগ যে রুটটা, খণ্ডকোষ থানা, প্রচুর মিল আছে। মিলে ধানটা ভাঙিয়ে চালটা বিক্রি করে দেয়। চালে কত লাভ হচ্ছে সেটা দেখবে না। মিলে প্রথমে তুষটা ছাড়িয়ে নেয়। তারপরে পালিশ করে। পালিশের আগে চালের গায়ে যে একটা পাতলা আঁশ থাকে, সেইটাকে আলাদা করে বার করে নেয়। সেইটা ভালো দামে বিক্রি হয়। ওইটা থেকে একটা তেল বার হয়, রাইসব্র্যান অয়েল বলে যেটাকে। তেলটা বার করার পর উদ্বৃত্ত ভুষি যেটা রয়ে গেল, সেইটা আবার বিস্কুট কোম্পানিগুলো কিনে নেয়। ফাইবারটা নিয়ে ময়দা এটা ওটা দিয়ে বিস্কুটটা তৈরি হয়। চালে লাভটা আর হয় না।
বর্তমানে আমরা যে চাল খাই, আমার ঠাকুমা ছিল, মাটির হাঁড়িতে ভাত রান্না করত আর কাঠের জ্বাল। এখন তো গ্যাস আমার বাড়িতে আছে আর একটা সাঁওতাল বাড়িতেও আছে। কাঠের আর কোনো ব্যাপার নাই। এই যে চাল যত চিকন দেখছি, যেটা কিনি সরু, এখানে যেটা কিনি মিনিকিট বলে, ওটা ললাট চাল, যার মুড়িগুলো হয় লম্বা মতো। তার স্বাদ খুব কম। গ্যাঁড়া মুড়ি যেটা, প্যাকেটে লক্ষ্মীর ছাপ দেওয়া, সেটা তবু খাওয়া যায়।
নতুন আইনে কী আছে জানি না। চাষিরা কেউই মনে হয় ভালো করে জানে না। শোনা যাচ্ছে, কোম্পানিরা খোলাখুলি আসবে। তার মানে যখন ওইরকম হবে, তখন মান্ডিতে কেউ আর নিয়েই যাবে না।
ভোলার নিজের জমি অল্প। এই প্রজন্মের চাষী। মূলত ভাগচাষী। যত্নশীল কৃষক ভোলা ও তার স্ত্রী অত্যন্ত পরিশ্রমী। বাইরের লেবার বিশেষ নেয় না। ভোলার দৃঢ় মত, আধুনিক বীজের রাসায়নিক চাষে ফলন দেশী ধানের থেকে বেশি। তাই সে দেশী ধান চাষ করতে রাজি নয়।
তার সঙ্গে বোঝাপড়া হল সে ঐ জমি গুলোতে দেশী ধানের জৈব চাষ করবে। ঐ ধান ও খড় আমি নিয়ে নেব। বিনিময়ে ঐ জমিতে যে পরিমাণ স্বর্ণ ধান ও খড় হতে পারত তার বাজার মূল্য আমি দিয়ে দেব।
– ছবি ও প্রতিবেদন : কুণাল কুশারী
চুক্তি চাষ আমাদের এখানে একরকম চলছে
যে আলুটায় চিপ্স তৈরি হয়, পেপসি আলু বলে, ওটা ওই কোম্পানিরা নিজেরা বীজ দেয়, সারটা, ওষুধ-টষুধ দেয়, তারা মাঝে মাঝে তদারকি করতে আসে, কিন্তু রেটটা নিজেরা আলু বসাবার আগে তৈরি করে দেয় — এই রেটে আমরা নেব। তার মানে আমাদের যে সাধারণ চন্দ্রমুখী বা জ্যোতি আলু, ওতে তো চিপ্স হয় না, ট্রেনে হকাররা যেগুলো বিক্রি করে, তা জ্যোতি আলুতে হতে পারে, কমা মাল, বেশিদিন থাকেও না। পেপসি আলু থেকে পেপসি কোম্পানি চিপ্স তৈরি করে। এবার হল কী? যখন জমিতে আলু