সুদীপ্তা পাল। দুর্গাপুর।
কেন্দ্রীয় সরকারের এবং রাজ্য সরকারগুলির দ্বারা দেশি বিদেশি পুঁজিপতিদের স্বার্থে বানানো চারটি শ্রম কোড বাতিল করা, বহুজাতিক সংস্থার স্বার্থে লাগামছাড়া বেসরকারিকরণের বিরোধিতা করা, উন্নয়নের নামে প্রায় বিনামূল্যে দেশের অমূল্য সম্পদ জল-জঙ্গল-খনি-পাহাড় কর্পোরেট পুঁজির লুটের জন্য তুলে দেওয়ার বিরোধিতা করা, ২৬ টি রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা জলের দরে বৃহৎ পুঁজির কাছে বেচে দেওয়ার বিরুদ্ধে, প্রতিরক্ষা সংস্থা, রেল, ব্যাঙ্ক, বিমা, বন্দর ও বিদ্যুৎ সংস্থাকে জলের দরে বিক্রির বিরুদ্ধে, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে বেসরকারিকরণ করার বিরুদ্ধে, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে, হিট এন্ড রানের নামে ভয়ঙ্কর আইন বাতিল করতে, আর এস এস ও বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে ১৬ ই ফেব্রুয়ারী দেশ জুড়ে শিল্প ধর্মঘট ও গ্রামীণ ধর্মঘট ডেকেছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা, কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন, ফেডারেশন এবং অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সংযুক্ত মঞ্চ এবং তৃতীয় ধারার ট্রেড ইউনিয়নগুলো।
আসানসোল – দুগার্পুর অঞ্চলের বেশ কিছু ট্রেড ইউনিয়ন (ইসিএল কোলিয়ারি শ্রমিক ইউনিয়ন, ইসিএল ঠিকা শ্রমিক অধিকার ইউনিয়ন, অল ওয়েষ্ট বেঙ্গল সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস ইউনিয়ন, এন টি ইউ আই, SWCC, AICCTU, IFTU ) এবং আসানসোল সিভিল রাইটস অ্যাসোসিয়েশান,গণ অধিকার মঞ্চের মত কিছু নাগরিক অধিকার সংগঠনও মোদি সরকার এবং রাজ্যগুলোর শ্রমিক এবং কৃষক বিরোধী নীতিগুলোর বিরুদ্ধে এবং রাষ্ট্রের সব রকম ফ্যাসিস্ট আক্রমণ রুখে দিতে ১৬ ফেব্রুয়ারির এই ধর্মঘটকে সমর্থন করেছে। দাবি উঠেছে,
১। শ্রম কোড বাতিল করতে হবে।
২। অবিলম্বে রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থার বেসরকারিকরণ ও বিলগ্নিকরণের প্রক্রিয়া বাতিল করতে হবে।
২। কয়লা শিল্পে MDO মডেল চালু করা যাবে না।
৩। মিথেন সহ সমস্ত খনিজ সম্পদের বেসরকারি মালিককে দেওয়া লিজ বাতিল করতে হবে।
৪। রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থার প্রযুক্তির উন্নতি ঘটিয়ে পুনরুজ্জীবন করতে হবে।
৫। স্থায়ী কাজে ঠিকা শ্রমিক নিয়োগ করা যাবে না।
৬। সব ঠিকা শ্রমিককে স্থায়ীকরণ করতে হবে।
৭। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা – ২০২৩ সহ সব জনবিরোধী আইন বাতিল করতে হবে।
Leave a Reply