উঠছে, তখন কোম্পানিরা রেট করেছে, আলুর গড় দাম বস্তা পিছু তিনশো টাকা করে নেবে। এক বস্তা মানে পঞ্চাশ কেজি। আর চাষি যে জ্যোতি আলুটা চাষ করেছে বাজারে সেটা তখন দুশো টাকা। চাষি দুশো টাকায় বিক্রি করছে আর পেপসি আলু তিনশো টাকায় নিয়ে নিল। আবার এই বছর যেমন দেখা গেল পেপসি আলুটা চারশো টাকা বস্তা কিন্তু এবছর মাঠে জ্যোতি আলু বিক্রি হয়েছে পাঁচশো ষাট থেকে পাঁচশো আশি টাকার মধ্যে। তখন যারা পেপ্সি চাষ করেছে তাদের মাথায় হাত। আবার কোম্পানি সব আলু নেবে না! মাঝারি থেকে বড়োটা নেবে, বাকি সব বাদ দিয়ে দেবে। ছোটোগুলো চাষি অন্য যে আলু বেচছে তার সঙ্গে পাইল করে দিয়ে দেবে।
যাদের টাকা আছে তারা ব্যাবসা করবে আর তারাই দাম ঠিক করবে
ন্যূনতম সহায়ক মূল্য তুলে দেবে, এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে কিংবা সেটার আর কোনো মানে থাকবে না। যাদের টাকা আছে তারা ব্যাবসা করবে আর তারাই দাম ঠিক করবে। আর গরিব চাষি তাকে তো বেচতেই হবে। তার মানে ধান উঠলে যে দাম বলবে তাতেই চাষিকে বেচতে হবে। আর বড়ো ব্যবসায়ীরা যদি দেশের বাইরে এই ফসল বিক্রি করতে পারে, তাহলে তো দেশের মানুষের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। মানে খাদ্যদ্রব্যের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বড়োলোকদের হাতে চলে যাবে।
যেমন, ধানটা যখন উঠল, আমার এখন এমার্জেন্সি, কালকেই সার কিনতে হবে, যাদের জমি আছে, সরকারের অর্ডার না হলে তো তারা ওই জমির ধান নেবে না; যখন নেবে, নিয়ে চেক দিয়ে দিল। ব্যাঙ্ক বলল, এখন পনেরো দিন এই চেকটা ভাঙানো যাবে না। এই নানান রকম অসুবিধা। হাতে পয়সাটা না পেলে তখন কিন্তু সে অন্য যে চাষটা করবে বলে মনস্থির করেছে, সেটা করতে পারবে না। পাশের জমিতে গাছ পুঁতে দিল, তার চাষটা শুরু হয়ে গেল, এ কিন্তু যখন পয়সাটা হাতে পেল, তখন আর করতে পারল না। ফড়ে বা মহাজন সুযোগ পেয়ে ওই ধানটা কিনে নেয়। ধানের ব্যাপারটা আলাদা।
আলুর ক্ষেত্রে, স্টোর তো অনেকগুলো আছে, মালিকেরা চাইবে যত তাড়াতাড়ি আলু লোড করতে পারে। এপ্রিলে স্টোর খুলে দিয়েছে। এবার সবাই চাইবে আমার স্টোরটা কী করে তাড়াতাড়ি ভরবে। ফড়েরা বা আমার মতো লোক গিয়ে আলুটা ভরে দেবে। যেমন আমার পাশেই শেঠিয়া বলে একজনের তিন চারটে স্টোর। সে তখন একটা রেট দিয়ে বলবে, এই রেট আমার, নিয়ে এসো আলু।
এমনিতেই তো খারাপ অবস্থা আছে। জমিটা যখন আপনাকে আমি লিজে বা যেভাবে হোক দিই, জমির তো কোনো কাগজপত্র নেই। মান্ডিতে যাবার ব্যাপার নেই। তখন যেই দামই চলুক, ফড়েকে তখন দিতেই হবে। তখন অধিকাংশ সময় আমি দেখেছি, মান্ডিতে যে ধান নিয়ে যেত, তার চেয়ে ফড়েকে ধান দিলে কয়েকটা ব্যাপারে একটু লাভবান হত চাষি। মান্ডিতে যেমন বলে দিল, আপনার পাঁচ কেজি বাদ। সেটা বাদ দিলে, যদি এমনি বাজারে হাজার টাকা বস্তা হয়, ওরা বলল আমাদের বারোশো টাকা বস্তা, দুশো টাকা বেশি, তারপর পাঁচ কেজি বাদ, তার ওপর ক্যারিং কস্ট আছে, তার লেবার আছে, আবার ক্যাশ পাবে না … বড়োলোক কিছু চাষি তারাই মান্ডিতে দিয়ে দেয়, আর ফড়েরাই চাষির কাছ থেকে নিয়ে ঘুরিয়ে মান্ডিতে যারা অফিসার থাকে, তাদের দেয়। অফিসাররা বলে, আমি বলে দিচ্ছি অমুক মিলে তুমি দিয়ে দাও। সেই মিল ওকে সঙ্গে সঙ্গে টাকা দিয়ে দিল। কিন্তু আপনি নিয়ে গেলে টাকা দেবে না।
মান্ডিতে কেউ এক ভ্যান ধান নিয়ে গেল, কেউ এক ট্রাক নিয়ে গেল। এক বিঘেতে দশ-বারো বস্তা ধান হয়, তাও নিয়ে যেতে পারে মান্ডিতে। কিন্তু মান্ডিতে দেয় না, ফড়েদেরকেই দিয়ে দেয়। পঁচিশ বস্তা কি পঞ্চাশ বস্তা ধান হয়েছে, জমির পরচা আছে, সে নিয়ে যায় মান্ডিতে। অম্বিকা কালনার দিকে সিয়ারকোল বলে একটা জায়গা, মেন লাইনে বৈঁচি থেকে যেতে হয়। ওখানে ধান ঝাড়া হল, পার্টির ছেলেরাই এসে ধান নিয়ে যায় মান্ডিতে। আজকাল আর কেউ বাড়ির ধান খায় না।
ধরুন আমি, পাঁচ বিঘে জমি আছে, কোনো কাজ নেই আমার, ধান বা আলু কিনে ফড়েগিরি করি। কোনো চাষি এল, আমার ধান আছে, নেবে? হ্যাঁ নেব, কত বস্তা আছে? সে বলল, বিশ বা পঁচিশ বস্তা আছে। আমি বললাম, ঠিক আছে আমি লোক পাঠিয়ে নিয়ে নিচ্ছি। লোক দিয়ে বস্তা দিয়ে পাঠিয়ে দিলাম, এখন অটোমেটিক কাঁটা, ওজন করে বস্তা করে কথা বলে অমুক মিলে ফেলে দেওয়া হল। মিল থেকে আমার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করে দিল। ফড়ে গ্রামের হতে পারে, পাশের গ্রামেরও হতে পারে। আপনি যে ফড়েকে ধানটা দিচ্ছেন, সঙ্গে সঙ্গে তো সে ক্যাশ দিচ্ছে না। সামনের সপ্তাহের অমুক দিন টাকাটা দিচ্ছে। চেনা-পরিচিতির মধ্যেই দেওয়া-নেওয়া হয়।
আমার ওখানে আমি যেটা দেখছি, মান্ডিতে নিলে … ধানের দামে কিছু ফারাক হয় না, অনেক ঝামেলা পোয়াতে হয়। তবে কিছু যায় মান্ডিতে। হুগলিতে শুনেছি মান্ডিতে যায় অনেকে।
Leave a Reply